সুস্বাদু কাঁকরোল ভাজির রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার , আগস্ট ০১/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আপনারা হয়তোবা অনেকেই কাঁকরোল এই সবজিটির সাথে পরিচিত। এটি খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সবজি। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা কাঁকরোল এর বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে থাকি। আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে সুস্বাদু কাঁকরোল ভাজির রেসিপি তৈরি করতে হয়। চলুন শুরু করা যাক...
সুস্বাদু কাঁকরোল ভাজির রেসিপির উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | কাঁকরোল |
২ | সয়াবিন তেল |
৩ | মরিচের গুঁড়া |
৪ | হলুদের গুঁড়া |
৫ | লবণ |
🍲ধাপ - ০১🍲
প্রথমে আমি কাঁকরোল গুলোকে ভাজি করার জন্য খুবই সুন্দর ভাবে কেটে নিলাম। কেটে নেয়া শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে খুবই সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ - ০২🍲
এরপরে আমি কাঁকরোল ভাজি করার জন্য উপকরণগুলো কাঁকরোল এর সাথে একত্রিত করার জন্য প্রথমেই মরিচের গুড়া দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৩🍲
এরপরে আমি পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৪🍲
তারপরে আমি পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৫🍲
সকল উপকরণ দেয়া শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সে সবগুলো একত্রিত করে কাঁকরোল এর সাথে মাখিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৬🍲
তারপরে আমি কাঁকরোল ভাজি করার জন্য একটা শুক্র কড়াই নিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৭🍲
কড়াইটি গরম হয়ে যাবার পরে সেখানে আমি পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিয়েছি কাঁকরোল ভাজি করার জন্য।
🍲ধাপ - ০৮🍲
সয়াবিন তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি কাঁকরোল গুলো আস্তে আস্তে কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৯🍲
তারপরে আমি আস্তে আস্তে কাঁকরোল গুলোকে ভাজতে শুরু করে দিয়েছি। আমার মনে হয় কাঁকরোল ভাজতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। এই ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে কাঁকরোল গুলো কেমন আকার ধারণ করেছিল তা আমি আপনাদেরকে উপরের ছবির মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছি।
🍲 পরিবেশন🍲
সুস্বাদু কাকরোল ভাজি রেসিপি তৈরি হয়ে যাবার পরে আমি সেটি আপনাদের মাঝে পরিবেশন করেছি।
কাকরোল ভাজি রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর এটাও জানাতে ভুলবেন না আমার তৈরি করা কাঁকরোল ভাজির এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
কাঁকরোল ভাজি রেসিপি বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হয় সেটা অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আসলে এই ধরনের মজাদার রেসিপি যদি একবার খেয়ে দেখা যায় তাহলে মনে হয় জীবনটাই ভরে গেল
সুস্বাদু কাঁকরোল ভাজি রেসিপি যেটা খুবই মজাদায়ক খাবার। এই ধরনের ভাজি জাতীয় খাবার খেতে আমি খুবই পছন্দ করি ।যেটা আপনি খুব সুন্দর করে ভাজি করেছেন।
এ জাতীয় খাবারগুলো আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে ভাইয়া
কাঁকরোল আমার তেমন একটা পছন্দ নয় তবে আপনার কাঁকরোল ভাজির রেসিপিটি দেখে মনে হল ভিন্নভাবে একদিন ট্রাই করে দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদায়।
চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আশা করি ভালই লেগেছে
ভিন্নতা কার না ভালো লাগে বিশেষ করে ভিন্নতা আমার অনেক বেশি পছন্দ ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্বাদু কাঁকরোল ভাজি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে ভাইয়া। কাঁকরোল ভাজি অনেক খেয়েছি তবে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। নতুন করে কাঁকরোল ভাজি রেসিপি দেখে নিলাম।
এভাবে যদি ভাজি করা যায় তাহলে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে একদিন চেষ্টা করে দেখুন
কাঁকরোল ভাজির রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া। এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। গরম ভাতের সাথে কাঁকরোল ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগবে। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গরম ভাতের সাথে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে
দেখে তো মনে হচ্ছে সত্যি খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার তৈরি করা কাঁকরোল ভাজি রেসিপি। আমি কাঁকরোল খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনি খুবই ইউনিট একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে। খুব সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আসলে এই ইউনিক রিসিভ যদি আপনি খেয়ে দেখবেন তাহলে সব থেকে বেশি মজা পেতেন
জনকাকরোল ভাজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আসলে কাকরোল যেকোনোভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার কাঁকরোল ভাজি গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। রান্না প্রতিটি তাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনার উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে একটি সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম আমার মনের কথা বলে দিয়েছেন কাঁকরোল যেভাবেই রান্না করা হোক খেতে আমারও ভালো লাগে
কাকরোল কখনো এভাবে ভাজি করে খাওয়া হয়নি। এমনিতেই কাকরোল এই সবজিটি খুবই কম খাওয়া হয়। আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও ভালোই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবে একদিন ভাজি করে খেয়ে দেখেন খুবই ভালো লাগবে আশা করি
কাঁকরোল ভাজি রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।তবে এত বড় করে কখনো ভেঁজে খাওয়া হয় নি।আমরা কুচি করে ভেঁজে খাই,এভাবে মনে হয় খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি এইভাবে একদিন বড় বড় করে খেয়ে দেখুন খুবই মজা পাবেন
আপনি খুব সহজেই কাঁকরোল ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এরকম ভাবে কাকরোল ভাজি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আর মাছ দিয়ে ভাজি করলে আমার কাছে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি কোন সময় মাছ দিয়ে খেয়ে দেখি নি আশা করি খেয়ে দেখব