জেনারেল পোস্টঃ হঠাৎ আগুন্তকের আবির্ভাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , অক্টোবর ১৩/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা , আমি অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিন্তু সময়ের অভাবে শেয়ার করা হয়ে উঠছিল না। সেদিন অফিসে বসে ছিলাম হঠাৎ আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা আমাকে এসে বলল স্যার আমাদের ক্লাস রুমের মধ্যে একজন পাগল মত মানুষ বসে আছে কোনভাবেই সে বাহিরে যেতে চাচ্ছে না। যেহেতু আমাদের স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করে তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে তারা ভয় পেয়ে যাবে যেহেতু আমাদের স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করে তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে তারা ভয় পেয়ে যাবে বিধায় আমি তাড়াতাড়ি করে চলে গেলাম তাদের ক্লাস রুমে। সেখানে যাবার পরে দেখতে পেলাম সত্যিই একজন ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়েছে আর সে কোনভাবেই যেতে চাইছে না।
বিষয়টা আমি কিভাবে ম্যানেজ করবো কোন ভাবেই প্রথমে চিন্তা করতে পারছিলাম না। অনেক চিন্তা ভাবনা করার পরে এবং লোকটার ইঙ্গিত দেখে বুঝতে পারলাম সে শিক্ষিত কিন্তু কথা বলতে পারেনা। তারপরে আমি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বললাম অফিস থেকে একটা ডাক্তার এবং মার্কার কলম নিয়ে আসতে। মার্কার কলম নিয়ে আসার পরে আমি বোর্ডে লিখতে শুরু করলাম এবং তার কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করলাম।
দুজনের কথাপকথন লেখার মাধ্যমে হতে থাকলো আর সেই বিষয়গুলো আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী দেখতে থাকলো। যেহেতু আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অনেক ছোট তাই তারা কিছুটা ভয় পাচ্ছিল তারপরও তারা বিষয়টা ভালোভাবে লক্ষ্য করছিল। লোকটার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম লোকটা কথা বলতে পারে না কিন্তু খুবই অসহায়। লোকটি কথা বলতে না পারলেও ভালোই শিক্ষিত।
যেহেতু আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ছোট তাই তাদের কাছে খুব একটা বেশি টাকা থাকে না তাই আমি আমার কাছ থেকে কিছু টাকা তাকে দিয়ে খাবার কিনে খাবার জন্য বললাম। আর তারপরে লোকটাকে আমি স্কুলের বাইরে রেখে আসছিলাম কেননা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে দেখে প্রচুর পরিমাণে ভয় পাচ্ছিল।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
বিষয়টি তো বেশ কৌতূহলের ছিল। বেশ অন্যরকম একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর দুজনের কথকপোকন চলছিল লেখার মাধ্যমে বাহ চমৎকার বলতেই হয়। বাচ্চারা এইরকম ঘটনায় ভয় পেয়ে যাবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। শেষমেশ কিছু টাকা দিয়ে চলে যেতে বললেন। সে মনে হয় এইরকমই কিছুর খোজে এসেছিল।
স্কুলে অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা থাকে তো তাই তারা বিষয়টা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল।
আসলে এরকম পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ লোকটা কথা বলতে পারে না আবার আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক। যাই হোক আপনি ভালো করেছেন যে লেখালেখির মাধ্যমে লোকটার সমস্যা বুঝতে পেরেছেন এবং শেষে কিছু টাকাও দিয়ে দিয়েছেন খাওয়ার জন্য। আসলে এরকম অসহায় মানুষদের দেখলে আমাদের সাহায্য করা উচিত। ভালো লাগল ভাইয়া আপনার লেখাটি পড়ে।
লেখালেখির মাধ্যমে লোকটার সমস্যা বুঝতে পেরেছি এবং ভালোভাবেই সমাধান করে দিয়েছি।