অভিভাবক সমাবেশ এবং সেপ্টেম্বর মাসের টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আপনারা সবাই জানেন আমি ভিসা কত ভাবে একজন শিক্ষক আমি সবসময় চেষ্টা করি আমাদের স্কুলের বিভিন্ন ভাল বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনারা হয়তোবা অনেকেই পূর্বেই অবগত হয়ে গিয়েছেন আমাদের স্কুলে প্রত্যেক মাসের শেষের দিকে একটা করে অভিভাবক সম্মেলন এর আয়োজন করা হয় যেন আমরা অভিভাবকদের সাথে সকল বিষয়গুলো নিয়ে সমন্বয় করতে পারি। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় উন্নতি করার জন্য এই ধরনের সমন্বয় সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে আমি মনে করি। কেননা এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো দিক এবং মন্দ দিক সম্পর্কে সহজেই অভিভাবকরা অবগত হতে পারে। একইভাবে পড়ালেখা করানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কি ধরনের ঘাটতি রয়ে গিয়েছে সেগুলো অভিভাবকদের কাছ থেকে সহজেই জানতে পারা যায়।
সেপ্টেম্বর মাসের অভিভাবক সম্মেলন শুরু করার জন্য প্রথমেই কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। আর সেই কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আমাদের স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ কাইফা মনি।
ভিডিও লিংক
এরপরে আমরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করি। বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে জাতীয় সংগীত কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যদিও আমরা বিষয়টি সরকার থেকে ঘোষণা দেয়ার আগ থেকেই পালন করতাম।
এরপরে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল আলম স্যার। প্রধান শিক্ষক তার বক্তব্যের মাধ্যমে একটু দুঃখ প্রকাশ করেন কেননা অভিভাবক সম্মেলনে অভিভাবকদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল।
ভিডিও লিংক
এরপরে বক্তব্য প্রদান করেন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। একই সাথে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর শ্রেণী শিক্ষক হবার ফলে দ্বিতীয় শ্রেণী নিয়ে কিছু কথা বলেন। তিনি বলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মানসিকতা একটু কম থাকলেও তাদের স্কুলে আসার মানসিকতা খুবই ভালো। তাই তিনি আশা করছেন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সহজে উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে।
এরপরে আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অভিভাবকের সমস্যা এবং পরামর্শ মূলক কথাগুলো আমরা শুনলাম। আর সেই কথাগুলোর উপর ভিত্তি করে আমাদের স্কুলের প্রত্যেক শ্রেণীর শ্রেণী শিক্ষকেরা তাদের বক্তব্য প্রদান করলেন।
এরপরে বক্তব্য প্রদান করলেন আজকের এই অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠানের অতিথি জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। আমাদের স্কুলের পার্শ্ববর্তী গ্রামেই জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বসবাস করেন যার ফলে তিনি বললেন এই স্কুল তিনি প্রত্যেকদিন দেখেন কিন্তু এই স্কুলে প্রবেশ করার মত সুযোগ আজকেই তার প্রথম হল। এছাড়াও তিনি আমাদের শিক্ষকদের এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের কথা বললেন আমি তিনার বক্তব্যের একটা ভিডিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিচ্ছি আপনারা আশা করি ভিডিওটি দেখে নিবেন।
ভিডিও লিংক
এরপরে বক্তব্য প্রদান করলেন আমাদের আজকের অভিভাবক সম্মেলনের মধ্যমণি জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম রঞ্জু। তিনি হচ্ছে আমাদের স্কুলের উপদেষ্টা পরিষদের একজন। তিনি শিক্ষক ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের একটা বক্তব্য প্রদান করেন। যদিও তার বক্তব্যের সময়টা ছিল অনেক বেশি তারপরও আমি একটা জিনিস দেখে খুশি হয়েছি এত দীর্ঘ সময় বক্তব্য শুনেও প্রত্যেকটি অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রী মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনছিলেন। আসলে আমাদের উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়টাই ছিল এমন যা শুনতে ইচ্ছা হচ্ছিল বারবার। আমাদের বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম রঞ্জুর বক্তব্যের ভিডিওটি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিচ্ছি আপনারা চাইলে ভিডিওটি দেখে নিতে পারবেন।
এরপরে প্রকাশ করা হয় সেপ্টেম্বর মাসে টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল। আর এই সেপ্টেম্বর মাসে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাদের প্রত্যেককে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই অভিভাবক সমাবেশ অনেক প্রয়োজনীয়।এতে অভিভাবক রা তাদের সন্তানদের দুর্বলতার জায়গা গুলো জানতে পারে এবং বাড়িতে সেভাবে যত্ন নিতে পারে।আর আপনাদের উপদেষ্টা সাহেবে বক্তব্য অসাধারণ।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিল প্রত্যেকটি মানুষ মনোযোগ সহকারে শুনছিলাম
আপনাদের উদ্যোগ একদমই সঠিক। মাসে অন্তত অভিভাবকদের সাথে একবার মিটিং করা অত্যন্ত জরুরি। এতে করে বাচ্চাদের মনে কিছুটা ভয়ের উদ্বেগ হবে, ফলে পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। তাছাড়াও এই ধরনের মিটিংগুলো অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন করে তোলে।
এটার কারণ কি...
কারণ দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা করোনাকালীন বিরতির পরে শিশু শ্রেণী এবং প্রথম শ্রেণীর বাদ দিয়ে একবারে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। করোনা কালীন সমস্যার কারণে তাদের লেখাপড়ার উন্নতি হয়নি কিন্তু বয়স বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে।