ডিসি ইকো পার্ক ভ্রমন প্রথম পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , নভেম্বর ১৫/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরও একটা ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। জায়গাটির নাম হচ্ছে ডিসি ইকোপার্ক। পূর্বে এই জায়গাটি ভাটপাড়া ইকো পার্ক নামে পরিচিত ছিল। এটি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার ভাটপাড়া গ্রামে অবস্থিত। এই জায়গাটি একটা নীলকুঠিও বটে। শাসনামলে যখন নীল চাষ করা হতো তখন এটা ছিল একটা ইংরেজদের ঘাঁটি। এখানে থেকে ইংরেজরা নীল চাষ পরিচালনা করত।
২০১৭ সালে জনাব মোঃ রাশেদ খান মেনন এই জায়গাটির নাম পরিবর্তন করে ডিসি ইকোপার্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আরডিসি ইকো পার্ক হিসেবে তিনি এটার উদ্বোধন করেন। ইকো পার্কের মধ্যে প্রবেশ করার পরে আমরা সেই বিষয়টা সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে ধারণা পায়।
উপরের ছবিতে আপনারা যে ভবনটি দেখতে পাচ্ছেন এটি ইংরেজ শাসনামলে তৈরি করা একটি ভবন। সেসময় ইংরেজরা এখানে থেকে তাদের শাসন কার্য পরিচালনা করতো। এই ইকো পার্কের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে একটা নদী। ইংরেজরা চলাচলের জন্য সেই নদীটিকে সব থেকে বেশি ব্যবহার করত। যদিও বর্তমান সময়ে এই ভবনটা অনেক পুরাতন হয়ে গিয়েছে তারপরও এটাকে জেলা প্রশাসন থেকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ভবনটি একটা দোতলা বিশিষ্ট ভবন কিন্তু এটার উচ্চতা প্রায় বর্তমান সময়ের একটা তিনতলা ভবনের সমান।
ডিসি ইকোপার্ক নাম দেবার পরে এখানে সুন্দর একটা স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে। এই স্মৃতিসৌধটির আকৃতি অন্যান্য সকল স্মৃতিসৌধের থেকে আলাদা। এটা দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। সেখানে বসার জন্য সুন্দর করে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। এটাই এতটাই সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে যা দেখে প্রত্যেকটি দর্শনার্থী মুগ্ধ হয়ে যাবে। আমরা সেখানে অনেকক্ষণ বসে আড্ডা দিছিলাম। আড্ডা দেবার মুহূর্তে আমরা সেখানে বসে বসে বাদাম খেয়েছি।
আজকের এই পর্বটি আমি এখানেই শেষ করতে যাচ্ছি। ডিসি ইকোপার্ক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আমি আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্ত আমি পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
শ্রেণী | ডিসি ইকো পার্ক ভ্রমন প্রথম পর্ব |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ভাটপাড়া,গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/embedding.trances.snowboards |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ইকো পার্কে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। আমাদের এইদিকেও একটি পার্ক রয়েছে তার নাম ইকোপার্ক। ব্রিটিশদের আমলে তৈরি পুরনো বিল্ডিং গুলো দেখে সত্যি ভালো লাগলো দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন।
ডিসি ইকো পার্কের ভিতরের এরিয়া টা খুব সুন্দর।যদি ও ইকো পার্কটি ডিসি সাহেব নাম পরিবর্তন করে ডিসি ইকোপার্ক রেখেছেন খুব ভালো লাগতেছে শুনে।পুরাতন ভবন গুলো দেখে বুঝা যায় ইংরেজিদের ঘাটে ছিল যে সেটা।আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেকগুলো তথ্য জানতে পারলাম।
ডিসি ইকোপার্কে আপনি খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। এবং ইংরেজ শাসনামলের বিভিন্ন দালান কৌটো দেখতে পেরেছেন। ইংরেজি শাসনামলের সেই পুরনো বিল্ডিং গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আমার তো ইচ্ছে করছে সরাসরি কিছুক্ষণ উপভোগ করতে। যাই হোক আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে ইংরেজ আমলে চলে গিয়েছি।ডিসি ইকো পার্ক দেখতে খুবই সুন্দর। আপনার ভ্রমণের কাহিনি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পার্কটি বেশ পুরোনো মনে হচ্ছে এবং অনেক
ইতিহাস আছে যতদূর দেখে বুঝলাম।আপনার লেখা পড়ে
অনেক কিছু জেনে ভালো লাগলো।তবে আরেকটু
লিখলে ভালো হতো।বাদাম আমার ও খুবই পছন্দের, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডিসি ইকো পার্কের নামকরণ কিভাবে হয়েছে সেটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। পার্কটা দেখছি ভীষণ সুন্দর। এখানে আবার ইংরেজদের করা ভবন ও আছে। তার সাথে এত বড় একটা স্মৃতিসৌধ। সত্যিই স্মৃতিসৌধটা দেখতে এতটাই সুন্দর আমি তো একেবারে মুগ্ধ হলাম। তার মানে তো যেকোনো দর্শনার্থী নিশ্চয়ই পছন্দ করবে। পরবর্তী পর্বে কি দেখাবেন তার অপেক্ষায় রইলাম।