ভ্রমণঃ ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক সপ্তম পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি আপনাদের মাঝে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পোস্ট ইতিমধ্যেই শেয়ার করেছি। সেখানে ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস আমি দেখেছিলাম যেগুলো আমি প্রত্যেক সপ্তাহেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে। আর এই জিনিসগুলো এতটাই সুন্দর যা দেখে আপনাদেরও ভালো লাগবে।
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কের ঠিক মাঝখানের দিকে একটা শুভ্র স্মরণী ছিল। মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুল তৈরি করে রাখা হয়েছিল তার পাশে তাই এটা দেখতেও খুবই সুন্দর লাগছিল। সেখানে সাদা এবং লাল রংয়ের গোলাপ ফুল তৈরি করা ছিল।
আগের পোস্টে আমি বলেছিলাম সেখানে খুবই সুন্দর পদ্ধতিতে গাছ লাগানো হয়েছে সেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। যেহেতু সেখানে ফুল গাছ লাগানো হয়েছিল তাই ফুল ফোটার পরে এর সৌন্দর্যটা আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাবে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল। যদি ফুল ফোটার পরে এই ফটোগ্রাফি গুলো আগে ধারণ করতে পারতাম তাহলে এটা দেখতে হয়তো বা আরো সুন্দর লাগতো।
ড্রিম ভ্যালি পার্কের মধ্যে খুবই বড় সাদা রঙের একটা মাটির চায়ের কাপ ছিল। যেহেতু এটাতে সাধারণ করা ছিল তাই এটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। সব থেকে বেশি সুন্দর লাগছিল সাদা কালারের মধ্যে গোল্ডেন কালার এর ডিজাইন তৈরি করার কারণে।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর মধ্যে ভ্রমণ করার সময় হঠাৎ একটা জিনিস দেখে কিছু সময়ের জন্য ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম যে গাছের আড়ালে একটা হনুমান বসে আছে। পরে সেখানে যাবার পরে দেখতে পেলাম যে এটা গাছের সাথেই একটা হনুমান সুন্দরভাবে তৈরি করে রেখে দেওয়া হয়েছে।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর মধ্যে যেমন সুন্দর পদ্ধতিতে গাছ লাগানো হয়েছে ঠিক তেমনি বসার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা তৈরি করা ছিল। এমন বসার জায়গা এর আগে আমি সিনেমাতে দেখেছিলাম তাই যখন এটা দেখতে পেলাম তখনই চিন্তা করলাম এখানে আমরা বসে কিছু সময় অতিবাহিত করব। আর তারপরেই আমরা সেখানে গেলাম এবং কিছু সময় বসে বসে গল্প করলাম।
সব মিলিয়ে ড্রিম ভ্যালি পার্ক যেন ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের জন্য একটা পারফেক্ট জায়গা। যারা ঝিনাইদহ এর আশেপাশে বসবাস করেন তারা এই পাহাড়টা একবার ভ্রমণ করে দেখবেন আশা করি আপনাদের ও অনেক ভালো লাগবে। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না, আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের আরো মুহূর্ত নিয়ে হাজির হব।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/elevated.wins.profound |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
সত্যি ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক টি আসলে অনেক সুন্দর। আপনার সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম বেড়াতে বেড়াতে গিয়ে অনেক মজা হয়েছিল। আমার দেখা সব থেকে সুন্দর পার্ক এটি। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আবারও পার্ক টি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আমরা সেই দিনে জায়গাটিতে অনেক মজা করেছিলাম।
একদম মনে পড়ে গেল সেই পুরাতন দিনের কথা। ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কে আমরা ভ্রমণ করেছিলাম একসাথে। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল আর পারটাও দেখতে বেশ অসাধারণ। বেশ ভালো লাগলো ড্রিম ভ্যালি পার্ক সম্পর্কে সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করেছে দেখে।
পুরাতন দিনের কথা মনে পড়ে গেলে অন্যরকমের একটা ভালো লাগার কাজ করে মনের মাঝে।
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলি সম্পূর্ণ নাম দারুন ভাবে দিয়েছেন যেটা দেখে রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমি। ড্রিম ভ্যালি পার্কে কাটানো সুন্দর অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন আর এ সকল জায়গাগুলোতে প্রিয় মানুষ সাথে থাকলে ঘুরাঘুরি করার আনন্দটা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ড্রিম ভ্যালি পার্কের কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জায়গাটার আমি যেমন বর্ণনা দিয়েছি আপনি দেখতে গেলে আরো ভালো লাগবে।
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক সপ্তম পর্বে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে মাটির চায়ের কাপ ও হনুমান বসে থাকার ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে এবং পরিবেশটা খুবই সুন্দর। বসে থাকার জায়গাও বেশ ভালো। আপনি খুব সুন্দর একটি পার্কে ভ্রমণ করার অনুভূতি শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
হনুমান টা দেখে তো আমি প্রথমে মনে করেছিলাম যে এটা সত্যিকারের।
পার্কে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ লাগে। আপনি খুবই সুন্দর একটি পার্কে ভ্রমণ করেছেন। আর এই পার্কে ভ্রমণ করা মুহূর্তগুলোও ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি আর বর্ণনা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
এমন সুন্দর পার্কে বারবার ঘুরতে গেলেও মনটা শীতল হবে না।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। একের পর এক ভ্রমণের পর্বগুলো আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করে যাচ্ছেন৷ আজকেও এর খুব সুন্দর একটি পর্ব শেষ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ এখানে আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং সবকিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷