আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাষা শহীদদের স্মরণে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গতকাল ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের মানুষ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। বিশেষ করে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করার জন্য। আমরা ও আমাদের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের কে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। আমাদের প্রথম কার্যক্রমের বিষয়টা আমি আপনাদের মাঝে ইতিমধ্যেই গতকাল পোস্ট আকারে শেয়ার করেছি। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে আমাদের স্কুলের গ্রহণ করা দ্বিতীয় কার্যক্রম নিয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার চেষ্টা করছি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিষয়গুলো ছাত্রছাত্রীদেরকে জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই বিষয়গুলো যেন তারা আগ্রহের সাথে জানতে উৎসাহী হয় সেজন্যই মূলত আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য আমরা এই দিনে চিত্র অংকন এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। আমাদের চিত্রাংকন এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করেই চিত্র অঙ্কন করতে হবে এবং একই বিষয়েই রচনা লিখতে হবে। প্লে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চিত্র অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল এবং তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যেহেতু আমাদের প্রতিযোগিতার বিষয় অনেকদিন আগে থেকেই সকলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল তাই এই প্রতিযোগিতা খুবই জমজমাট হয়েছিল। এই দিনটির এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য সকলেই খুবই ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল।
ছোট শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আগ্রহের পরিমাণটা আমি একটু বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করেছি। তারা ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য জাতীয় পতাকা এবং শহীদ মিনার অংকন করেছিল। তারা বয়সে অনেক চিত্র অংকন তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিল।
সত্য কথা বলতে তাদের অংকন করা চিত্রগুলো দেখার পরে বিচার করার কাজটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারপরেও তাদের অংকন করা চিত্রগুলো দেখে আমরা অনেক কষ্টে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে পেরেছি। বিচার কাজ করার জন্য আরও বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল রচনা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে। কার রচনা রেখে কাকে বিজয়ী করা হবে এটা খুবই কষ্টের ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল কারণ সকলেই খুবই সুন্দরভাবে রচনা লিখেছিল ভাষা শহীদদের কেন্দ্র করে। যাই হোক এই উদ্যোগ গ্রহণ করার পরে খুব আগ্রহের সাথে ছাত্রছাত্রীরা ভাষা শহীদদের বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পেরেছে এটা জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। জোরপূর্ব যদি আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভাষা শহীদদের বিষয়গুলো বলার বা শেখানোর চেষ্টা করতাম তাহলে হয়তো বা তারা বিষয়টা ভালোভাবে মনে রাখতে পারতো না। কিন্তু যখন ছাত্রছাত্রীরা চিত্র অঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভাষা শহীদদের বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে পারল তখন তারা এ বিষয়টা খুবই সুন্দরভাবে মনের মধ্যে গেঁথে নিতে পারবে বলে আমার কাছে মনে হয়।
আমাদের গ্রহণ করা এই উদ্যোগটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile