জেনারেল রাইটিং: অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, জুন ৯/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন যাবত আমরা সকলেই অবগত রয়েছি আমাদের দেশের অবস্থার সাথে। একদিকে যেমন প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং এর সমস্যা দেখা দিচ্ছিল ঠিক তার বিপরীত পাশেই ছিল প্রচুর পরিমাণে গরম। আর এই গরমের পরিমাণটা এতটাই বেশি ছিল যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যেন হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছিল। এমন অবস্থা হয়েছিল যে তারা ঘরে থাকার মত পরিস্থিতি বের করতে পারছিল না। আমাদের গ্রামের কথা বলি দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ থাকতো। আর যেহেতু আমাদের জেলাটি চুয়াডাঙ্গা জেলার পাশে তাই এখানে তাপমাত্রার পরিমাণটাও একটু বেশি থাকে। এই দুই সমস্যা মিলিয়ে যেন সকলের জন্য বেঁচে থাকাই হয়ে গিয়েছিল কষ্টসাধ্যকর। আজকে দুপুরে যখন আমরা জুম্মার নামাজ আদায় করছিলাম ঠিক তখনও আমাদের সকলের অবস্থা ছিল অনেক খারাপ। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না মসজিদের জেনারেটর ব্যবহার করে আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে হয়েছে। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম জেনারেটরের ফ্যানের বাতাস থাকার পরেও অনেকে ঘেমে যাচ্ছিল শুধুমাত্র পরিবেশের এই গরম তাপমাত্রার কারণে। নামাজ শেষে বাড়িতে যাবার কিছুক্ষণ পরেই চলে আসলো সেই স্বস্তির বৃষ্টি।
যেহেতু গরমের ফলে গত কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছিলাম না তাই আমি জুম্মার নামাজ শেষেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমার মনে পড়ছে যখন বৃষ্টি হচ্ছিল তখন আমার ছোট ভাই আমাকে ডাক দিয়েছিল। ঠিক সেই সময়ে জানালা দিয়ে বৃষ্টির পানি আমার গায়ে এসে পড়ছিল কিন্তু ক্লান্ত থাকার ফলে উঠতেই যেন ইচ্ছা করছিল না। পরে আমি সেখানেই ঘুমিয়ে থাকলাম আরো কয়েকঘন্টা। ঘুম ভালো হবে সবথেকে বড় কারণ ছিল বৃষ্টি হবার ফলে পরিবেশ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। এমন সুন্দর পরিবেশে কতদিন যে ঘুমায়নি তা হয়তোবা আমার মনেই পড়ছে না।
বৃষ্টি শেষে বিকেলের দিকে যখন আমার ঘুম ভাঙলো তখন আমি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাইরের দিকে আসলাম। বাইরের দিকে আসার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বৃষ্টি পরবর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা। বৃষ্টির পরে পরিবেশটা যেন আরো সুন্দর হয়ে গেল। বাইরে আসার পরে আমি লক্ষ্য করলাম চারিদিকে বৃষ্টির পানি জমে গিয়েছে। অন্যদের মুখ থেকে আমি জানতে পারলাম যে আজকে টানা দুই ঘন্টা যাবত প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। সত্য কথা বলতে আমাদের এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের জন্য এই বৃষ্টিটা ছিল আশীর্বাদস্বরূপ। আমরা অনেক জায়গাতেই হয়তোবা খবরে জানতে পেরেছি স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীরা গরমের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনকি এই গরমের ফলে অনেক জায়গায় স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের মৃত্যুর খবরও আমরা শুনতে পেরেছি। আমরা অনেকদিন থেকে চাইছিলাম মোহন সৃষ্টিকর্তার কাছে যেন তিনি বৃষ্টি দিয়ে পরিবেশটাকে ঠান্ডা করে দেন। অবশেষে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিকে তাকালেন এবং আমাদের গ্রামের পরিবেশটা বৃষ্টি দেবার মাধ্যমে আবার ও বসবাসযোগ্য করে দিলেন। বৃষ্টি মহা সৃষ্টিকর্তার একটা বড় নেয়ামত।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমাদের এদিকেও আজ বৃষ্টি হয়েছে।
সত্যি বলতে অনেকদিন পর স্বস্তি বোধ করছি।
এটা বলা যেতে পারে উপর ওয়ালার রহমত।
ধন্যবাদ ভাই অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
তাহলে খুবই ভালো বিষয় আপনাদের ওদিকেও বৃষ্টি হয়েছে দেখছি।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এখানেও বৃষ্টি হয়েছে। অনেকদিন পর তৃপ্তিপয় ঘুম দিয়েছি এই বৃষ্টির মধ্যে। উষ্ণ পরিবেশটা সত্যিই বিরক্তিবোধ সৃষ্টি করেছিল এই বৃষ্টির মাধ্যমে শান্তি বয়ে আনলো।
আসলে এই গরমের হাত থেকে কিছুটা বাঁচা গেল
আজ মনে হয় প্রায় সারা দেশেওই বৃস্টি হয়েছে। ঢাকাতেও প্রায় ৩ ঘন্টার মতো বৃস্টি হয়েছে। জনজীবনে যেন স্বস্তি নেমে এসেছে। আর বৃস্টি পরবর্তি গাছ পালা দেখতে বেশ ভাল লাগে।
আমাদের খুব একটা বেশি বৃষ্টি হয়নি মাত্র কয়েক মিনিট বৃষ্টি হয়েছে
আমি কাল বৃষ্টি পাঠিয়ে দিলাম। দেখলেন তাই বৃষ্টি হলো।💭 এটা সত্যি শান্তিতে বেশ অনেক দিন ঘুমানো হয়না।আজ আমাদের এখনেও অনেক বৃষ্টি হয়ে শহরটা ঠান্ডা করে দিয়ে গেলো।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কি কথা আপু আপনি বৃষ্টি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলেই মনে হয় বৃষ্টি হয়েছিল
২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনাদের ওইখানে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল। আর আমাদের এইখানে ছয় ঘন্টাও বিদ্যুৎ ছিল না। এই গরমের কারণে স্কুল কলেজে অনেক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যাক আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি দেখা গেল। তবে আমাদের এই দিকে ভোরবেলা থেকে দশটা এগারোটা পর্যন্ত অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আর আপনাদের ওইখানে জুমার পরে বৃষ্টি হয়েছে। সত্যি বৃষ্টি দেখে অনেক ভালই লাগলো। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বিদ্যুতের অবস্থা আমাদের এদিকে খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে চলছে
আসলে বৃষ্টির পরে প্রকৃতিক দৃশ্য দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে আমি বরাবরি চেষ্টা করি বৃষ্টির পরে বাহিরে বের হওয়ার কারণ তখন আকাশে খন্ড খন্ড মেঘ এদিকে ওদিকে উরাউরি করে এই দৃশ্যটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রচন্ড গরমে আসলেই জনজীবন অনেক বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল তবে এখন অনেকটাই স্বস্তি চারিদিকে একটা ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
এটা ঠিক গরমে সকলের জীবনটাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল কিছুটা সুস্থ হয়ে গেল
কোথায় কারেন্টের বাতাস আর কোথায় প্রকৃতির বাতাস অনেক তফৎ ভাইয়া। প্রকৃতির বাতাস ভালই তবে অবশেষে এখানেও বৃষ্টি হলো বেশ ভালোই হলো। পরিবেশটা একটু ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব করতেছি এখন।
বাতাস হয়েছিল বলেই পরিবেশটা কিছুটা ঠান্ডা হতে শুরু করে দিয়েছিল।
একদিকে গরম আর অন্যদিকে লোডশেডিং মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। আর কারেন্ট হচ্ছে এখন সোনার হরিণের মত। যাক অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিলল এটাই বড় কথা। তবে জুমার নামাজের পর থেকে আপনাদের ওখানে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আমাদের এদিকে ভোরবেলা থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেক বৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা সবাই আশা করলাম বৃষ্টির জন্য। আল্লাহ আমাদের আশাটা পূরণ করেছেন।
ঠিক কথা বলেছেন ভাই কারেন্ট যেন এখন সব জায়গাতেই সোনার হরিণ হয়ে গিয়েছে।