সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একাংশ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৮/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আপনারা সবাই হয়তোবা জানেন আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমাদের স্কুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আজকে আমি আমার স্কুলের একটা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আপনারা হয়তোবা সকলেই জানেন আজকে বৃহস্পতিবার যার কারণে আমাদের স্কুলের প্রতিবারের ন্যায় আজকেও সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবারের ন্যায় এবারও কোরআন তেলোয়াত এবং তারপরে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমেই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল।
কোরআন তেলাওয়াত এবং জাতীয় সংগীতের পরেই ছিল প্রধান শিক্ষকের স্বাগতিক বক্তব্য। প্রধান শিক্ষকের স্বাগতিক বক্তব্য প্রদান করেছিলেন আমাদের স্কুলের সুযোগ্য বলে শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল হোসেন। এর আগেই আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্টটি শেয়ার করেছিলাম আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কতটা কর্মঠ ব্যক্তি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্বাগতিক বক্তব্যের একটা ভিডিও শেয়ার করছি আশা করি ভিডিওটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ভিডিও লিংক
এরপরে আস্তে আস্তে আমাদের অনুষ্ঠানের কার্যক্রম চলছিল। হঠাৎ একটা ছোট্ট মেয়ে চলে আসলো আর সে আমাদেরকে বলল সে একটা গল্প বলতে চাই। সেই ছোট্ট মেয়েটির নাম ছিল জান্নাত অরিন সে আমাদেরকে সুন্দর একটা গল্প বলে শোনালো। যে গল্পটি শুনে আমরা ছোটবেলায় খাওয়া-দাওয়া করতাম সে আমাদেরকে সেই গল্পটাই শোনালো। বলুনতো ছোটবেলার সেই প্রিয় গল্পটি কি ছিল। আমি জানি অনেকেই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারবেন আবার অনেকেই পারবেন না তাই আপনারা যদি চান তাহলে জান্নাত আরিনের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন আর শুনে নিতে পারেন সেই ছোট্টবেলার আমাদের সকলের প্রিয় গল্পটি।
এরপরে চলছিল কবিতা আবৃত্তির পালা। সকলের কবিতা আবৃতি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল এর মধ্যে থেকে সব থেকে যে কবিতা আবৃতি আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটার একটা ভিডিও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। কবিতাটির নাম ছিল হাটে যাব। হাটে যাওয়া কবিতাটি আবৃত্তি করেছিল আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মিম্মা খাতুন। সত্য কথা বলতে মিম্মা র এই কবিতা আবৃতি শুনে আমি সত্যি অবাক হয়ে গিয়েছি কেননা এর আগে আমি তার কন্ঠে অনেকবার কবিতা আবৃত্তি শুনেছি কিন্তু সে খুব একটা ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারতো না। হঠাৎ করে তার কন্ঠে এত সুন্দর কবিতা আবৃত্তি শুনে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেলাম এবং আমি তাকে প্রশ্ন করলাম তুমি এত ভালো কবিতা আবৃত্তি কিভাবে শিখলে জবাবে সে আমাকে বলল সে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে কবিতা আবৃত্তির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
সর্বশেষে যেটি আমাদের প্রত্যেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকে সেটি হচ্ছে সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমাদের স্কুলের প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য দশটি করে প্রশ্নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং সেই প্রশ্নের ভিত্তিতেই আমরা চেষ্টা করেছি বিজয়কে পুরস্কার প্রদান করতে। প্রত্যেক শ্রেণী থেকে একজন করে ছাত্র-ছাত্রীকে বিজয়ী করা হয়েছিল আর তাদেরকেই এ সপ্তাহে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
আসলে আমাদের এই কাজটির সবথেকে বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের মধ্য থেকে একটা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করার আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেন তারা আরও সুন্দরভাবে উপস্থিত হয় সে দিকটা লক্ষ্য রাখা। কেননা আমি কিছুদিন আগে লক্ষ্য করেছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিকে তাদের অনেক অমনোযোগিতা কাজ করছে তাই আমি তাদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্যই এই কাজটি করেছিলাম মূলত।
ভিডিও লিংক
সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের ভাল লাগার জন্য আমি প্রত্যেকটির ভিডিও শেয়ার করে দিয়েছি আশা করি আপনারা সেই ভিডিও গুলো দেখলে খুবই মজা পাবেন। ভিডিওগুলো দেখে আপনার কাছে কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
জান্নাত অরিনের বলা গল্পটি আমার আসলে জানা ছিল না। গল্পটি শোনার পরে মনে পড়েছে। ওর কন্ঠে গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে। তবে মিম্মার কথা শুনে বেশি ভালো লাগলো যে, ও কবিতা আবৃত্তি অনেক বেশি প্র্যাকটিস করেছে। বিশেষ করে চেষ্টা করেছে এই জন্যই ও সফল হতে পেরেছে। সব মিলিয়ে প্রত্যেক ক্লাস হতে একজনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন এটাও বেশ ভালো লাগলো।
ভাইয়া অনেক ভাল একটি উদ্যোগ।এতে শিশুদের মানষিক বিকাশ হবে।আর তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আসবে।যে বাচ্চাগুলো এখনই এত সুন্দর আবৃত্তি আর গল্প বলতেছে তার ভবিষ্যতে আরো উন্নতি করবে।