স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ সম্পন্ন করে আনলাম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , নভেম্বর ১১ /২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। ইতিমধ্যে আমি আপনাদের মাঝে আমার ব্যস্ততার কারণ শেয়ার করেছি। স্কুলের এই অনুষ্ঠানটি শেষ না করা পর্যন্ত কোনোভাবেই হাফ ছেড়ে শ্বাস নেয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমি সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটা সম্ভব আপনাদের মাঝে সময় দেবার জন্য।
এবারের সাথে আজকের পোষ্টের প্রসঙ্গে। আমার আজকের পোষ্টের বিষয়টিও মূলত আমার স্কুল কেন্দ্রিক। এইতো কয়েকদিন আগের কথা আমরা আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেবার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে এটা ছিল তাদের করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ।
আমাদের এলাকায় অটো রিক্সা নামে একটি যানবাহনের প্রচলন রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সেই ধরনের একটা অটো রিক্সা ভাড়া করেছিলাম। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে হয়েছিল আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটা প্রাইমারি স্কুলে।
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টিকা দিতে নিয়ে যাবার জন্য কয়েকজন মানুষ খুবই সুন্দরভাবে আমাকে সাহায্য করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে যিনি আমাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছেন তিনি আর কেউ নন তিনি আমাদের সকলের প্রিয় @sumon09 স্যার। এছাড়াও ওই দিনে আমাকে আরো সাহায্য করেছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মাহাদি মাহিন আম্মু এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমার আম্মু। এছাড়াও আমাকে সাহায্য করেছিল স্বাস্থ্যকর্মী এবং রায়পুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পৌঁছানোর পরে আমরা সেখানে দেখতে পেলাম তখন রায়পুর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টিকা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে দেখার পরেই রায়পুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে প্রথমে টিকা সম্পূর্ণ করার কথা বললেন। তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টিকা দেয়া বন্ধ করে আমাদের টিকা দেয়া শুরু করে দিল স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রধান শিক্ষকের এই ধরনের কার্যক্রমটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কেননা তিনি জানতেন আমরা দূর থেকে এসেছি। এছাড়াও টিকা প্রদান করার জন্য সকল কাজে রায়পুর স্কুলের শিক্ষকেরা আমাদেরকে খুব সাহায্য করেছে।
যেহেতু আমরা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম টিকা দেবার জন্য সেহেতু তারা একটু ভয় পাবে এটা স্বাভাবিক। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাদেরকে সাহসের সাথে টিকা প্রদান করার জন্য। এর জন্য তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের উপদেশমূলক বাক্য বলতে হয়েছিল আমাকে। আমি তাদেরকে বলেছিলাম আজকে আমি দেখতে চাই তোমাদের মধ্যে কে সব থেকে বেশি সাহসী। আমার এই কথাটির প্রমাণ দেবার জন্য তারা যতই ছোট হোক না কেন কেউ কেঁদেছিল না। বিষয়টি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। আর আমরা যেভাবে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা সম্পূর্ণ করেছিলাম তা দেখে স্বাস্থ্যকর্মীসহ রায়পুর স্কুলের সকল শিক্ষকরা খুশি হয়েছিল। সবমিলিয়ে যখন আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দেয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেল তখন আমরা পুনরায় সেই অটো রিক্সা ওয়ালা কেফোন দিয়ে ঢেকে নিলাম লাম স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপরে তিনি চলে আসলেন আর আমাদেরকে নিয়ে পুনরায় ফিরে আসলেন আমাদের স্কুলে।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা। যদিও এটা বর্তমান সময়ে আমরা ততটা ভয়াবহ মনে করছি না তারপরও আমাদের উচিত নিজেদের দিক থেকে সতর্ক থাকা। এই ধরনের সতর্কতার জন্যই মূলত আমরা আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ দেবার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম।
আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনারা সবাই সহযোগিতা করে ছাত্র ছাত্রীদেরকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ দিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।এসব কাজ কখনো একা করা সম্ভব না।সবার সহযোগিতা অনেক দরকার।সুমন ভাই সহযোগিতা করেছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েরা সহযোগিতা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
যদি আমি একা ওদেরকে নিয়ে যেতাম তাহলে হয়তোবা আমি পাগল হয়ে যেতাম
ছাত্রছাত্রীদের প্রথম করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ করার মুহূর্তটা পরলাম বেশ ভালো লাগলো। পরে বুঝলাম সকলে সাহায্যে আপনারা খুব সুন্দর ভাবে এটা সম্পন্ন করেছেন। এখানে সুমন ভাই ও সহযোগিতা করেছে জেনে ভালো লাগলো। আর যে তোরা বাচ্চা ছিল তাই টিকা দেওয়ার সময় তো ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
তারপরও তারা খুব একটা বেশি ভয় পায়নি কারণ আমি তাদেরকে আগে থেকেই সাহস দিয়ে দিয়েছিলাম
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে রায়পুর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আচার-আচরণ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাদেরকে দেখার সাথে সাথে উনি আপনাদের ছাত্রছাত্রীদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন। যদিও আপনারা অনেক ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গিয়েছিলেন। বিষয়টি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক কথা বলেছেন আপু রায়পুর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আচরণটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে