পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের পরিচর্যা পর্ব-১
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার , নভেম্বর ২/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। বৃক্ষকে ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়তোবা পৃথিবীতে খুব একটা বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। বৃক্ষকে ভালোবাসা আমাদের সকলেরই উচিত কেননা আমাদের জীবন ধারণের জন্য বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সময়ে একটি দেশে শতকরা যত পারসেন্ট বনভূমি থাকার প্রয়োজন তার পরিমাণটা অনেক কমে গিয়েছে। এজন্য আমাদের সকলের উচিত আমাদের দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করা। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমাদের স্কুলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বিষয়গুলো। বৃক্ষ শুধুমাত্র রোপন করলে হবে না তার পরিচর্যাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিচর্যা না করলে তারা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না। তাই মাঝে মাঝেই এগুলোর পরিচয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
বৃক্ষরোপন এবং পরিচর্যার ক্ষেত্রে আমি @sumon09 স্যার এবং আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম স্যার সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। আজকে স্কুলে আসার কিছুক্ষণ পরেই আমরা স্কুল বাগান পরিদর্শন করতে যেয়ে দেখলাম সেখানে অনেকগুলো আগাছা জন্মগ্রহণ করেছে। আমরা তিনজন চিন্তা করলাম আজকে স্কুল ছুটির পরে আগাছা গুলো পরিষ্কার করতে শুরু করব।
সত্য কথা বলতে সেই চিন্তা ধারাকে কাজে লাগিয়েই আমরা তিনজন প্রথমে আগাছা পরিষ্কার করতে শুরু করে দিলাম। দূরে দেখতে পেলাম ম্যাডামরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছে আর মজা করছে আমাদের আগাছা পরিষ্কার করতে দেখে। যখনই আমি বললাম যে আজকে আগাছা পরিষ্কার করার ছবি ধারণ করা হবে এবং আমাদের স্কুলের ফেসবুক আইডিতে সেগুলো প্রকাশ করা হবে সাথে সাথে সকল ম্যাডাম চলে আসলো আগাছা পরিষ্কার করার জন্য।
তাদেরকে যদি ফেসবুকে ছবি দেবার এই মিথ্যা কথাটি না বলতাম তাহলে তারা আগাছা পরিষ্কার করতে আসতো না। শুধুমাত্র আমাদের তিনজনকে কাজ করতে হতো। একটা জিনিস হয়তোবা সবাই সমর্থন করবে কিনা আমি জানিনা কিন্তু বিষয়টি সত্য। সেটা হচ্ছে স্কুল কলেজ অথবা বিভিন্ন জায়গায় যে সকল মেয়েরা চাকরি করে তারা কিন্তু অনেকটাই ফাঁকিবাজ হয়ে থাকে। তারা সব সময় চেষ্টা করতে থাকে কিভাবে ফাঁকি দেয়া যায়।
এইজন্য আমাদের স্কুলের ম্যাডাম গুলোকে সেই ফাঁকি থেকে সরিয়ে আনার জন্য একটু আলাদা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। ফলে সামান্য মিথ্যা কথার আশ্রয় নিতে হয় যেন তারা উৎসাহিত হয়ে স্কুলের কাজে মনোনিবেশ প্রকাশ করে। এই মিথ্যা কথা বলার সাথে সাথে তারা চলে আসলো কাজ করার জন্য, ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আগাছা পরিষ্কারের আজকের এই কার্যক্রমটি আমরা সম্পূর্ণ করতে পারলাম।
আপনাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলতে চাই যতটা সম্ভব বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ করুন এবং বৃক্ষের পরিচর্যা করুন। বৃক্ষ আপনাকে কোনদিন ক্ষতি করবে না সব সময়ই আপনার উপকার করে যাবে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বৃক্ষ মানুষ সহ প্রত্যেকটি জীবের জন্য ভূমিকা পালন করে যাবে। তাই আমি একটা কথাই বলতে চাই গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান।
আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
স্কুল পরিবেশকে রক্ষা করার জন্যই মূলত এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি
বৃক্ষ রোপন আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।দিন দিন আমাদের দেশ মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।তাই আমাদের সকলের উচিত বৃক্ষকে ভালোবাসা এবং বৃক্ষ রোপনে এগিয়ে আসা,সবাইকে উৎসাহিত করা।খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আগাছা পরিষ্কার করতেছেন।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এই মরুভূমির হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্যই আমাদের সকলের গাছ লাগানো উচিত
আপনার এর আগেও একটা বৃক্ষরোপণের পোস্ট দেখেছিলাম। এটা একদম ঠিককাজ করছেন। বৃক্ষ খালি রোপন করলেই আমাদের কাজ শেষ নয়। এরপর একে পরিচর্চাও করতে হবে। আজকাল স্যোশাল মিডিয়ার যুগে এই ফেসবুক মানুষকে কতকিই না করিয়ে দিলো। আপনি ভালো ট্রিক অ্যাপ্লাই করেছেন।
আসলে বৃক্ষ রোপনের পরে পরিচয় আশা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ না হলে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না
আপনি ঠিক বলেছেন বৃক্ষ শুধু রোপন করলেই হবে না, তার পরিচর্চা দরকার।আপনার স্কুলের ম্যাডামরা মনে হচ্ছে একটু অলস প্রকৃতির। আপনি মিথ্যা না বললে হয়তো তারা আপনাদের সাহায্য করতে আসতো না।আপনি দারুণ একটা উদ্যোগ নিয়েছেন, বৃক্ষ রোপন করা তার পরিচর্চা করা আমাদের সবারই দায়িত্ব।
ম্যাডামরা অবশ্য অলস নয়। বুঝতে পারছেন প্রাইভেট স্কুল। এক্সট্রা অনেক কাজ করা লাগে। তাই সকলের সব সময় প্রস্তুত থাকেনা। তাই ইয়ং শিক্ষক হিসেবে আমার আর মুস্তাফিজুরের সে সমস্ত দিকগুলো দেখা লাগে। যখন নিজেদের একার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না, তখন এমন বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেই কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
ঠিক বলেছেন ওদেরকে কিছু করাতে হলে একটু কৌশল অবলম্বন করতেই হবে
অলসদেরকে এই ভাবেই সোজা রাস্তায় আনতে হয়
আসলে যে কোন কাজেরই যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন। তেমনি বৃক্ষ শুধুমাত্র রোপন করলেই হবে না এটার যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করতে হবে। আপনার কথাটাই আমি একেবারে একমত। বিশেষ করে আপনারা সবাই মিলে একসাথে কাজটা করছেন এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে ছিলাম তখন আমরা ও এরকম স্কুলের কাজ করতাম একসাথে।
সত্য কথা বলতে একত্রিতভাবে এই ধরনের কাজগুলো করতে ভালই লাগে
কিছু কাজ রয়েছে যা নিজ দায়িত্বে করা লাগে। তবে সকলের মন মানসিকতা তো এক নয়। তাই স্কুলের স্বার্থে,দেশে ও জাতির স্বার্থে বিশেষ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। যে সমস্ত কৌশল গুলো দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর। এই পোস্টে আমাদের যেই কৌশলটা অবলম্বন করা হয়েছে তা শুধু স্কুলের জন্য নয় বরঞ্চ দেশের জন্য উপকার। আজকের চারা গাছ পরিচর্যা ফলে একদিন হয়ে উঠবে স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যরকম মাধ্যম। পাশাপাশি আরো অনেক চাহিদা পূরণ করবে আমাদের সকলের জন্য। তাই বলতে পারি আমাদের কৌশলটা সকলের জন্যই গ্রহণযোগ্য।
তাইতো না থাকলে তো করাই দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না তাই কাউকে না কাউকে দায়িত্ব গ্রহণ করতেই হবে।