শীতকালীন ফুল গাছ লাগানোর প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হল
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, নভেম্বর ৩০/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। শীতকাল আসলেই প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সাজতে শুরু করে দেয়। আমাদের চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই আমরা সুন্দর সুন্দর রংয়ের ফুল দেখতে পাই। আমিও ফুল প্রেমিকা একজন মানুষ তাই সবসময় চেষ্টা করি ভুলের বাগান তৈরি করার জন্য। সেই চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এবার আমি আমাদের স্কুলে একটা ফুলবাগান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যখন আমি সুমন স্যারের সাথে কথা বললাম তখন তিনি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। পরে শিক্ষকদের নিয়ে শুরু করে দিলাম ফুলগাছ লাগানোর প্রথম কার্যক্রম।
যদিও প্রত্যেক শিক্ষক প্রথমের দিকে বিষয়টিতে রাজি ছিল না। প্রথমে আমাদের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল হক আমি এবং সুমন স্যার বিষয়টি চিন্তা করলাম। চিন্তা করার সাথে সাথেই কাজ শুরু করে দিলাম ফুল গাছ লাগানোর জন্য মাটি খনন করার। একপর্যায়ে যখন অন্যান্য শিক্ষকেরা দেখতে পেল আমরা কোনভাবেই কাজে ফাঁকি না দিয়ে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছি তখন তারাও আমাদের সাথে কাছে হাত লাগাতে শুরু করল।
আমরা যে জায়গাটিতে ফুল গাছের বাগান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা একটু বেলে মাটির এলাকা। জায়গাটি বেলে মাটির হবার কারণে পানি ধারণক্ষমতা খুবই কম। এজন্য সেখানে খুব একটা ভালো ফুল গাছ হবে বলে আমার কাছে মনে হয় না তারপরও আমি কাজ শুরু করে দিলাম। আপনারা হয়তোবা ছবিতে ম্যাডামদেরকে দেখতে পাচ্ছেন তারা কাজ করছে কিন্তু তাদের কাজ করার আসল ঘটনাটি অন্যরকম। বিশ্ব ফাঁকিবাজ বলা চলে এই ধরনের ম্যাডামদেরকে। তারা কোনভাবেই কাজ করতে রাজি হয় না এর জন্য আমি একটু অন্য ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তাদেরকে কাজে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আমি বলি যে আজকে ছবি তুলে আমাদের স্কুলের ফেসবুক আইডিতে ছবিগুলো প্রকাশ করা হবে। কথাটি বলার সাথে সাথে তারা চলে আসে কাজ করার জন্য।
আমাদের এই কাজে সব থেকে বেশি যে ফাঁকিবাজি করে সেই হচ্ছে আমাদের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। যদিও তিনি প্রথমে কাজ করতে একেবারেই রাজি ছিল না তারপরও আমরা জোর করে তাকে দিয়ে কাজ করিয়েছি। উপরের ছবিটি লক্ষ্য করলে হয়তো বা আপনারা বুঝতে পারবেন তিনি সবসময় একটু সেজেগুজে থাকতে পছন্দ করেন। আর সুমন স্যার এই দিনে একটু অসুস্থ ছিল অসুস্থ থাকার পরেও তিনি আমাদের সাথে প্রচুর পরিমাণে কাজ করেছে।
এই মাটি খনন করার জন্য আমাদের কে দীর্ঘ কিছু সময় পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবশেষে আমরা ১৪৪ টি ফুল গাছ লাগানোর মতো জায়গা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি এবার শীতে আমাদের স্কুলকে আমরা একটা পার্কের মতো করে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে রূপান্তরিত করতে পারব। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এটুকুই শেয়ার করলাম। পরবর্তী পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে ফুল গাছ লাগানোর বিষয়গুলো শেয়ার করব। সেই পোস্টটি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন এই বছর শীতে আমরা আমাদের স্কুলে কোন ধরনের ফুল গাছগুলো লাগিয়েছি। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনাদের যৌথভাবে করা কাজগুলো প্রতিনিয়ত দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন শীতকালীন ফুলের বাগান করতেছেন।আশা করি কিছুদিনের মধ্যে আমরা খুব সুন্দর একটি ফুল বাগান দেখতে পাবো।
আমরা সবসময় চেষ্টা করি যৌথভাবে যেকোনো কাজ করতে।
আসলেই সব জায়গায় কিছু কিছু এরকম ফাঁকিবাজ থেকেই থাকে। যারা কাজ করতে চাই না তো চাইই না। আপনি ম্যাডামদের কে কাজ করার জন্য খুব দারুণ একটি আইডিয়া বের করেছিলেন।হাহাহা যাই হোক আশা করি আপনাদের ফুলগাছ গুলো খুব তাড়াতাড়ি সুন্দর বড় হয়ে যাবে এবং ফুল ফুটবে।
আসলে যারা একটু ফাঁকিবাজ হয়ে থাকে তাদেরকে একটু ফাঁকি দিয়েই কাজ করাতে হয়।