অভিভাবক সম্মেলন এবং দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার , সেপ্টেম্বর ১ /২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। কয়েকদিন আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারিনি এর জন্য প্রথমেই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আমাদের স্কুলের ২য় সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে। আসলে এবার পরীক্ষার সকল দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছিল যার ফলে খুব ব্যস্ত সময় পার করেছি এই কয়দিন। পরীক্ষার শেষে আমার ছয়টি বিষয়ের খাতা দেখা থেকে শুরু করে রেজাল্ট শিট তৈরি করা পর্যন্ত সকল দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। এই কারণেই মূলত আমি সম্ভবত তিন দিন আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পারিনি। সকল কার্যক্রম শেষে এখন আবার আমি আপনাদের মাঝে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসার চেষ্টা। আশা করি এখন থেকে প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পারবো।
এবার আসি আজকের পোষ্টের বিষয়ে, আপনারা হয়তোবা সকলে জানেন আমাদের স্কুলে প্রত্যেক মাসের ২০ তারিখে অভিভাবক সম্মেলন শুরু হয় কিন্তু এই মাসের ২০ তারিখে আমাদের স্কুলে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবার কারণে আমরা ঐদিন অভিভাবক সম্মেলন আয়োজন করতে পেরেছিলাম না। তাই আমরা আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম আর সেই অভিভাবক সম্মেলনের সাথে সাথে আমরা আমাদের স্কুলের অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছিলাম।
বরাবরের মতো এবারও আমরা আমাদের অভিভাবক সম্মেলনের অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। কোরআন তেলাওয়াত শেষ হবার পরেই আমরা জাতীয় সংগীত সবাই পরিবেশন করেছিলাম কেননা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার একটা নিয়ম করে দিয়েছে সেটি হচ্ছে স্কুলের যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই জাতীয় সংগীত গাইতে হবে।
তাই আমরা সকলে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের উদ্দেশ্যে জাতীয় সংগীত গেয়েছিলাম। এবারই প্রথম আমরা অভিভাবক সম্মেলনে জাতীয় সংগীত পরিচালনা করলাম ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
জাতীয় সংগীত শেষ হয়ে যাবার পরে আমাদের স্কুলের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
তারপরে আমরা সুযোগ দিয়েছিলাম অভিভাবকদেরকে কেননা তারাই আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল। আমরা তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছিলাম আমাদের স্কুল সম্পর্কে তাদের ভালোলাগা এবং মন্দ লাগার বিষয়গুলো। এই ধরনের অভিভাবক সম্মেলনের কারণে আমরা খুবই সহজেই আমাদের দুর্বলতার বিষয়গুলো অভিভাবকদের কাছ থেকে ধারণা লাভ করতে পারি আর এর মাধ্যমেই আমরা সেই বিষয়গুলোতে আরো ভালো করার চেষ্টা করে থাকি।
বর্তমান সময়ে আমাদের স্কুলের সকল অনুষ্ঠান গুলোকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা সবসময়ই আমাদের উপজেলার শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তিদেরকে আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই। এতে করে তিনি যেমন আমাদের স্কুলের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা লাভ করে থাকে আবার তারাও তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা মূলক উপদেশ প্রদান করে থাকে। আমি মনে করি আমরা প্রতিনিয়ত যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে কাজ করতে পারি তাহলে আমাদের আগামীর পথ চলা আরো সুন্দর এবং সহজ হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আমি দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলাম একই সাথে যারা দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাদেরকে পুরস্কার প্রদান করলাম। আসলে অনেকেই পরীক্ষার বিষয়টিকে ভয়ের কারন বলে মনে করে কিন্তু আমি চেষ্টা করছি যেন পরীক্ষাটা তাদের কাছে একটা আনন্দের বিষয় মনে হয় সেই ভাবে কাজ করার।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
সত্যি বলতে খুব ভালো লাগছে আপনি একটি দায়িত্ববান মানুষ বললেই চলে।অভিভাবক সম্মেলন এবং দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ। বুঝতে পারলাম আপনি দ্বিতীয় শ্রেণীর সব দায়-দায়িত্ব আপনার উপর পড়েছে। তার মধ্য দিয়ে আপনি আমাদের সময় দিয়েছেন ভালবেসে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া এভাবেই এগিয়ে যান শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই সকল দায়িত্বগুলো যদি না পালন করি তাহলে শিক্ষক হলাম কিভাবে
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপনাদের স্কুলে অবিভাবক সম্মেলনে দেখে অনেক ভালো লাগল। মাঝে মধ্যে অবিভাবকদের নিয়ে সম্মেলন করলে অনেক ভালো হয়।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমরা চেষ্টা করি প্রত্যেক সপ্তাহেই এই ধরনের অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন করতে
আমি এখনো ছাএ তবে খাতা দেখা রেজাল্ট তৈরি করার অভিজ্ঞতা টা আমার আছে। তাই জানি এটা কতটা ঝামেলার কাজ। প্রতিমাসে অভিভাবক সম্মেলন করা ভালো এতে করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে পরিবারকে জানানো যায়। বেশ সফলতার সঙ্গে সম্মেলনটা শেষ করেছেন এবং ফলাফল দিয়েছেন।।
সত্যি কথা বলতে ভাইয়া রেজাল্ট তৈরির বিষয়টি একটু কষ্ট হলেও ভালই লাগে
দ্বিতীয় সামরিক পরীক্ষার উপলক্ষে যে অভিভাবক সম্মেলনের অনুষ্ঠান করেছেন সত্যিই এটি অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে কোরআন তেলাওয়াতের পর মুহুর্তে জাতীয় সংগীত ।এরপরে শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তিদের বক্তব্য সবকিছুই আপনি তুলে ধরেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।।
আসলে ভাইয়া আমরা সকলেই নিয়ম মেনে কাজ করতে চাই তাই এই ধরনের কাজগুলো করেছি