গাছটিকে একটু সুন্দর করে রাখার চেষ্টা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার , ফেব্রুয়ারি ৮/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি এটার ছবি অনেকদিন আগে তুলে রেখেছিলাম। হয়তোবা এই ছবিগুলো তুলেছিলাম বর্ষাকালের দিকে। কখন যে ছবিগুলো গ্যালারির নিচের দিকে চলে গিয়েছে মনেই পড়ে না। আজকে যখনই হঠাৎ গ্যালারির নিচের দিকে যেতে শুরু করলাম তখন দেখতে পেলাম ছবিগুলো। তখনই আমার মনে পড়ে গেল যে এই ছবিগুলো দিয়ে তো আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করতে চেয়েছিলাম।
দিনটি ছিল বর্ষাকালের কোন এক দুপুর। আপনারা হয়তোবা সকলেই জানেন বর্ষাকালে গাছে প্রচুর পরিমাণে শাখা-প্রশাখা গজায় যার কারণে গাছগুলো অনেকটাই অগোছালো হয়ে যায়। আর যে গাছটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি আমাদের স্কুলের ঠিক মধ্যে অবস্থিত হবার কারণে আমরা সব সময় চেষ্টা করে গাছটিকে একটু গোছালোভাবে রাখতে। অর্থাৎ আমরা চেষ্টা করি গাছের এলোমেলো ডাল গুলো কেটে দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে সেটাকে প্রদর্শন করতে। গাছের ডাল কাটার জন্য কাকে গাছে তুলব সেটা ভাবতে পারছিলাম না। হঠাৎ করে আমাদের সকলের প্রিয় @sumon09 স্যার গাছে উঠতে রাজি হল।
সে আস্তে আস্তে গাছের এলোমেলো ডালগুলো কেটে ফেলে দিতে শুরু করলো। আমি ভাবতেই পেরেছিলাম না যে তিনি কাছে উঠতে পারে। এজন্যই মূলত আমি ছবি তোলার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম তিনি খুব ভালোভাবেই গাছে উঠল এবং গাছের যে সকল ডালগুলো এলোমেলো হয়েছিল সেগুলো খুবই চমৎকারভাবে কেটে কেটে ফেলে দিল।
সুমন স্যারের কাজ শেষ হতেই শুরু হয়ে গেল আমরা যারা নিচে আছি তাদের কাজ। আমি তো ফটোগ্রাফি করছিলাম যার কারণে কাজে কিছুটা ফাঁকিবাজি করতে পেরেছি। অন্যান্য যারা ছিল তাদের আমি বলে দিলাম যে এই ডালগুলো দূরে রেখে আসতে। যেন ডালগুলো খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে পারে এজন্য সেগুলোকে খোলা আকাশের নিচে রোদে রাখার জন্য বললাম। যদিও আমি জানতাম যে বর্ষাকাল হবার ফলে ডালগুলো খুব ভালোভাবে শুকাবে না। যখনই সুমন স্যারের কাজ শেষ করে নিচে নেমে আসলো তখন আমরা সকলে মিলে গাছের ডাল গুলোকে দূরে সরিয়ে নিতে শুরু করলাম।
এই গাছের ছবিগুলো দেখে আমার অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছে আজকে। যে গাছটিকে আমরা এত সুন্দর করে রাখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস টি আর এখন বেঁচে নেই। কিছুদিন আগে বজ্রপাতের ফলে গাছটি মারা গিয়েছে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তাইতো বলি গাছের লোকটির সঙ্গে আপনার চেহারার মিল নেই্ কেন। সুমন স্যারকে যে গাছে তুললেন পরে হাত পা ভাঙলে তার দায়ভার কে নিবে বলেন তো। গাছে চড়ার ব্যাপারে সাবধান। আপনাদের স্কুলটা মনেহয় অনেক সুন্দর তাই না?
স্কুলটা অনেক সুন্দর এটা সত্য কথা ভাইয়া, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি স্কুলকে আরো সুন্দরভাবে তৈরি করার জন্য।