রাত দুপুরে মুড়ি পার্টি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি যে বিষয়টা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি সেটা হয়তোবা আপনাদের অনেকের প্রিয় একটা জিনিস। হয়তোবা এমনটা করার সৌভাগ্য আপনারা অনেকেই ছোটবেলায় পেয়েছেন কিন্তু এখন আর সময় সুযোগ কোনটাই হয় না। আমার সময় শুরু হলেও এমন কাজ করার মত সঙ্গী খুজে পাওয়া যায় না। আসলে এমন কাজগুলো মেস লাইফে সব থেকে বেশি পরিমাণে করার সুযোগ থাকে।
যেহেতু এমন জীবন থেকে অনেক আগেই অবসর নিয়ে নিয়েছি তাই চাইলেও এমনটা করার সুযোগ পেতাম না। আপনারা হয়তো অনেকেই আমার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন কিছুদিন আগে আমি কুষ্টিয়াতে শারীরিক শিক্ষা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হবার জন্য গিয়েছিলাম। যেহেতু কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম তাই একটি রাত সেখানে বন্ধুদের সাথে থেকে গিয়েছিলাম। আর সে যদি পেয়ে গেলাম এমনই একটা সুযোগ।
এতক্ষণ প্রায় বারোটা বাজে সকালে সিদ্ধান্ত শুরু করলাম এখন কি করা যায়। অনেকের অনেক ধরনের সিদ্ধান্তের মধ্যে থেকে অবশেষে সিদ্ধার্থ হল আমরা এই রাতের বেলায় মুড়ি পার্টি করব। যেমন কথা তেমনি কাজ, যেহেতু শহরের উজ্জ্বল তাই যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস পাওয়া যায়। কয়েকজনকে নিচে পাঠিয়ে দেয়া হল নিচে মুড়ি কিনতে। কয়েকজন নিচে চলে গেল আর আমরা যারা উপরে ছিলাম তারা অন্যান্য উপকরণগুলো তৈরি করতে শুরু করে দিলাম। মুড়ি মাখানোর জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে বেশি পরিমাণে। যদি বেশি পরিমাণে কাঁচামরিচ দেওয়া হয় তাহলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। নিচে তাদেরকে পাঠিয়ে ছিলাম তাদেরকে ধনিয়া পাতা আনার জন্য বলেছিলাম কিন্তু রাত অনেক হয়ে যাবার কারণে ধনিয়া পাতা পাইনি। আর ধনিয়া পাতা না পাওয়ার কারণে আমরা কাঁচামরিচের পরিমাণটা একটু বেশি দিয়েছিলাম।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি মুড়ি পার্টি করার ক্ষেত্রে সব জায়গাতে একজন ব্যক্তি থাকে সে প্রচুর পরিমাণে মুড়ি খেতে পারে। বেশি পরিমাণে কাঁচামরিচ দেবার কারণে অনেকেই খেতে পারছিল না কিন্তু সেখানেও এমনই একজন ছিল যে কোনভাবেই খাওয়া বন্ধ করছিল না। অবশেষে যখন সকলে ঝালের কারণে ক্লান্ত হয়ে গেল তখন সে একাই মুড়ি খেতে শুরু করে দিল আর সব মুড়ি একাই শেষ করে ফেলল।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনার মুড়ি পার্টি দেখে তো এখন আমারও মুড়ি খেতে মন চাচ্ছে। আসলে সবাই মিলে মুড়ি খেতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।আর সবাই মিলে খেলে কখন যে ফুরিয়ে যায় তা বোঝায় যায় না।অনেক মরিচ দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে।তবে অনেকে আছে অনেক ঝাল হলেও গপাগপ খেতে পারে।আপনাদের দলেও তেমন ছিলো একজন।
খেতে মন চাইলে আর কি করার আছে আপু খেতে শুরু করে দিন।
রাতের বেলা আপনাদের মুড়ির পার্টি ছবি দেখে তো ক্ষুধা পেয়ে গেল, বন্ধুদের সাথে এই ছোট ছোট অনুভূতি এই ছোট ছোট স্মৃতিগুলো কিন্তু অনেক বেশি আনন্দদায়ক হয়ে থাকে।
আসলে এই জিনিসগুলো রাতের বেলায় খেতেই সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
শীতের রাতে অথবা বর্ষার দিনে আমার খুবই ভালো লাগে এভাবে চানাচুর মুড়ির আয়োজন করতে। আমি তো প্রায় এই আয়োজন করে থাকি। এর আগে বন্ধুরা মিলে ৮-১০ জন বসে পড়তাম পীরতলার রাস্তার পাশে। যাইহোক সুন্দর হয়েছে মুড়ি পার্টির পোস্টা।
ঠিক বলেছেন এই জিনিসগুলো রাতের বেলায় এবং বর্ষার সময় খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
আপনাদের মুড়ির পার্টি দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। এই ভাবে সবাই মিলে মুড়ি খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আমরা প্রায় সময়ই পরিবারের সবাই মিলে এইভাবে মুড়ি মাখিয়ে খাই। আমার কাছে বেশ দারুন লাগে। তবে ঠান্ডা দিনে বেশি করে ঝাল দিয়ে মুড়ি মাখালে সেটা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ঠান্ডার দিনে এই জিনিসগুলো খাবার মধ্যে সবথেকে বেশি মজা রয়েছে।
আগে যখন ম্যাচে থাকতাম প্রায় রাতেই ম্যাচের সবাই মিলে এরকম মুড়ি পার্টির আয়োজন করতাম।
আসলে খাবারটা যেমনই হোক না কেন সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম।
ফটোগ্রাফি এবং খাবারের দৃশ্য দেখে সত্যি খুব আফসোস হচ্ছে আবার যদি এরকম জীবন ফেরত পেতাম।
আসলে যখন একসাথে অনেকজন থাকা হয় তখনই এই জিনিসগুলো করা হয়ে থাকে।