জেনারেল রাইটিং: বৃষ্টি ভেজা ঈদুল আযহা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার, জুলাই ০২ /২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে। দেখতে দেখতে ঈদুল আযহা শেষ হয়ে গেল। চিন্তা করেছিলাম এই ঈদুল আযহাতে বেশি ছুটি পেয়েছি তাই একটু ভালোভাবে ঘোরাঘুরি করব। কিন্তু ঘুরাঘুরি করার মত সেই ধরনের সুযোগ ছিল না। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়েছে। যেহেতু ঈদের দিনে প্রচুর পরিমাণে কাজ থাকে তাই ঘুরতে যাবার মতো তেমন কোন সুযোগ হয় না। এজন্য সকলেই চেষ্টা করে ঈদের পরের দিনে পরিবারের সাথে কোন না কোন জায়গায় ঘুরতে যাবার জন্য। সকলের মত আমিও প্লান করেছিলাম যে পরিবারের সাথে কোথাও ঘুরতে যাব। একই সাথে আমাদের স্কুলের উপদেষ্টার বাড়িতে আমাদের দাওয়াত ছিল।
সকাল থেকেই অনবরত বৃষ্টি হতে শুরু করেছিল ঈদের পরের দিনে। বৃষ্টির পরিমাণটা এতটাই বেশি ছিল যে কোনভাবেই বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। আমাদের স্কুলের শিক্ষকেরা দুপুরের দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তারা কষ্ট করে হলেও স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে উপদেষ্টার বাড়িতে যাবার জন্য। আমিও কষ্ট করে যেকোনো ভাবে ভিজতে ভিজতে পৌঁছে গেলাম আমাদের স্কুলে। সেখানে পৌঁছানোর পরে যেন আমাদের বিপদের পরিমাণটা আরো বৃদ্ধি পেয়ে গেল। এমনই মুষলধারে বৃষ্টি হতে শুরু করল তা যেন থামার কোন নাম নিচ্ছিল না। দুপুর বারোটা থেকে আমরা তিনটা পর্যন্ত স্কুলে বসে অপেক্ষা করতে থাকলাম কোনভাবেই বৃষ্টি কম ছিল না। কতটা বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল তা হয়তোবা আপনারা উপরের ছবিগুলো দেখেই কিছুটা বুঝতে পারছেন।
বৃষ্টির কারণে চারিদিক যেন অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও আমরা যখন বাড়ি থেকে চলে এসেছিলাম তাই সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলাম যত দেরি হোক না কেন আমরা সকলে উপদেষ্টার বাড়িতে যাব। অবশেষে চারটার দিকে বৃষ্টির কিছুটা কমে গেল এবং আমরা তখন সকলে উপদেষ্টার বাড়িতে যেতে সক্ষম হলাম। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় ঈদের পরের দিনে মনে হয় না আমাদের এলাকার কোন মানুষ কোথাও ঘুরতে যেতে পেরেছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমেছিল তখন হয়তোবা কিছু কিছু মানুষ হালকা পরিমাণে ঘুরতে সক্ষম হয়েছিল। সত্য কথা বলতে বৃষ্টির কারণে এবারের ঈদটা অনেকেই মজার সাথে অতিবাহিত করতে পারেনি। আপনাদের এলাকাতে কেমন বৃষ্টি হয়েছিল তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে ঈদের দিনে বৃষ্টি হলে আমার কাছে খুব বিরক্তিকর লাগে । আমাদের এখানেও সকাল থেকে বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টি ছিল। তারপর আকাশ বেশ পরিস্কার ছিল। বিকেলের দিকে একদম পরিষ্কার ছিল । রাতের বেলা ঘুরতে ও বেরিয়েছিলাম । আপনাদের ওখানে দেখছি আমাদের থেকে প্রচুর পরিমাণে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে । যার কারণে আপনারা নির্ধারিত সময় এ উপদেষ্টার বাড়িতে যেতে পারেননি তবুও শেষে যেতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ।
কি আর করা যাবে আপু এই বিরক্তিকর অবস্থাতেই বসেছিলাম সারাদিন।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৃষ্টি ভেজা ঈদুল আযহা। আসলে ঈদের দিন আমাদের এলাকাতেও হালকা-পাতলা বৃষ্টি হয়েছিল। আসলে আপনার শেয়ার করা ছবিগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যাচ্ছে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল ওই দিনে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল ঈদের পরের দিন।
বৃষ্টির কারণে আমরা অনেক সময় বিপদে পড়ে যাই। আসলে বৃষ্টি বন্ধ না হলে কোথাও যাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। কোথাও গেলে সেখান থেকে বাড়ি ফেরাও মুশকিল হয়ে যায়। তবে এবার ঈদের দিন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতেই বেশ বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টি ভেজা দিন নিয়ে আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু বাড়ি ফেরা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল বৃষ্টির কারণে
বৃষ্টির পরিমাণ তো অনেক বেশি ছিল দেখেই বুঝা যাচ্ছে ঈদের সময় যদি এমন বৃষ্টি হয় তাহলে তো ঘোরাঘুরি করা একদম হয় নাই আপনার। আমাদের এখানে ঈদের আগের বৃষ্টি হলেও ঈদের দিন থেকে রোদ সুন্দর দিয়েছিল। তবে রোদ হলে কি হবে কিন্তু গরমের মাত্রা অনেক বেশি তাই খুব খারাপ লাগছিল। বেশি বৃষ্টি হলে সমস্যা অন্যদিকে রোদ বেশি হলেও সমস্যা। যদিও ঘোরাঘুরি কম করতে পেরেছেন কিন্তু বৃষ্টি দিয়ে তো পরিবেশ অনেক ঠান্ডা করে দিয়েছিল।
বৃষ্টির কারণে কোথাও ঘুরতে পেরেছিলাম না আপু সারাদিনই ঘরের মধ্যে বন্দি।
ওয়াও..দৃশ্যটা কিন্তু দারুন লাগছে।
এটা আমাদের স্কুলের পিছনের দিকের দৃশ্য ভাইয়া।
অনেক সুন্দর।
বেশ কিছুদিন গরমে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়েছিলাম, মনে হতো যে কবে বৃষ্টি হবে। তবে ঈদের আগে থেকে এই পর্যন্ত মাঝেমধ্যে বৃষ্টিতে যে এত সমস্যা সৃষ্টি করেছে পথে চলায় কঠিন। সে সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
দিনের বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টিতে আটকে বসে ছিলাম।