ঢাকা শহরে চিতই পিঠা খাবার অনুভূতি||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৭/২০২২
শীতকালের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি পিঠার নাম হচ্ছে চিতই পিঠা। গ্রাম অঞ্চল গুলোতে এই পিঠা প্রচুর পরিমাণে তৈরি হতে দেখতে পাওয়া যায় শীতকালে। ঠিক তেমনি ভাবে ঢাকা শহরেও চিতই পিঠা তৈরির দিক থেকে কোন অংশে কম যায় না। রাস্তার বিভিন্ন মোড়গুলোতে সন্ধ্যা হবার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় চিতই পিঠা তৈরীর কার্যক্রম। আর এই চিত্রই পিঠা তৈরীর জায়গাটিতে দেখতে পাওয়া যায় বহু মানুষ যারা চিতই পিঠা খাবার জন্য অপেক্ষা করে।
ঢাকা শহরের চিতই পিঠা ব্যবসার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় তাই এই চিতই পিঠা তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো চুলা ব্যবহার করতে দেখতে পাওয়া যায়। আমি প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় চেষ্টা করি বন্ধুদের সাথে পিঠা খেতে যেতে। এই চিতই পিঠা খাবার জন্য আমার খুব একটা দূরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। আমি যেখানে থাকি তার পাশেই একটি পার্ক রয়েছে পার্ক টির নাম হচ্ছে রসুলবাগ পার্ক, সেখানে একজন বিক্রেতা প্রত্যেক দিন সন্ধ্যায় চিতই পিঠা তৈরি করে বিক্রয় করে।
ঢাকা শহরের মোড়গুলোতে চিতই পিঠা খাবার সবথেকে বড় আকর্ষণ হচ্ছে সেখানকার ঝাল ঝাল শুটকি মাছ ভর্তা। চিতই পিঠা বিক্রেতা গুলো এই শুটকি ভর্তা এতটাই সুন্দর করে তৈরি করে যা একবার খেয়ে লোভ লেগে যায়। এই শুটকি ভর্তা খাবার জন্য বারবার ইচ্ছা হয়। তাইতো আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেখানে যেয়ে চিতই পিঠা কি দেখায়।
শহর গুলোতে চিতই পিঠা খাবার আরও একটি লোভনীয় জিনিষ হচ্ছে ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ ভর্তা। এটি এমনি লোভনীয় একটি জিনিস যা একবার খেলে জিভের সাথে লেগে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে এই ধনিয়া পাতা ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। ধনিয়া পাতা ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আপনাদের কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
ঢাকা শহরের চিতই পিঠা ভালো লাগার কারণ |
---|
- বিভিন্ন ধরনের ভর্তা
- অনেক মানুষ একত্রে ক্রয় করে খাওয়া
- গরম গরম চিতই পিঠা খাবার সুযোগ থাকে
- দামের পরিমাণটাও অনেক কম
বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যর যে পরিমাণে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে চিতই পিঠা আর দাম আজ পর্যন্ত সেই আগের জায়গাতেই অবস্থান করছে।৮ বছর আগে যখন আমি প্রথম ঢাকায় এসেছিলাম তখন এসে চিতই পিঠা কিনে খেয়ে ছিলাম তখন তার দাম ছিল ৫ টাকা কিন্তু এখন বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে কিন্তু তার পরেও সেই চিতই পিঠার দাম আজ পর্যন্ত ৫ টাকা ই রয়েছে। দামের স্বল্পতা হবার কারণে ক্রেতারা ইচ্ছামত চিতই পিঠা ক্রয় করতে পারে শহরের মোড়গুলো থেকে।
চিতই পিঠা সম্পর্কে আমার অনুভূতি |
---|
ব্যক্তিগতভাবে চিতই পিঠা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় চেষ্টা করি চিতই পিঠা কিনে খাবার জন্য। মাঝে মাঝে বন্ধুদের নিয়ে হাজির হয়ে যায় চিতই পিঠার দোকানে। ঠিক তেমনি ভাবে আজকেও আমার একজন বন্ধুদের সাথে করে সেখানে গিয়েছিলাম।
আপনারা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন চিতই পিঠা আপনাদের কেমন লাগে? আর ঢাকা শহরে যারা বসবাস করেন তাদের কেমন লাগে রাস্তার বিভিন্ন মোড়গুলো থেকে চিতই পিঠা কিনে খেতে?
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
ভাই আমার কাছে চিতই পিঠার ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে কিন্তু সত্যি খুবই মজা লাগে খেতে। তবে আপনি দামের যে ব্যাপারটা বললেন সেটা আগেও হয়তো ৫ টাকায় ছিল কিন্তু এখনও ৫ টাকা হলেও এর সাইজ টা কিন্তু অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে, এটা হয়তো বা আপনি একটু খেয়াল করতে ভুলে গিয়েছেন। হাহাহাহাহা....
আপনার ঢাকা শহরে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
রাস্তার পাশে টং দোকানে বানানো চিতই পিঠা সাথে সরিষা ভর্তা দুইটা একসাথে খেতে গরম গরম মন্দ লাগে না আমিও মাঝে মধ্যেই এটি খেয়ে থাকি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে আপনি আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
টুইটার শেয়ার লিংক
চিতই পিঠা খেতে অনেক মজা। গরম গরম খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি আজকে চমৎকার ভাবে। ঢাকা শহরে চিতই পিঠা খাবার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
চিতই পিঠা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আমি আগে চিতই পিঠা শুধু মাংস দিয়ে খেতে পছন্দ করতাম। কিন্তু এখন শহরের প্রায় প্রতিটা গলিতেই বিভিন্ন ভর্তা সহকারে চিতই পিঠা পাওয়া যায়। এই ভর্তা গুলি দিয়ে চিতই পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে। আর ঢাকা শহরে তো চিতই পিঠার প্রচুর বেচাকেনা। বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে খেতে আসলে মজাই লাগে।
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
চিতই পিঠা বাংলার ঐতিহ্য। নানান ভাবে তৈরি করে খাওয়া হয়।ভাল ছিল উপস্থাপন।
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
🌹
ভাই চিতই পিঠা ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে কিন্তু সত্যি খুব মজা লাগে। তবে আপনি দামের যে ব্যাপারটা বললেন সেটা আগেও হয়তো 5 টাকায় ছিল কিন্তু এখনও পাঁচ টাকা হলেও এর সাইজ টা কিন্তু অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে।
আপনার ঢাকা শহরে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি জেনে খুশি হলাম।
আকৃতির দিকে একটু ছোট হওয়াটাই স্বাভাবিক কেননা বাজারে সব জিনিসের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিতই পিঠে আমার অনেক প্রিয় , আর আপনি তো ভাই লোভ ধরিয়ে দিলেন সেই পিঠের সাথে একটি লোভনী ভর্তা দেখিয়ে। ঢাকা শহরে সব জায়গায় এই পিঠে পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয় না। আপনি অনেক সুন্দর একটি ব্লগ করেছেন যা দেখতে ভালো লেগেছে। আপনার অনুভুতি শেয়ার করেছেন সে দিক থেকে অসাধারন একটি ব্লগ বলব আমি। শুভকামনা রইল
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি অনেক সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয়ে যাচ্ছে। মরিচ ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি আপনার ভালো লাগার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
চিতয় পিঠা খেতে খুবই দারুণ লাগে আমার কাছে। গ্রামের বাড়িতে থাকতে অনেক অনেক খেয়েছি এই চিতয় পিঠা। তবে ঢাকায় বেশি একটা খাওয়া হয় না মাঝে মাঝে খাই। যাইহোক আপনি আমাদের সবারি একটা প্রিয় মজাদার চিতয় পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ