নতুন নিয়মে আরো একটি সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। নতুন বছর আসার সাথে সাথে আমরা আমাদের স্কুলের সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশের শুক্র শনিবার দুই দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে যার কারণে আমরা এখন সপ্তাহে আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করব না। আসলে যদি আমরা এখন প্রত্যেক সপ্তাহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি তাহলে লেখাপড়ায় অনেক ব্যাঘাত ঘটবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই নতুন বছর থেকে আমরা প্রত্যেক এক সপ্তাহ পরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। সেই ধারাবাহিকতাকে কাজে লাগিয়ে এবার সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে আমরা প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত এবং তারপরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করলাম।
এই সপ্তাহের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির পরিমাণ একটু কম ছিল। হয়তোবা এই অনুষ্ঠানে ৮০ থেকে ৮৫ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল।
আপনারা আমার আগের কোন একটা পোস্টে জানতে পেরেছেন আমরা এখন সপ্তাহ ভিত্তিক বিষয় নির্ধারণ করে থাকি। মানে প্রত্যেকের শেখানোর লক্ষ্যে একটা বিষয় নির্ধারণ করি যেটা সেই সপ্তাহে সকলেই অংশগ্রহণ করবে। এতে করে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষার্থী যে বিষয়ে পারদর্শিতা ছিল না সেটা সে শিখতে শুরু করে দিচ্ছে। প্রথম সপ্তাহে আমরা নির্ধারণ করেছিলাম কবিতা আবৃত্তি আর দ্বিতীয় সপ্তাহের নির্ধারিত বিষয় ছিল কোরআন তেলোয়াত। আজকের এই অনুষ্ঠানের সকলেই কোরআন তেলাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছিল। এই উদ্যোগকে নেয়ার পর থেকে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম সেটা হচ্ছে অনেক নতুন নতুন ছোট ছোট ছাত্রছাত্রী কোরআন তেলোয়াত শিখেছে। এটা সত্যিই অনেক ভালো একটা বিষয় বলে আমি মনে করি। তৃতীয় সপ্তাহের জন্য বিষয় নির্ধারণ করে দিয়েছি গজল অর্থাৎ ইসলামিক সংগীত।
আমরা যে তাদেরকে জোরপূর্বক কোন একটা বিষয় শেখাতে চাচ্ছি তা কিন্তু নয়। আমরা তাদেরকে সেই কাজে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কৃত করে থাকি। এ সপ্তাহেও তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে যারা নতুন কোরআন তেলাওয়াত শিখেছে এবং খুব ভালো করেছে। এই জিনিসটি দেখার পরে অনেকেই এই কাজের সাথে আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের এই কাজে ধারাবাহিকতা আরো কিছুদিন অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী আস্তে আস্তে সকল বিষয়ে পারদর্শী হয়ে যাবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
স্কুলে প্রতিবছরই এই সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।আপনাদের এই উদ্যোগটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।জি ভাইয়া এটা একদম ঠিক করেছেন লেখাপড়ার ব্যাঘাত যাতে না ঘটে তাই এক সপ্তাহ পর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।দুইদিন ছুটি থাকার কারণে একটু সমস্যায় হয়ে গিয়েছে।যেহেতু পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন শিশুরা আগ্রহী হবে ক্রিয়েটিভ বিষয় গুলো শিখতে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার জন্যই এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনারা খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আপনাদের এই সুন্দর উদ্যোগকে আমি বরাবরই সাধুবাদ জানাই আসলে বর্তমান সময়ে শুক্র-শনি দুই দিন ছুটি থাকার কারণে লেখাপড়ারও অনেক বেশি ব্যাঘাত ঘটেছে বলে আমার মনে হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য আপনারা এক সপ্তাহ পরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন এটা সত্যিই অনেক বেশি প্রশংসনীয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি এরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা অনেক বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি।
ঠিক বলেছেন সপ্তাহে দুই দিন ছুটি থাকার কারণে লেখাপড়ায় অনেক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
আপনারা খুব ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আসলে এখন যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে। তাই দুই সপ্তাহ পরপর একদিন সংস্কৃতি অনুষ্ঠান করলে পড়াশোনার তেমন একটা ক্ষতি হবে না। আর ছাত্র-ছাত্রীদের এগুলো শেখার ও প্রয়োজন আছে। যেহেতু এখানে আপনারা পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন তাহলে হয়তোবা সবাই এগুলো শেখার জন্য আরো বেশি আগ্রহী হবে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কি আর করা যাবে বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুদিন ছুটি থাকার পরে ছাত্রছাত্রীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা শুনতে মনের মধ্যে কেমন যেন ধক ধক করছে মনে হয়ে যাচ্ছে সেই ছোটবেলার কথা। যখন প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবারের দিন স্কুলে এমন অনুষ্ঠান হতো খুব মজা করতাম বন্ধুরা মিলে গান কবিতা গল্প।।
ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন এজন্য লেখাপড়ার ক্ষতি না করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অল্প করাই ভালো।।
ঠিক বলেছেন আমরা ছোটবেলায় প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে অনেক মজা করতাম।
আসলেই স্কুলের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো খুবই জমজমাট হয়ে থাকে। এক দুই সপ্তাহ পর পর যদি এমনভাবে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পালন করা হয় তাহলেই বাচ্চাদেরও অনেক ভালো লাগে। আমার নিজেরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করতে অনেক ভালো লাগতো। ছাত্রছাত্রীরা যদি আনন্দ উপভোগ না করতে পারে তাহলে পড়ালেখাও যেন মনোযোগ বসাতে পারে না। যদি এমন ভাবে আয়োজন করা হয় তাহলে তাদের পড়ালেখারও কোনো ক্ষতি হবে না। বরং তারা গ্রহর সাথে পড়ালেখা করতে যাইবে।
এ বছরে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি পেয়ে যাবার কারণে অনুষ্ঠান আরো বেশি জমজমাট হচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনেক প্রয়োজন রয়েছে এতে করে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ঘটতে সহয়তা করবে কিন্তু প্রতি সপ্তাহে এরকম অনুষ্ঠানের দরকার আছে বলে মনে হয় না তার কারন সারা সপ্তাহ ক্লাস করে বাচ্চারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাদের রেস্টেরও দরকার আছে তা না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। নতুন নিয়ম মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ ভালোই করেছেন এতে করে সবদিক বজায় রেখে বাচ্চারা আনন্দ উপভোগ করবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।