সরিষার ক্ষেত ভ্রমণের কিছু অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যেখানে বলেছিলাম আমাদের স্কুলের পাশে সুন্দর একটা সরিষার জমি রয়েছে আর সেটার জন্য ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি। এখানে সরিষার জমি থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীরা খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে পারে। এবছরের প্রথম দিকে যখন সকলেই সরিষা ফুলের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিল তখনই আমার কাছে ইচ্ছা হচ্ছিল আমিও একদিন সরিষা ফুলের ক্ষেত ভ্রমণ করতে যাব এবং আপনাদের মাঝে সেটা শেয়ার করব। যেহেতু স্কুলের পাশেই এটা লাগানো হয়েছে তাই আমার কাছে বিষয়টা আরো সহজ হয়ে গেল।
স্কুলে থাকাকালীন যেকোনো সময়ই আমি চাইলেই সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। সরিষা ফুলের সৌন্দর্যে আমাদেরকে মুগ্ধ করে দেয়। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যখন সরিষা ফুলের জমির উপর থেকে বাতাস স্কুলের দিকে আসে ঠিক সেই সময় সরিষা ফুলের সৌরভ আমাদের নাকে চলে আসে। আরেকটা জিনিস আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে যখন সরিষা ফুলের উপর থেকে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে সেই মুহূর্তটা। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম সরিষা ফুলের উপর থেকে মধু সংগ্রহ করার সময় মৌমাছির একটা ফটোগ্রাফি ধারণ করবো কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। যেহেতু সরিষা ফুলের ক্ষেত্রটি অনেক ঘন ছিল তাই আমি ভিতরে প্রবেশ করার মতো সুযোগ পাচ্ছিলাম না।
আমাদের এলাকাতে বিভিন্ন প্রজাতির সরিষার চাষ করা হয়ে থাকে। আপনারা এই জমিতে যে সরিষা ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা একটা উন্নতই প্রজাতির সরিষা। এই সরিষার গাছের আকৃতি তুলনামূলকভাবে অন্যান্য সরিষার থেকে অনেক ছোট হয় কিন্তু ফলের দিকে লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন এই কাজগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরতে থাকে। যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফল ধরতে থাকে তাই কৃষকেরা এই সরিষা উৎপাদন করলে অনেক লাভবান হয়। এজন্য আমাদের এলাকার কৃষকেরা এই ধরনের সরিষা সবথেকে বেশি উৎপাদন করে থাকে। যেহেতু আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে সরিষা উৎপাদন হয় তাই আমাদের খাঁটি সরিষার তেল পেতে তেমন একটা কষ্ট হয় না। আমরা চাইলেই এই ধরনের সরিষা গুলো ক্রয় করে সেগুলো ভাঙ্গিয়ে খাঁটি সরিষার তেল উৎপাদন করতে পারি।
আপনারা কি এই বছর সরিষা ফুলের ক্ষেত ভ্রমণ করেছেন যদি করে থাকেন সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
সরিষা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার সরিষা ফুলের খেতে গিয়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে আপনি বারবার চেষ্টা করেছিলেন সরিষা ফুলসহ একটি মৌমাছির ফটোগ্রাফি করতে তবে। আপনি ব্যর্থ হচ্ছিলেন। আসলে এরকম সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো আমারও খুবই ভালো লাগে।
আমি অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছি।
সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
এ বছর আমিও বেশ কয়েকবার সরিষা ক্ষেত ভ্রমন করেছি সেখানে গেলে যেমন সুগন্ধি তেমন মৌমাছির ভনভন আওয়াজে মনটা জুড়িয়ে যায়।
বিশেষ করে আমাদের দিকে মাছ দিয়ে নদী দু পাড়ে এমন সরিষা ক্ষেত দারুণ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
ঠিক বলেছেন সরি সফল এর সুগন্ধ আর সাথে মৌমাছির ভন ভন আওয়াজ শুনতে খুবই ভালো লাগে।
শীতের সময় বেশিরভাগ জায়গায় সরিষা ক্ষেত দেখা যায়। আর বেশিরভাগ মানুষ সরিষার ক্ষেতে ঘুরতে যায়। যেহেতু আপনাদের স্কুলের পাশেই রয়েছে এরকম একটা সরিষার ক্ষেত, তাই আপনাদের আর দূরে কোথাও যাওয়া লাগে নি। আপনি আজকে সরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের কিছু অনুভূতি সবার মাঝে শেয়ার করেছেন, যেটা খুবই ভালো লেগেছে পড়ে। এই বছর এখনো পর্যন্ত আমার সরিষা ক্ষেতে যাওয়া হয়নি। বুঝতেই পারতেছি ভালো একটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্কুলের পাশে এটা থাকার কারণে অনেক ভালো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
গ্রামাঞ্চলে থাকলে এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে অনেক সময় কাটানো যায়। সরিষার খেতে অনেক দিন যাওয়া হয়নি সরিষা ফুলের গন্ধ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সরিষা খেতে কাটানো কিছু সময় বা অনুভূতি আপনি মাঝে মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগেছে।
ঠিক বলেছেন গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করলে এই ধরনের পরিবেশে ভালোভাবে সময় অতিবাহিত করা যায়।
হ্যা ভাই এই বিষয়টা আমি অনেক মিস করি।
উন্নত জাতের সরিষা গাছ গুলো একটু ছোট সাইজের হয়, এটা ঠিক জানতাম না আমি। যাইহোক, এই শীতের সময় সরিষা ক্ষেতগুলো দেখলে একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। আপনাদের এলাকাতে সরিষার ফলন বেশি হয় বলেই আপনারা খাঁটি সরিষার তেল পান, এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আমরা তো আমাদের এখানে খাঁটি সরিষার তেল পাই না। যা পাই সবই ভেজাল।
হ্যাঁ ভাই , এই বছর আমিও সরিষা ক্ষেত ভ্রমণ করেছি।
অন্যান্য এলাকাতে পাওয়া না গেলেও আমাদের এলাকাতে খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যায়।
সেজন্যই তো ভাই আপনাদের ভাগ্যবান বলছি। খাঁটি সরিষার তেল খেতে পারছেন যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
আপনাদের স্কুলের পাশে এমন সুন্দর সরিষার ক্ষেত হয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই বর্তমান সময়ে আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে সরিষা চাষ হচ্ছে। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি বিশেষ করে ছোট গাছের সরিষা কৃষকেরা বেশি উৎপাদন করছে।
আসলে এ বছর আমাদের জেলাতে প্রচুর পরিমাণে সরিষা উৎপাদন করা হচ্ছে।
প্রায় অনেক জনকেই দেখেছি সরিষার ক্ষেতে ঘুরতে গিয়েছে। তবে এখনো আমিই যেতে পারিনি সরিষার ক্ষেত দেখতে। আসলে আমাদের এই দিকে সরিষার ক্ষেত দেখা যায় না। অনেক দূর যাওয়া লাগে সরিষার ক্ষেত দেখার জন্য। আর তাই ব্যস্ততার কারণে যাওয়া হয়নি। আপনি সরিষার ক্ষেতে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন যা বুঝতেই পারতেছি দেখে। আপনি অনুভূতিগুলোকে সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো এবং মুহূর্তটা পড়ে।
দেরি করবেন না আপু আর কয়েকদিন পরেই ফুলগুলো ফলে পরিণত হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি ঘুরে আসুন।
https://twitter.com/mostafezur14/status/1748005182502555779?t=3OOkx4qLjI4T__qD1O5gKg&s=19