আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, মে ২৬ /২০২২

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ খেতে আমাদের প্রায় প্রত্যেকটি মানুষের কাছে অনেক ভালো লাগে। বর্তমানে আমাদের দেশের মৎস্য খাত অনেকটাই উন্নতির পথে চলে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বর্তমানে আমাদের দেশের চাহিদা পূরণ করার পরেও মাছ বিদেশে রপ্তানি করতে পারছি। সেই রপ্তানি শিল্পের সদস্য হিসেবে আমাদের গ্রামকে আমি একটি মডেল গ্রাম হিসাবে আখ্যা দিতে চাই। বর্তমানে আমাদের গ্রামে পাবদা মাছ চাষ শুরু হয়েছে আর সেই পাবদা মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে ভারতে। গ্রামের একজন সদস্য হিসেবে সত্যিই এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের গ্রামে থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া সেই পাবদা মাছ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।

আপনারা উপরে যে মাছটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি অনেকেই চিনে থাকবেন। আর যারা এখন পর্যন্ত এই মাছটিকে চিনতে পারেননি তাদের উদ্দেশ্যে আমি এই মাছটির নাম আবারো বলে দিচ্ছি এটি হচ্ছে পাবদা মাছ। এই মাছটি দেখতে অনেকটাই চিতল মাছের মত আবার অনেকেই মনে করেন যে এটি পাঙ্গাস মাছের মত হয়ে থাকে। আসলে এই মাছটি অনেকটাই পাঙ্গাশ বা চিতল মাছের মত দেখতে কিন্তু স্বাদের দিক থেকে ওই দুইটি মাছের থেকে অনেকটাই আলাদা। এই মাছটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ভাবে দামের পরিমাণটাও অনেক বেশি। আমাদের গ্রাম থেকে ভারতের সরাসরি পাবদা মাছ রপ্তানি হচ্ছে তাই এখানে প্রত্যেক কেজি পাবদা মাছের মূল্য ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা। কিন্তু আমরা যদি এই মাছটি বাজারে কিনতে যায় তাহলে এর দামের পরিমাণটা হয়তো একটু বৃদ্ধি পেতে পারে।

জেলেদের দিয়ে এই মাছগুলো প্রথমে পুকুর থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তারপরে হাড়ি অথবা ফলের ঝুড়িতে করে নিয়ে আসা হচ্ছে পুকুরের পাড়ে ওজন করার জন্য।

প্রথমেই বলেছি এই মাছটি অন্যান্য মাছের থেকে অনেক দামি তাই ওজন করার ক্ষেত্রেও খুবই সতর্কতার অবলম্বন করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে পাবদা মাছ গুলোকে ওজন দিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ওজন করা শেষ হয়ে যাবার পরে সেই পাবদা মাছ গুলোকে একটি ককশিট এর মধ্যে খুবই সুন্দর করে বরফ দিয়ে আবদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে। যেন মাছগুলো পঁচে না যাই সেই কারণেই মূলত বড় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর আমি আপনাদেরকে প্রথমেই বলেছি এই মাছগুলো চলে যাচ্ছে সরাসরি ভারতে যার কারণে ভারতে যাবার পথে যেন মাছগুলো নষ্ট না হয়ে যায় তাই একটু বেশি করে বরফ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ককশিট এর মধ্যে বরফ দিয়ে মাছ গুলো সংগ্রহ করা হয়ে যাবার পরে সেগুলো একটি গাড়িতে করে চলে যাচ্ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।

এর আগে কোনদিন আমাদের গ্রামে পাবদা মাছ চাষ হতো না কিন্তু বর্তমানে চাষিরা একটু উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত প্রজাতির মাছ চাষের দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবার ফলে তারা তাদের উৎপাদিত মাছগুলোকে সরাসরি ভারতে রপ্তানি করতেও সক্ষম হচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের গ্রামের মৎস্যচাষীদের এই উদ্যোগটি আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।