ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ শীতের দিনে বৃষ্টির বিড়ম্বনা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন এ বছরে অন্যান্য বছরে তুলনায় শীতের পরিমাণটা অনেক বেশি রয়েছে। যার কারণে এমনিতেই জনগণের জীবন ধারণ করা অনেক কষ্টের হয়ে উঠেছে। আসলে আমরা কথাই বলি না বিপদ যখন আসে চারদিক থেকে আসতে শুরু করে দেয়। ঠিক তেমনটাই ঘুরতে শুরু করেছে গতকাল সকাল থেকে। গতকাল সকালেই উঠে দেখি বৃষ্টি হতে শুরু করেছে আর আপনারা হয়তোবা সকলেই জানেন যে শীতের দিনে বৃষ্টি হলে সেটা কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এমনিতেই আমাদের এলাকাতে তাপমাত্রার ১০° সেলসিয়াস এর কাছাকাছি রয়েছে আর বৃষ্টির কারণে সেটা যেন মনে হল আরো কমে গিয়েছে। শুধু বৃষ্টি হলে তো ভালোই হতো বৃষ্টির সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে বাতাস ছিল। আর সেই বাতাসের কারণেই শীতের পরিমাণটা আরো বেশি হয়ে গিয়েছিল বলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল।
আমার সমস্যার কথাই বলি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রাইভেট পড়াতে চলে যায় কিন্তু কালকে বৃষ্টির কারণে আর সেটা করতে পারেনি। যেহেতু আমার কাছে খুবই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা প্রাইভেট পড়ে তাই আমি চাইলাম না এই বৃষ্টির মধ্যে এত কষ্ট করে তাদেরকে নিয়ে আসতে। এজন্য বৃষ্টি দেখে আমি আগে থেকেই তাদেরকে নিষেধ করে দিলাম তারা যেন আজকে না আসে। উপস্থিতির হার কম লক্ষ্য করলাম আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও। অন্যান্য দিনে যতগুলো ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হত তার অর্ধেকও উপস্থিত হয়েছিল না গতকাল।
এমন পরিস্থিতিতে সব থেকে বেশি কষ্ট করতে হয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদেরকে। যেহেতু এই ধরনের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ থাকে তারা সব সময়ই দিন আনে দিন খায়। কিন্তু যখনই এমন পরিস্থিতি তাদের চোখের সামনে চলে আসে তখন তারা কাজের উদ্দেশ্যে বের হতে পারে না। যদিও কাজের উদ্দেশ্যে বের হয় তারপরও শীতের কারণে তাদের কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়। আর শীতের সময় যদি বৃষ্টির পানি তাদের শরীরে পড়ে তাহলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। যেহেতু সাধারণ মানুষ গুলোর জীবিকার আর অন্য কোন মাধ্যম থাকে না তাই অসুস্থ শরীর নিয়েও তারা উপার্জনের চেষ্টা করে। যাইহোক আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন আবহাওয়ার অবস্থা আবারও স্বাভাবিক চলে আসে। আর যদি স্বাভাবিক না আসে তাহলে খেটে খাওয়া মানুষসহ আমাদের মত সকল সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ করতে অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
বেশ কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণে ঠান্ডা শুরু হয়েছে তার উপর কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি এর জন্য মানুষের ভোগান্তির আর শেষ ছিল না। খুব ভালো কাজ করেছেন ভাইয়া এই বৃষ্টি শীতের মধ্যে বাচ্চাদেরকে পড়তে আসতে না করেছেন। এরকম ওয়েদার জন্য আমিও কালকে বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাইনি। খেটে খাওয়া মানুষের কথা কি বলব তাদের তো ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়েও কাজে যেতেই হয়।
আমাদের এলাকাতেও একই ধরনের অবস্থা শীতের মধ্যে বৃষ্টির কারণে ভোগান্তির কোন শেষ নেই।
https://twitter.com/mostafezur14/status/1748393220772655558?t=wLpY3JpDbBOQmONak4qruw&s=19
এই কয়েকদিন যেভাবে শীত পড়ছে তা আর কি বলব। আর যেভাবে এখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে তার পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে দিয়েছে৷ এর ফলে আপনি আপনার স্টুডেন্টদেরকে আসতে মানা করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক জায়গায় বিদ্যালয়গুলো কয়েকদিনের জন্য বন্ধ দিয়ে দিয়েছে। যারা দিন আনে দিন খায় তারা তো এত কষ্ট করছে যা বলেও শেষ করা যাবে না। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে৷
আসলে অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছর শীতের পরিমাণ যেন অনেক বেশি।