স্পোর্টস : গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা মোরগ লড়াই
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, জুলাই ২৪/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটা খেলা নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। যেহেতু আমি আপনাদের মাঝে খেলার যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছি সেগুলো সবই ভিডিও থেকে সংগ্রহ করা তাই প্রত্যেকটার সাইজ আলাদা আলাদা রকমের হয়ে গিয়েছে। আমাদের এলাকাতে এই খেলাটাকে বলা হয়ে থাকে মোরগ লড়াই।
ছোটবেলায় আমরা প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের খেলা করতাম। বিশেষ করে গ্রামের স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলার মধ্যে এই খেলাটার অন্তর্ভুক্ত থাকতে সব থেকে বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ উপলক্ষে আমাদের গ্রামে প্রত্যেক বছর বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত এই অনুষ্ঠানটার আয়োজন করে থাকে আমাদের গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। যেহেতু এটা বড় একটা আয়োজন তাই এই অনুষ্ঠানে আমাদের গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটা মানুষই অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রত্যেকটি গ্রামে হয়তো বা দুইটা ঈদ দেখতে পাওয়া যায় আমাদের গ্রামের জন্য এই ২৬ শে মার্চ যেন একটা ঈদের সমতুল্য।
এটাকে আমি ঈদের সাথে তুলনা করেছি তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে এই দিনটাতে আমাদের গ্রামে কতটা আনন্দ উৎসব হয়ে থাকে। গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ যারা গ্রামের বাইরে অবস্থান করে তারা ফিরে আসে গ্রামে শুধুমাত্র এই দিনটা অতিবাহিত করার জন্য।
আপনাদের মাঝে আমি যে খেলাটা শেয়ার করেছি সেটাকে মোরগ লড়াই বলা হয়ে থাকে। এই খেলাতে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ভাবে একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দি হয়ে খেলতে থাকে। সকলেই একই সাথে খেলা শুরু করে এবং সর্বশেষে যে টিকে থাকে তাকেই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই ভিডিওটা আমি করেছিলাম সেই স্বাধীনতা দিবসের কয়েকদিন আগে। যেহেতু ওই দিন তারা খেলবে তাই আগে থেকেই বিকেলে সকলে প্র্যাকটিস করতে শুরু করে দিয়েছিল। খেলার একটা ছোট্ট ভিডিওগ্রাফি আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করেছি আপনারা চাইলে সেই ভিডিওটা দেখে নিতে পারবেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনাদের গ্রামে ২৬শে মার্চ উপলক্ষে এমন একটি মজার খেলার আয়োজন করে ভালো লাগলো শুনে। আর সেটাকে আপনারা ঈদের মতো করে উপভোগ করেন বেশ ভালো তো বিষয়টা । মোরগ লড়াই খেলা দেখতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে মজা লাগে অনেক । সবাই পা ধরে ধরে একজনকে ফেলানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে দেখতে খুব ভালো লাগে । ছোটবেলা যখন স্কুলে পোর্টসম তখন স্পোর্টস এ এই খেলাগুলো আমরা খুব উপভোগ করতাম । আজ অনেকদিন পরে আবার আপনার এই খেলা গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া ।
আসলে এই বিষয়টা অনেক মজার দেখতে লাগে।
মোরগ লড়াই আসলেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা।আমরা নিজেরাও ছোটবেলায় অনেক খেলেছি এবং বিশেষ করে স্কুলে এ ধরনের খেলার প্রতিযোগিতা এখনো প্রচলন রয়েছে।যদিও যুগের পরিবর্তনে এখন এই খেলা গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। তবে খুব কম সংখ্যক জায়গাতে খেলা গুলো দেখতে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এ ধরনের খেলা গুলো খেলতে যেন ভালই লাগে।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাইয়া। ছোটবেলায় এই খেলা গুলো অনেক দেখেছি। তবে সময়ের সাথে সাথে সব ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো হারাতে বসেছে। ভিডিওগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। গ্রামীন ঐতিহ্য আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন আপু এ ধরনের খেলা গুলো বর্তমানে প্রায়ই হারিয়ে যাবার পথে।
সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল, ক্লাস ওয়ান টু তে থাকতে খেলতাম, যখন ছোট ছিলাম তখন আমি জিতে যেতাম, আস্তে আস্তে যখন বড় হলাম তখন বাচ্চারা আমার থেকেও আরো বড় হতে থাকলো তখন খুব একটা পেরে উঠতাম না, ক্লাস ওয়ানে থাকতে মোরগ লড়াই খেলাতে একবারই প্রথম হয়েছিলাম।
ছোটবেলায় আমিও এই খেলা খুবই ভালো খেলতে পারতাম।
মোরগ লড়াই খেলার ভিডিও দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও অনেক খেলেছি কিন্তু আমি কখনো জিততে পারিনি। ২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। তার জন্য আমাদের স্কুলে এই দিনকে ঘিরে সবসময় বিভিন্ন পরিকল্পনা হতো। বছরের শুরুতেই যে খেলার আয়োজন শুরু হয় তা সেই গিয়ে শেষ হতো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই খেলা করে আমি অনেকবার পুরস্কার পেয়েছিলাম ছোটবেলায়।
আপনার পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি দেখে হারিয়ে গেলাম সেই শৈশবে।
এই খেলাটি আমাদের অঞ্চলে আমরাও খেলতাম ছোটবেলায় বিকেল হলেই স্কুল মাঠে গিয়ে শুরু হয়ে যেত মোরগ লড়াই।
এই মনে হচ্ছে সেদিনও এরকম হবেই স্কুল মাঠে খেলা করতাম।
আজ এই আনন্দ এবং খেলা থেকে মনে হয় কত দূরে সরে গেছি।
আমাদের এলাকাতেও বিকেল হলেই ছোট ছেলে মেয়েরা মাঝে মাঝে এই খেলা শুরু করে দেয়।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো সত্যি খুবই ভালো লাগতো এক সময় যখন দেখতাম এবং খেলতাম। বৃষ্টির দিনে আমরা এমন খেলা বেশি খেলতাম যখন বৃষ্টি আসতো তখন সবাই মিলে নেমে যেতাম বড় মাঠের মধ্যে। সবাই বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। এই বয়সে বাচ্চাদের খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি আগ্রহ থাকে। বিশেষ করে যদি এমন খোলামেলা মাঠ হয় তাহলে অনেক বেশি মজা হয় খেলে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন অসাধারণ লেগেছে।
বৃষ্টির দিনে তো এই খেলা খেলার মজাই আলাদা।
মনে পড়ে গেল স্কুলের সেই দিনগুলোর কথা। যখন ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতাম ছাত্রদের নিয়ে। যাইহোক আমাদের গ্রামের হাই স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্র ছেলেপেলেদের মোরগ লড়াইয়ের দারুন একটা দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেছে এবং ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ ছোটবেলায় এভাবে আমরাও খেলতাম মনে হল সেই স্মৃতিগুলো বেশ ভালো লাগলো।
ভিডিওটা আমি বেশ কিছুদিন আগেই ধারণ করেছিলাম চিন্তা করেছিলাম শেয়ার করব কিন্তু শেয়ার করাই হচ্ছিল না।