সিত্রাং এর এক অন্যরকম আকাশ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , অক্টোবর ২৫/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আপনারা আমার পোস্টের মধ্যে যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছি সেগুলো আমি কালকে সন্ধ্যায় ধারণ করেছিলাম। মাগরিবের নামাজ শেষে যখন আমি মসজিদে থেকে বের হলাম তখন আকাশের অবস্থা দেখে একটু অবাক হয়ে গেলাম। কেননা আপনারা সবাই হয়তোবা জানেন কালকে আমাদের দেশে নিম্নচাপের কারণে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে এই নিম্নচাপের প্রভাবে। যদিও আমাদের এলাকাতে নিম্নচাপের ফলে খুব একটা বেশি সমস্যা হয়নি শুধুমাত্র বৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে আমরা তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন না হলেও মানব সৃষ্ট একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম গতকালকে। সেই সমস্যাটি আমাদের সকলের পরিচিত সমস্যা লোডশেডিং। হয়তোবা কালকে বিকেলের দিকে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর সেই বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে আজকে সকাল দশটার দিকে। আমি চিন্তা করেছিলাম এই ছবিগুলো নিয়ে কালকেই আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করতে কিন্তু লোডশেডিং সমস্যার কারণে আমি সেই কাজটি আর করতে পারেনি। তাই বিষয়টা নিয়ে আজকেই আমি আমার মতামত আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পরে সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টির পরিমাণটা কিছুটা কমে গিয়েছিল। যার ফলে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম। মসজিদ থেকে বের হতেই দেখতে পেলাম বৃষ্টি আবারও শুরু হয়ে গেল। তখন আমি দৌড়ে বাড়ি পালিয়ে আসার চিন্তা করলাম কিন্তু আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা স্থির হয়ে গেলাম। আকাশের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম পুরো আকাশ যেন লাল মেঘে ছেয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে যেন কেউ আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
প্রথমে আমি মনে করেছিলাম দূরে হয়তো বা কেউ আগুন জ্বালিয়েছে তাই হয়তো বা আকাশ এমন লাল বর্ণ ধারণ করেছে। কিন্তু পরে আমি যখন আকাশের দিকে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম তখন দেখতে পেলাম এটা সত্যি কারের মেঘ, এটা কোন আগুন নয়।
এই ধরনের দৃশ্যগুলো আমরা বেশিরভাগ সময় হলিউড সিনেমাতে দেখে থাকি। আমরা যখন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দেখি তখন আকাশের অবস্থা গুলো অনেকটাই এমন হয়ে থাকে। বাস্তব জীবনে সত্য কথা বলতে এটাই আমার দেখা প্রথম আকাশ যা দেখতে অনেকটাই আগুনের মতো। ছবিগুলো আমি যখন ধারণ করছিলাম তখন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল আর আমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই ছবিগুলো ধারণ করছিলাম শুধুমাত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ছবিগুলো যখন ধারণ করছিলাম এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার জন্য আমি দৌড় দিয়েছিলাম কেননা আমি বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিলাম। বৃষ্টি হবার মুহূর্তের যে আকাশের মেঘের অবস্থা এমন হবে তা ভাবতে পারা যায় না। বৃষ্টির সময় আমরা সাধারণত কালো মেঘ অথবা ধূসর সাদা মেঘ দেখতে পাই কিন্তু এই ধরনের লাল বর্ণের মেঘ আমার দেখা এটাই প্রথম।
আপনারা কি কালকে সন্ধ্যায় এই ধরনের মেঘ দেখেছিলেন। যদি দেখে থাকেন তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি ভাইয়া গতকাল আমাদের এখানে ও বিদ্যুৎ ছিল না, আজ সকালে এসেছে। আপনি ঠিক বলেছেন প্রাকৃতিকভাবে আমরা তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন না হলেও মানব সৃষ্ট একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম গতকালকে।এই দৃশ্যগুলো আমরা বেশিরভাগ সময় হলিউড সিনেমাতে দেখে থাকি। বিদ্যুৎ চমকালে আকাশ এমন আগুনের মতো দেখায়। আকাশের ছবি গুলো দেখে ভয়ংকার মনে হচ্ছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই মূহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ একটু বেশি পরিমাণে ডিস্টার্ব দিয়ে থাকে
জি ভাই সত্যি ওই দিন এই পশ্চিমের আকাশ কে অনেকেই দেখেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সেই দৃশ্য পোস্ট করেছে। ভয়ানক একটি দৃশ্য। কিন্তু আপনার দৃশ্যটি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে এই ধরনের আকাশ দেখে প্রতিটি মানুষ হয়তো বা ঘাবড়ে গিয়েছিল
না ভাই আসলে ওইভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখার কোনো সুযোগ হয়নি তাই হয়তো এই অবস্থাটা চোখে পড়েনি। তবে আপনার ফটোগ্রাফির আকাশের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কতটা শক্তিশালী ছিল। আসলে ভাই এরকম অবস্থা আমি নিজেও কখনো দেখিনি। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ এরকম একটি মুহূর্ত ক্যামেরামন্দি করে আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ঘূর্ণিঝড় টা অনেক ভয়াবহ ছিল যার কারণেই এমন অবস্থা হয়েছিল
আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি ফটোগ্রাফি গুলোকে এডিট করেছেন। পরে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এগুলো এরকম। কালকে আমাদের এদিকে ও লোডশেডিং ছিল। আমার মনে হয় ঘূর্ণিঝড়ের কারনে এটা করা হয়েছে। আপনার আকাশের ছবিগুলো দেখে আমিতো অবাক হয়ে গেলাম। এরকম আকাশ আমি আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না।
না আপু আমি এই ছবিগুলোতে কোন ধরনের এডিট করিনি একদম অরজিনাল ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিয়েছি
আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই দুর্যোগে প্রানহানি সহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। যদি পরিবেশ আমার জন্য খুবই ভীতুকর ছিলো। তবু আপনার আলোকচিত্র গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। এমন পরিবেশে আলোকিত গুলো ক্যামেরা বন্দি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সত্য কথা বলতে এই আলোচিত্রগুলো ধারণ করার জন্য আমাকে ভিজতে হয়েছিল
ভাইয়া এই কথাটা সত্যি বলেছেন আমরা আকাশের এমন দৃশ্য অনেক সময় হলিউড সিনেমাতে দেখে থাকি। আকাশের এমন রূপ দেখে অনেক ভয় লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সন্ধ্যা সময় আকাশের এই ভয়ংকর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করাতে আমরা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সিত্রাং এর অবস্থান বুঝতে পারছি। আমরা প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও মানবসৃষ্ট ভাবে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আকাশের দৃশ্যগুলো দেখে তো আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হলিউড সিনেমার জগতে চলে আসলাম নাকি
সন্ধ্যার এই অবস্থাটা আমার বেশ চোখে পড়েছিল ভাইয়া। খুব সুন্দর এবং ভয়ানক দৃশ্য ছিল। বিদ্যুৎ আমার মনে হয় সারা দেশেই বেশ সমস্যা করছে। আমাদের যে পরশুদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এখনো পর্যন্ত সেই বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি।সিত্রাং আমাদের দেশে অনেক আঘাত হেনেছে। এই আঘাত অনেকের অনেক কিছু ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে।
আসলে তারা তো এমনিতেই লোডশেডিং করা ,আর এটা তো সুযোগ পেয়েছে কোনভাবেই তারা হাতছাড়া করতে রাজি নয়।