ফটোগ্রাফিঃ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সাথে নিয়ে স্কুলের বাগান থেকে ধারণ করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি প্রত্যেক সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে অন্তত একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আরও একটা নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে আমাদের স্কুলের ফুল বাগানে আমি বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগিয়েছি শুধুমাত্র স্কুলের পরিবেশ সুন্দর করার জন্য। যেহেতু আমাদের স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে তাই তারা সকলেই ফুলকে ভালবাসবে এবং ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করবে এটা আমি চিন্তা করেই এমন সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ লাগিয়েছি।
যে চিন্তা নিয়ে আমি আমাদের স্কুলের বাগানে এমন সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ লাগিয়েছি কালকে ঠিক সেই জিনিসটাই লক্ষ্য করতে পারলাম। গতকাল সকালে যখন আমি স্কুলে গেলাম আর স্কুলের ফুল বাগানে ফুল গুলো দেখতে গেলাম ঠিক সেই মুহূর্তে লক্ষ্য করলাম আমাদের স্কুলের কিছু ছাত্র-ছাত্রী আমার সাথে চলে আসলো ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের স্কুলের বাগানে এত সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটলেও আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সেই ফুলে নষ্ট করে না। কেননা ফুল না ছেড়ার জন্য এবং ফুল গাছে থাকলে কি ধরনের উপকার হয় সেগুলো আমরা আগে থেকে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দিয়েছি।
এখন আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা জানে যে যদি ফুল গাছ থেকে ছিঁড়ে ফেলা হয় তাহলে সেটা কিছু সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে আর যদি সেগুলোকে গাছেই রেখে দেয়া যায় তাহলে অনেক সময় ধরে সেগুলো আমাদেরকে সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ দিবে। আমরা কোন সময়ই আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জোর করে ফুল ছাড়া থেকে বিরত করিনা কেননা আমরা জানি যে যদি আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জোর করি কোন কাজ তাহলে সেই কাজটা তারা আগে করবে। যেহেতু আমরা সকলে একটু ভিন্ন ধরনের চিন্তাধারা কাজে লাগাই তাই আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফুল গাছে থাকার ভালো দিনগুলো শিখিয়ে দিয়েছি যেন তারা সেটাকে ভালবাসতে শিখে।
আমাদের স্কুলের বাগানে এত বেশি পরিমাণে ফুল দেখে হয়তো বা আপনারা বুঝতে পেরে গিয়েছেন আমাদের শিক্ষাটা কাজে লেগেছে। যেহেতু আমার গ্রহণ করার পদ্ধতিটা কাজে লাগাতে লেগেছে তাই আমি নিজেকে নিজেই সার্থক বলে মনে করি। আমার গ্রহণ করা ভিন্ন ধরনের এই পদ্ধতিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময় আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
Device : Realme C25s
What's 3 Word Location :
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
বেশ কয়দিন আগে আপনি আপনাদের স্কুলের বাগানের তৈরীর কার্যক্রম নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট করেছিলেন। দেখতে দেখতে সেই বাগানটা আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। আপনার স্কুলে বাচ্চারা সহ সেই বাগানের ফুল গাছ ও ফুলের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই গাছগুলো যেন অল্প সময়ের মধ্যেই খুব বড় হয়ে গেল।
সময় খুব দ্রুত যাচ্ছে ভাই এই বিষয়টা কিন্তু লক্ষনীয় ব্যাপার।
ফুল দিয়ে /ফুল গাছ দিয়ে যেকোনো স্থানই অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। ফুল আমিও অনেক ভালোবাসি। আর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেবার পদ্ধতি টাও অনেক ভালো।
যাইহোক আপনারা বাগান দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ও আপনার শিক্ষার্থী দের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে পজিটিভ ভাবে শেখানোর চেষ্টা করি।
জি ভাইয়া এভাবেই শিক্ষা দিন।ধন্যবাদ।
x promotion