ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভিন্নধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ পর্ব-১||১০% @shy-fox🦊
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , জুন ৪/২০২২
আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে লেখাপড়া সহ অন্যান্য সকল বিষয়ে পারদর্শী ভাবে গড়ে তুলতে। তাই আজকে আমি স্কুল ছুটির পরে আমাদের স্কুলের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে বসে ছিলাম একটু তাদের মানসিক হবে আরো সতেজ করার লক্ষ্যে। আজকে আমি আমাদের স্কুলের ৪ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে বসেছিলাম। দুইজন ছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী এবং বাকি দুইজন ছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। তারা আমাকে কবিতা এবং গান শুনিয়েছে। সেই কবিতায় এবং গানগুলোই আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
প্রথমেই তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফাবিহা মনি আমাদেরকে একটি কবিতা শুনিয়ে ছিল। কবিতার নাম ছিল হাটে যাব। আমি আপনাদের সুবিধার্থে সেই কবিতাটির লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিচ্ছি আপনারা চাইলে ফাবিহা মনির কন্ঠে হাটে যাব কবিতাটি শুনে নিতে পারেন।
ভিডিও লিংক
এরপরে আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রাফিয়া খাতুন একই কবিতাটি আমাদেরকে আবৃত্তি করে শোনালেন।
ফাবিহা এবং রাফিয়ার আবৃত্তি করা কবিতাটির মধ্যে আপনাদের কাছে কোনটি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
তারপরে আমাদের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আফিক আবরার নয়ন আমাদেরকে সুন্দর একটি কবিতা আবৃতি করে শোনালেন কবিতার নাম ছিল মুজিব। শেখ মুজিবকে স্মরণ করে লেখা হয়েছিল এই কবিতাটি আপনারা চাইলে নয়ন এর কন্ঠে মুজিব কবিতাটি শুনে নিতে পারেন।
সবশেষে আমাদের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল্লাহ আল গালিব আমাদেরকে একটি দেশাত্মবোধক গান শোনান। গানটি ছিল
ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
সে অনেক সুন্দর ভাবে এই গানটি আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছিল। ব্যক্তিগতভাবে এই গানটি শুনতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
সাইফুল্লাহ আল গালিব এর কন্ঠে গাওয়া গানটির লিংক আমি উপরে শেয়ার করে দিয়েছি আপনারা চাইলে গানটি শুনে নিতে পারেন। আমি প্রায় সময়ই চেষ্ঠা করি ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতির জন্য এই ধরনের কার্যক্রম হাতে নিতে। এই ধরনের কার্যক্রমের ফলে আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মনের মধ্যকার জড়তা দূর হয় এবং তারা স্বাচ্ছন্দে সাথে সবার সামনে তাদের উপস্থাপনা শেয়ার করতে পারে। আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজন করা আমার এই কার্যক্রমটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
শীঘ্রই পরবর্তী পর্বগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
শিশু শিক্ষার্ধী দের উন্নতির লক্ষ্যে দারুণ একটু উদ্যোগ নিয়েছেন আপনি ভালো লাগলো যে আপনি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এতো ভাবেন। শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
আমি সবসময় চেষ্টা করি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উন্নত করে তোলার জন্য যাতে তারা সমাজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কে নিয়ে অনেক ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সারাক্ষণ শুধু পড়া লেখার মধ্যে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা ও একঘেয়েমি হয়ে যায়। এইরকম কবিতা গান এই সকল কিছুর সাথে থাকলে তাদেরও ভালো লাগবে। ওদের কবিতা আর গান শুনে খুবই ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে আপনার কাছ থেকে এরকম পোস্ট দেখতে পারলে আরো ভালো লাগবে। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ছাত্রছাত্রীরা যদি সবসময় পড়ালেখার মধ্যে থাকে তাহলে তাদের মনের মধ্যে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে তাই আমি তাদের মধ্যে একটু ভিন্ন ধরনের আনন্দ নিয়ে আসি।
আপনি আপনার স্কুলের বাচ্চাদের উজ্জীবিত করার জন্য যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন সেটা প্রশংসনীয়।সাইফুল্লাহ আল গালিব এর দেশাত্মবোধক গানটি শুনে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এছাড়া রাফিয়া খাতুন এর কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি বেশ ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সাইফুল্লাহ আল গালিব এর দেশাত্মবোধক গানটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া ওর কন্ঠটা অনেক সুন্দর
ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ অনেক ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। যেটা দ্বারা শিক্ষিত জাতি অনেক উপকৃত হবে ভাল লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শিক্ষার ক্ষেত্রে এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া উচিত তাহলে ছাত্রছাত্রীরা আনন্দের সাথে লেখাপড়া করতে পারবে