একেই হয়তোবা বলে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, মার্চ ১৩/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আমি আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আসলে পৃথিবীটা এমনই ভাবে মহান সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন। কোথায় আছে না মুদ্রার দু পীঠ দু'রকমের। ঠিক তেমনি একটা ঘটনা আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
ঘটনাটার প্রথম অংশ আপনাদেরকে আমি উপরের ছবি দুইটার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ছবিগুলোতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এই পুকুর খনন করার জন্য এখন অনেক কম সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু অতীতে যখন এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তিগুলো ছিল না তখন মানুষেরা নিজেরা কোদাল দিয়ে পুকুর খনন করত। একটা পুকুর ফোনও করতে তখন অনেক দিন লেগে যেত । কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র একদিনের মধ্যেই একটা সম্পূর্ণ কুকুর খনন করার কাজ শেষ করা যায়। এমনও সময় দেখা গিয়েছে যদি পুকুরের আয়তন কম হয় তাহলে একদিনেরও কম সময়ের মধ্যেই পুকুর খনন কাজ শেষ করা যায়। আমার পোষ্টের এই বিষয়টি ছিল মুদ্রার একটা পিঠ।
এবার আমি উপরে ছবি দুইটার মাধ্যমে মুদ্রার অন্য পিঠ আপনাদের মাঝে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। পূর্বে পুকুর ভাড়ার করার জন্য মানুষেরা নিজে শারীরিকভাবে পরিশ্রম করতো। যদি মাটি অন্য জায়গা থেকে পুকুর ভরাট করার জন্য নিয়ে আসতে হতো তাহলে অনেক লোকবল এর প্রয়োজন হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ি ব্যবহার করে একজন মানুষ খুব কম সময়ের মধ্যেই একটা পুকুর ভরাট করতে সক্ষম।
আসলে এটাই পৃথিবীর বাস্তবতা। কোথায় আছে না নদীর একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে। ঠিক আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমেই একই জায়গায় অবস্থিত দুইটা ঘটনাকে মিলানোর চেষ্টা করেছি। উপরের ছবি দুটোতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি একজন মানুষ তার পুকুর খনন করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ঠিক তার বিপরীত পাশেই আমরা দেখতে পাচ্ছি আরো একজন মানুষ পুকুর ভরাট করার কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই পৃথিবীটা ঠিক এমনি ভাবে সে তৈরি করেছেন যেখানে ভাঙানোর মধ্য দিয়েই সকল কাজ সম্পন্ন হয়। একজন যখন কোন কিছু ভেঙে ফেলে ঠিক তার বিপরীত পাশে অন্যজন তেমনি একটা জিনিস তৈরি করার চেষ্টায় সময় ব্যয় করে।
আমার পোষ্টের এই বিষয়টি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মাঝে আমি আজকে ছোট্ট একটা ভিডিও শেয়ার করলাম আপনারা চাইলে আমার শেয়ার করা সেই ভিডিওটা দেখে নিতে পারেন।আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময় আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজকে প্রযুক্তির দ্বারা খুব সহজে করিয়ে নেয়া যায়। আগেকার সময়ে একটা পুকুর সেচ দিতে অনেকদিন সময় লেগে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটা পুকুর সেচ দিতে একদিনেই হয়ে যায়। তার পাশাপাশি মাটি খনন করার ব্যাপারেও অনেক মানুষজন মিলে কাজ করতো। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি এতটাই এগিয়ে যে এক জায়গায় মাটি খনন করে অপর জায়গায় খুব তাড়াতাড়ি ভরাট করে দিতে পারে। যাই হোক আপনি পোস্টটির মাধ্যমে দারুন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন নদীর এ কুল ভাঙলো তো অন্য কুল গড়লো।
আসলেই প্রযুক্তি এখন আমাদের সকল কাজই সহজ করে দিয়েছে।
আপনার পোষ্টের ভিতর কিন্তু একটা দারুন মেসেজ ছিল। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে দেখতাম পুকুর খননের জন্য ১০-১৫ জন লোক মোতায়েন করা হতো এবং তারা মাথায় করে মাটি বোঝাই করে অন্য জায়গায় ফেলতো। এখন আধুনিকতা চলে আসার কারণে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। আর নদীর একুল ভাঙ্গে, ওকুল গড়ে এটাই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে না সবকিছুর ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারটা প্রযোজ্য।
সব জায়গাতেই এখন এই ধরনের পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
জি ভাইয়া বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি পৃথিবীকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে একদিনে জমি কেটে কুকুরে পরিণত করতে পারে। অথচ একটি পুকুর খনন করার জন্য আগে অনেক মানুষ কাজ করার পরেও একমাসের উপরে সময় লাগতো। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ এখন সবকিছুই সহজে করে ফেলতে পারছে।