বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার , অক্টোবর ১৭/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। গাছ লাগাতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই আমি সর্বদা চেষ্টা করি গাছ লাগানোর সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার জন্য। গাছ লাগানো কে আমি মহৎ একটা গুণ বলে মনে করি কেননা এর মাধ্যমে আমরা পারি আমাদের পরিবেশকে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ রাখতে। বর্তমান সময় আমাদের পৃথিবী থেকে গাছের সংখ্যা কমে আসছে যার ফলে দিন দিন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বায়ুমন্ডলে বৃদ্ধি বাড়ছে আর এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের সমস্যা। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের সকলেরই উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো। গাছ লাগানোর ফলে বায়ুমন্ডলের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যাবে আর আমরা গাছের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন পাব যা আমাদের জীবন ধারণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এইতো কয়েকদিন আগের কথা গাছ লাগানোর কথা চিন্তা করে চলে গিয়েছিলাম নার্সারিতে কিছু গাছ কেনার জন্য। গাছ কেনার জন্য মূলত আমরা তিনজন গিয়েছিলাম রোকসানা আপা আমি আর সুমন স্যার। মূলত আমরা স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য গাছ কিনতে গিয়েছিলাম নার্সারিতে। নার্সারিতে যাবার পরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল কেননা সেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুল ফল এবং বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার গাছ দেখতে পাচ্ছিলাম।
গাছগুলো দেখার পরে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছিলাম না কোন ধরনের গাছ কিনে স্কুলে লাগানোর সঠিক হবে। তাই আমি এই বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য নার্সারি কর্মকর্তার সাথে কথা বললাম। এরপরে তিনি আমাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিলেন স্কুলের গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে।
আপনার ছবি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুসারে অনেকগুলো গাছ ক্রয় করলাম এবং নিয়ে আসলাম আমাদের স্কুলে লাগানোর জন্য। আমরা চেষ্টা করেছিলাম এমন কিছু গাছ নিয়ে আসার জন্য যেগুলো বছরের প্রায় সবসময়ই ফুল দিয়ে থাকে। একই সাথে আমরা বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার গাছ ও কিনে এনেছিলাম।
এরপরেই শুরু হয়ে গেল গাছ লাগানোর কার্যক্রম। আমরা যখন গাছগুলো নার্সারি থেকে নিয়ে আসলাম তখন বিকেল হয়ে গিয়েছিল। আমরা চিন্তা করলাম যদি এখনই এই কাজগুলো লাগিয়ে দেয়া যায় তাহলে রাতের মধ্যে কাজগুলো ভালোভাবে মাটির সাথে লেগে যাবে আর যদি বৃষ্টি হয়ে যায় তাহলে তো আরো ভালো কথা। সেই চিন্তাধারা কে কাজে লাগিয়েই আমরা শুরু করে দিলাম গাছ লাগানোর কার্যক্রম। মজার ব্যাপার কি জানেন আমরা গাছ লাগানোর পরে যখন বাড়িতে চলে গেলাম সন্ধ্যার দিকে দেখলাম বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তখনই আমি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম আমাদের এই গাছ লাগানোর কার্যক্রম সফল হবে কেননা এখন প্রত্যেকটি কাজ বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়ে গেল।
গাছ লাগানো সম্পর্কে আপনারা কি ধরনের মতামত পোষণ করেন তা অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে দেখা হবে নতুন কোন একটি পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বৃক্ষরোপণ উদ্যোগটি সত্যি বলতে সবথেকে ভালো হতো। আসলে আপনি যেটা রোপন করছেন সেটা আমাদের জীবন রোপন করছে। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া আমাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এ ধরনের গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
আপনি স্কুলে গাছ লাগিয়েছেন তা অনুভূতি খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। গাছ লাগাতে আপনার খুব ভালো লাগে এটা শুনে খুব ভালো লাগলো আমার। আপনারা তিনজন মিলে স্কুলের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ ক্রয় করলেন। এবং কি ধরনের গাছ স্কুলে রোপন করবেন তা সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আমরা স্কুল ছুটির পরে নার্সারিতে গিয়েছিলাম যার কারণে সকল শিক্ষক যেতে পারেনি
ভাইয়া গাছ লাগাতে আপনি বেশ পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। গাছ লাগাতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। আপনারা স্কুলে গাছ লাগানোর জন্য নার্সারিতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর গাছ কিনে এনেছেন জেনে ভালো লাগলো। নার্সারির কর্মকর্তা এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করেছে এটা বেশ ভালো লাগলো। তারপর আপনারা গাছগুলো এনে বিকেল বেলায় স্কুলে লাগিয়ে দিলেন এবং তারপরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল খুবই ভালো হয়েছে ব্যাপার টা।বৃষ্টি গাছের জন্য খুবই উপকারী হবে।গাছ গুলি বেঁচে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্য কথা বলতে হয়তো বা ঐদিন ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল যার কারণে গাছ লাগানোর পরেই বৃষ্টি হয়েছিল
গাছ লাগান পরিবেশ বাচান অসম্ভব দারুন একটি কাজ গাছ লাগানোর মতো মহৎ একটি কাজ করেছেন ভাল লাগলো শুনে। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
পরিবেশ বাঁচানোর জন্য আমাদের সকলেরই উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো
আসলে স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে গাছের উপরই।আর নার্সারিতে গেলে আসলেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয় কোনটা রেখে কোন গাছটা কিনবো।ভালোই করেছেন নার্সারির কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেসা করে।ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন।শুভ কামনা আপনার জন্য
যাই হোক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও নার্সারি কর্মকর্তা আমাদেরকে খুব ভালোভাবে সহায়তা করেছে
বেশ ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন ভাই। দিনে দিনে যেভাবে গাছের পরিমাণ কমছে ফলে দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এর জন্য তো বাংলাদেশ সরকার বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করে যেখানে বিনামুল্যে গাছ দেয়। যাইহোক ভালো লাগল আপনার উদ্যোগটা। পরিবেশ সুন্দর হবে পাশাপাশি অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।
সরকার যখন মধ্যগ্রহণ করেছে তার পাশাপাশি আমাদের উচিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করা
আমাদের সকলকে পরিবেশ ও সুস্থ জীবন ধারনের জন্য গাছ লাগানো দরকার।আপনি খুব ভালো একটা উদ্যগ নিয়েছেন।এতে করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশ অনেক দূষণ মুক্ত হবে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর ছবি এদের সাথে সাথে পরিবেশকে সুন্দর রাখার জন্য সকলেরই উচিত গাছ লাগানোর সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা
আপনাদের স্কুলে গাছ লাগানোর বিষয়টি দেখে নিজের ও স্কুলের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। আমাদের প্রাইমারি স্কুলেও আমরা সবাই মিলে এইরকম স্কুলে গাছ লাগিয়েছিলাম। আর এখন সেই কাজগুলো অনেক বড় বড়। আপনারা তিনজন টিচার মিলে নার্সারিতে গেলেন গাছ কেনার জন্য বেশ ভালো লাগলো। আবার সবাই মিলে খুব সুন্দর ভাবে গাছ রোপন করছেন। গাছ আমাদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
স্কুল ছুটির পরে আমরা নার্সারিতে গিয়েছিলাম যার কারণে শুধুমাত্র তিনজন টিচার গাছ লাগানোর কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।
স্কুলে গাছ লাগিয়ে দারুন একটি কাজ করেছেন, কথাটা একদম ঠিকই বলেছেন আপনি যেভাবে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে এজন্য পরিবেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তবে গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে আবারো সুন্দর করে তুলতে পারি। দারুন একটু উদ্যোগ নিয়েছেন খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ভিজিট করে।
আমাদের সকলেরই উচিত এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে বৃক্ষরোপণ করা
আপনার এই পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা সকলেই বৃক্ষ প্রেমী মানুষ। স্কুলের সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্য আপনারা কয়েকজন শিক্ষক মিলে নার্সারিতে গিয়েছিলেন গাছ কেনার জন্য। সেখানে গিয়েও আপনারা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলেন যে কোন গাছটা নিবেন অবশেষে সেখানকার একজনের পরামর্শ আপনারা কিছু গাছ ক্রয় করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে যারা গাছ লালন পালন করে তারাই বুঝতে পারে যে কোন গাছটা ভালো হবে। আশা করি স্কুলের প্রাঙ্গনে এই গাছগুলো লাগানোর ফলে স্কুলটি দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় দেখাবে। আপনাদের জন্য সব সময় শুভকামনা রইল বৃক্ষের প্রতি এরকম ভালোবাসা আপনাদের মাঝে সবসময়ই থাকুক।
এই জন্যই মূলত নার্সারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছিলাম কেননা তারা গাছ লালন পালন করে।