হঠাৎ করে হাতি দেখা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার , নভেম্বর ১৩/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে যখন আমি স্কুলের দোতলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলাম হঠাৎ করে ছাত্র-ছাত্রীরা বলে উঠলো স্যার ওই দেখেন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। কথাটি বলার সাথে সাথে তারা আমার কাছে বাইনা ধরতে শুরু করলো হাতি দেখার জন্য। আমি তাদের মুখের দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পেলাম তারা অনেক খুশি হয়েছে হাতি দেখতে পেলে। তাই আমি আর তাদেরকে বাধা দিলাম না বললাম ঠিক আছে তোমরা আস্তে আস্তে যেয়ে হাতি দেখে এসো।
কথাটি বলার সাথে সাথে এই ক্লাস রুম থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বের হয়ে দৌড় দিতে শুরু করল হাতি দেখার জন্য। সেই সময় স্কুলের ক্লাস চলছিল যার কারণে সব ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসের মধ্যে ছিল। তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা যখন বাইরে বের হল তখন অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা ও হাতি হাতি করতে করতে দৌড়াতে শুরু করলো। আমি দোতলা থেকে তাদের আনন্দ দেখতে লাগলাম। হয়তোবা ছোটবেলায় আমরাও হাতি দেখতে পেলে এই ধরনের আনন্দ করতাম। হয়তোবা আমরাও তাদের মত দৌড়ে চলে যেতাম হাতি দেখার জন্য।
আমি উপর থেকেই তাদের কাটানো আনন্দঘন মুহূর্ত দেখতে শুরু করলাম। আমি দূর থেকেই জুম করে হাতির কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। দূর থেকে ছবি তোলার কারণে যদিও ছবিগুলো খুব একটা ভালো হয়নি। তারপরও আমি তখনই চিন্তা করেছিলাম বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই জন্যই মূলত ছবিগুলো ধারণ করেছি।
একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ দেখে খুশি হলাম অন্যদিকে একটা জিনিস দেখে কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেল। আমার সেই মন খারাপের বিষয়টি হল আমি দেখতে পেলাম হাতির উপরে যে মানুষটি বসে আছে সে হাতিকে ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলছে। বিষয়টি আমার কাছে একটু খারাপ লাগলো কেন না যারা চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে না তাদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছে হাতির সাহায্য নিয়ে। অনেক মানুষ ভয় পেয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টা অনেকটা দিনে দুপুরে ডাকাতি করার মতো হয়ে যাচ্ছে না? আমার কাছে তো বিষয়টা অনেকটা দিনে দুপুরে ডাকাতি করার মত হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। আপনাদের কাছে বিষয়টি কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
হাতে দুটো যখন স্কুলের সীমানা পার হয়ে অনেক দূরে চলে গেল তখন আমি সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্লাসের মধ্যে পুনরায় ফিরে আসার জন্য বললাম। আর তারপরেই তারা মন খারাপ নিয়ে পুনরায় ক্লাসের মধ্যে চলে আসলো। আমি তাদের মন খারাপের কারণটি বলতে পারলাম। তাদের আর হাতে না দেখতে পারার জন্য মন খারাপ হয়ে গিয়েছে।
আপনারাও কী এদের মতো করে হাতি দেখার জন্য ক্লাস থেকে দৌড়ে চলে যেতেন তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি একদম ঠিক কাজ করেছেন, ছোটদের কে হাতি দেখার আনন্দ উপভোগ করতে দিয়েছেন। আসলে ঠিক বলেছেন, আমরা নিজেরাও ছোট থাকতে এরকম হাতি দেখলে ভীষণ আনন্দ লাগতো। কিন্তু সত্যিই একটা কথা ভীষণ খারাপ লাগে। খেয়াল করি হাতিকে ব্যবহার করে টাকা তোলার ব্যাপারটা ভীষণ খারাপ লাগে। সত্যি দিনে দুপুরে ডাকাতি করার মত ব্যাপার হয়ে গেল।
সত্য কথা বলতে হাতি দিয়ে টাকা তোলার বিষয়টি আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে।
আপনাদের স্কুলের সামনে দিয়ে হাতি হেঁটে যাচ্ছে আপনি খুব সুন্দর ভাবে হাতি 🐘 যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করলেন। আমাদের বাজারের মাঝে মাঝে হাতি আসে কাছ থেকে হাতি দেখে খুবই আনন্দিত হয়। বিশাল দেহের অধিকারী এই প্রাণীটি দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমি অনেক দূর থেকে দৃশ্যটি উপভোগ করেছি ভাইয়া
ভাইয়া কি আর বলবো আমি তো এখনো রাস্তা দিয়ে হাতির শব্দ পেলে বাইরে বের হয়ে দেখি । বিষয়টি বেশ ভালই লাগে । আর আপনি বেশ ভালোই করেছেন বাচ্চাদেরকে হাতে দেখার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন । ছোট বাচ্চারা দেখতে না পারলে মন খারাপ হত । আপনি একটি বিষয় ঠিকই বলেছেন হাতি চালকরা হাতিদের কে ব্যবহার করে এভাবে চাঁদা আদায় করে । আমাদের শহরেও পুরো শহর তারা হাতিদের কে ঘুরিয়ে চাঁদা আদায় করে ।বিষয়টি সত্যি দিনে দুপুরে ডাকাতির মতই ।
তাদের মন খারাপ হতে দেবো না তাই তো সকলকে হাতি দেখার সুযোগ করে দিয়েছি