রেসিপিঃ টক ঝাল মিষ্টি লোভনীয় জলপাই এর আচার
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। শীতকাল আসলেই গাছে গাছে জলপাই ধরতে থাকে। তাই খুব সহজেই শীতকালে বাজার থেকে জলপাই কিনতে পাওয়া যায়। আর সেই জলপাই দিয়েই তৈরি হয় লোভনীয় আচার। আচার দেখলেই যেন জিভে জল চলে আসে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জিভে জল চলে আসার মতই একটা জলপাইয়ের আচার তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করছি।তো চলুন লোভনীয় এই আচার তৈরীর পদ্ধতিটি শুরু করা যাক....
জলপাই এর আচার তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | জলপাই |
২ | চিনি |
৩ | সরিষার তেল |
৪ | লবণ |
৫ | মরিচের গুঁড়া |
৬ | হলুদের গুঁড়া |
৭ | পাঁচফোড়ন |
৮ | দারচিনি |
৯ | শুকনো মরিচ |
ধাপ-১
আচার তৈরি করার জন্য প্রথমেই আমি কিছু জলপাই খুবই সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
ধাপ-২
পরিষ্কার হয়ে যাবার পরে আমি সেই জলপাই গুলোকে খুবই ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি। সিদ্ধ করে নেবার ফলে জলপাইয়ের আচার খুব সহজেই তৈরি করা যায়।
ধাপ-৩
আর এই কাজ করতে করতেই আমি আচার তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় মসলাগুলোকে আগে থেকেই গুঁড়ো করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপরে আমি একটা কড়াই এর মধ্যে তেল নিয়ে নিয়েছি এবং তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি তার মধ্যে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য আমি সেখানে কয়েকটা মরিচ এবং তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
সবগুলো উপকরণ দেয়া হয়ে যাবার পরে আমি পূর্বে সিদ্ধ করা জলপাইগুলোকে কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৭
যেহেতু আমি টক ঝাল মিষ্টি জলপাই কড়াই আচার তৈরি করতে চেয়েছি তাই আমি এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ চিনি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৮
তারপরে আমি পূর্বে তৈরি করে নেওয়া মসলার গুঁড়া গুলোকে কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৯
সকল উপকরণ দেয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি কিছু সময় সেগুলো কড়াই এর উপরে নাড়াচাড়া করেছি।
পরিবেশন
আর এরই মধ্য দিয়েই তৈরি হয়ে গেল লোভনীয় জলপাই এর আচার। আমার তৈরি করার টক ঝাল মিষ্টি এই জলপাইয়ের আচার আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
জলপাইয়ের আচারের রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসলো ভাই ।টক ঝাল মিষ্টি আচার খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আপনার তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে ধাপে থাকে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আসলে এটাই এমনই একটা রেসিপি যা দেখে সকলেরই প্রায় ই মুখে পানি চলে আসে।
এখনো পর্যন্ত জলপাই খেতে পারলাম না। আর আজকে আপনি জলপাই দিয়ে আচার বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আর এই রেসিপির মধ্যে আপনি যেভাবে এটি তৈরি করেছেন তা একদমই ইউনিক হয়েছে। একই সাথে টক ঝাল মিষ্টির জলপাই এর আচার দেখে আমার এখনি খেতে ইচ্ছে করছে।
কিছুদিন আগে দেখতে পেলাম আমাদের গ্রামের বাজারে এটা বিক্রি করছে তাই কিনে শুরু করে দিলাম।
টক ঝাল মিষ্টি আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে মিষ্টি আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। জলপাইয়ের আচার দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে আপু। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
অনেকদিন আগে খেয়ে ফেলেছি আপু আর এখন ছবিগুলো দেখে আমার নিজেরই লোভ লেগে যাচ্ছে।
জলপাই এর আচার খেতে আমার বেশ ভালোই লাগে। আপনি আজকে খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে জলপাই এর আচার বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই জলপাই এর আচার বানানোর রেসিপিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই ধরনের আচার তৈরি করতে খুব একটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না তাই সবাই এটা তৈরি করে খায়।
এই সময় বাজারে জলপাই অনেক বেশি পাওয়া যায়। জলপাইয়ের আচার খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। বিশেষ করে খিচুড়ি ভাত অথবা ডাউলের সাথে খাবারটা বেশি জমে ওঠে। জলপাইয়ের আচার তৈরি ধরন টা দেখে শিখে নিতে পারলাম। সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খিচুড়ি ভাত এর সাথে যে আচার খাওয়া যায় এই বিষয়টা তো আমার জানা ছিল না ভাইয়া আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম।
টক ঝাল মিষ্টি লোভনীয় জলপাই এর আচার।দেখে জিহ্বে জল এসে পড়লো। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এই ধরনের জিনিস দেখলে প্রত্যেকে মানুষের জিভে জল চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক।
টক ঝাল মিষ্টি লোভনীয় জলপাই এর আচার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেকে ধন্যবাদ। ধাপ গুলো দেখে শিখতে পারলাম।
আবার তৈরি করার জলপাই এর আচার আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই খুশি হলাম ভাইয়া।
জলপাই আমার অনেক পছন্দের। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো ভাই। এগুলো আচার দেখলেই তো জিভে জল চলে আসে। আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপির ধাপ গুলো শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া একটু লোভনীয়ভাবেই আপনাদের মাঝে এটা শেয়ার করতে।
শীতের মৌসুমে বাজারে জলপাই দেখা যায় জলপাই আমার কাছে কাচাটা অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে কিন্তু জলপাইয়ের আচার তেমন একটা সুস্বাদু লাগেনা। আমার কাছে সুস্বাদু লাগে না তাই বলে যে এটা সুস্বাদু নয় তা কিন্তু নয়, অনেকেই আছে যারা জলপাইয়ের আচার অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে আমার ছোটবোন জলবাইয়ের আচার অনেক বেশি ভালোবাসে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রায় প্রতিদিনই আচার নিয়ে বাসায় ফিরে। আপনার এই জলপাইয়ের আচার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যদিও এখনও খুব একটা ভালো শীত আসেনি তারপরও আমাদের এলাকার বাজারগুলোতে জলপাই চলে এসেছে।
জলপাইয়ের আচার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে ।জলপাইয়ের আচার খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বেশ কিছুদিন আগে আমিও জলপাইয়ের আচার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। এখন বাজারে অনেক জলপাই দেখা যায় আর জলপাইয়ের আচার ও এখন খুব সহজেই পাওয়া যায়। জলপাই আচার তৈরি করার প্রতিটি ধাপে আপনি খুবই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু এখন প্রত্যেকটা জায়গার বাজারে জলপাই পাওয়া যাচ্ছে তাই এই জলপাই তৈরি আচার খুব সহজ হচ্ছে।