নবীন বরণ অনুষ্ঠান পর্ব-২
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , জানুয়ারি ২১/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। গতকালকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের স্কুলে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ সম্পর্কে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি সেই নবীন বরণের পোষ্টের দ্বিতীয় অংশ শেয়ার করতে চলেছি। প্রথম অংশে আমি শুধুমাত্র নবীদের কে বরণ করে নেবার বিষয়টুকু শেয়ার করেছিলাম। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশ শুরু হয়েছিল করার তেলওয়াতের মাধ্যমে। আর এই কোরআন তেলোয়াত এই অংশ নিয়েছিল আমাদের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জারিন তাসনিন জুঁই।
এরপরে যথারীতি নিয়ম অনুসারে আমরা জাতীয় সংগীত পরিচালনা করেছিলাম। আর এই জাতীয় সংগীত পরিচালনার সময় শিক্ষক ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক সহ উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান প্রদর্শন করেন। আর একই সাথে বক্সের জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে সকলেই জাতীয় সংগীতে সুর মিলাতে থাকেন।
আমরা প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান কনফারেন্স রুম এ করার চেষ্টা করি কিন্তু এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে লোকসংখ্যা অনেক বেশি হবে সেটা আমরা পূর্বেই ধারণা করতে পেরেছিলাম। যার ফলে কনফারেন্স রুমের পরিবর্তে আমরা এই অনুষ্ঠানটি আমাদের স্কুলের খেলার মাঠে আয়োজন করেছিলাম। যেখানে আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীসহ অনেকগুলো অভিভাবক অংশগ্রহণ করেছিল। এত বড় একটা জমজমাট অনুষ্ঠান নিজে হাতে আয়োজন করতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করার জন্য জান্নাতুল ম্যাম সুমন স্যার এবং আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করেছেন। এছাড়াও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী ও এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উপরের দুইটা ছবি কি আপনারা চিনতে পারছেন?
এগুলো সেই ফুলের পাপড়ি যেগুলো দিয়ে আমরা নবীদেরকে বরণ করেছিলাম। সত্য কথা বলতে ফুলের পাপড়ি গুলো যখন মাটিতে পড়েছিল সেগুলো দেখতে আমার কাছে দারুণ লেগেছে। যার কারণে আমি পাপড়িগুলোকে একটা ছবির মধ্যে ধারণ করে রেখেছি যেন পরে কোন সময়ই সেগুলো দেখতে পারি। তাই আজকে আমি সেই ছবিটিও এই পোস্টের মধ্যে সংযুক্ত করে দিলাম । কারণ এই পোস্টের মাধ্যমে সংযুক্ত করার ফলে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে এটা সারা জীবনের জন্য সেভ হয়ে থাকবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনাদের স্কুলের নবীন বরণ উৎসব দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক ও আপনাদেরকে অনেক সাহায্য করেছে এই বিষয়টা বেশি ভালো লেগেছে। আবার দেখলাম অনেক সুন্দর ভাবে ফুলের পাপড়ি দিয়ে নবীদেরকে বরণ করা হয়েছে। আপনার মত ফুলের পাপড়ি গুলো ছড়িয়ে রয়েছে এটা দেখে আমারও ভালো লেগেছে।
যখন ফুলের পাপড়ি গুলো মাটিতে পড়েছিল সেটা দেখতে আমারও খুবই ভালো লাগছিল।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।আসলে প্রতিবছর নতুনদের এভাবে সুযোগ করে দেওয়ার মাঝে আনন্দ পাওয়া যায়।তাছাড়া আপনাদের স্কুলের পাশেই আখ বাগানটি সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে প্রত্যেক বছরেই এই ধরনের নবীন বরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করব।
👌