জেনারেল রাইটিং: কঠোর পরিশ্রমের পরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আইডি কার্ড তৈরি করার কাজ শেষ করলাম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার, জুলাই ০৯ /২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যারা আমার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়েন তারা হয়তোবা জানেন আমি পেশাগত ভাবে একজন শিক্ষক। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমাদের স্কুলের বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। যেহেতু আমাদের স্কুলটা আমাদের পুরো এলাকার মধ্যে একটু ভিন্ন ধরনের স্কুল তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করি একটু ভিন্ন কিছু করতে যা অন্যান্য স্কুল থেকে আমাদের স্কুলটাকে সহজে আলাদা করতে পারে। এজন্য আমরা চিন্তা করেছিলাম আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আইডি কার্ড তৈরি করব। যেহেতু আইডি কার্ড তৈরি করতে হবে আর সেই দায়িত্বটা পড়ে গেল আমার উপরেই।
এই মাসের ২০ তারিখ থেকে আমার মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হবে তাই আমাকে ঢাকাতে চলে যেতে হবে। আর যেহেতু আইডি কার্ড তৈরি করার দায়িত্ব আমার কাঁধে পড়েছে তাই এই ২০ তারিখের আগেই আমি চিন্তা করেছিলাম সকলের আইডি কার্ড পৌঁছে দেব। তাই শেষ কদিন যাবত আমাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হয়েছে এই আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য। যেহেতু আমাকে আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই চলে যেতে হবে তাই একটু বেশি কষ্ট করে আইডি কার্ড তৈরির কাজটা শেষ করে ফেললাম।
আমি প্রথমে মনে করেছিলাম আইডি কার্ড তৈরি করার কাজটা হয়তোবা অনেক সহজ ভাবেই করা সম্ভব হবে। কিন্তু যখনই কাজটা আমি হাতে নিলাম তখনই দেখতে পেলাম যে এটা মোটেও সহজ কোনো কাজ না। যদিও এটা একটা ছোট কার্ড তৈরি হয়েছে কিন্তু এই কার্ড এর মধ্যে দিতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইনফরমেশন। যা প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর জন্য আলাদা আলাদা পরিচয় বহন করে। এই কারণেই এই আইডি কার্ডগুলো তৈরি করতে আমাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হয়েছে।
দীর্ঘ এই কয়দিন প্রচুর পরিশ্রম করার পরে আজকে যখন আইডি কার্ড তৈরি করার কাজ শেষ করতে পারলাম তখন নিজের কাছেই যেন কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি। মনে হচ্ছে মাথার উপর থেকে বড় একটা বোঝা নামাতে পারলাম। এবার আইডি কার্ড তৈরি করার কাজ করার জন্য আমি অনেক বিষয়গুলো থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পেরেছি। পরবর্তী বছর থেকে চেষ্টা করব বছরের প্রথমে আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য এবং যে বিষয়গুলো এবার ভুল ত্রুটি ছিল সে বিষয়গুলো সংশোধন করে নিব। যদি ভুল ত্রুটির সেই বিষয়গুলো সংশোধন করে নিতে পারি তাহলে হয়তো বা পরবর্তী বছর আইডি কার্ড তৈরি করতে আমাকে এতটা বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। যাই হোক অবশেষে যে কাজটা শেষ করতে পেরেছি এর জন্যই নিজের কাছে ভালো লাগছে। ইচ্ছা রয়েছে আগামীকাল আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তাদের নিজ নিজ আইডি কার্ড তুলে দিব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শুনে খুব ভালো লাগলো আপনাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আইডি কার্ড আপনি নিজে সময় দিয়ে বানিয়েছেন। কারণ আইডি কার্ডগুলো বানানোর দায়িত্ব আপনার উপর পড়েছে। ২০ তারিখে আপনার পরীক্ষা সেই কারণে আইডি কার্ডগুলো তার আগে বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তার আগে আপনি আইডি কার্ডগুলো বানিয়ে ফেলেছেন। আসলে কোন কাজ এতই সহজ নয় করতে গেলে বোঝা যায়। আইডি কার্ডগুলো বানিয়ে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সামনে পরীক্ষা তাই চেষ্টা করলাম আগে থেকে কাজটা শেষ করে ফেলার
এটা খুবই একটা কঠিন কাজ, বিশেষ করে যেখানে ইনফরমেশন দিতে হয় সেখানে বারবার চেক করতে হয় সবগুলো ঠিক আছে কিনা। আর এখানে তো একসাথে অনেকগুলো ছাত্রছাত্রী ইনফরমেশন রয়েছে বেশ ভালই কষ্ট করতে হয়েছে আপনার।
আসলেই ভাই এই কাজটা করতে আমাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হয়েছে
যে কাজগুলোকে আমরা খুবই সহজ মনে করি সেই কাজগুলো যখন আমরা করতে যাই তখন ততটাও সহজ মনে হয় না আপনার ক্ষেত্রে হয়তো বা ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল। যদিও কাজটা করা অনেক বেশি কষ্ট ছিল তবে আপনি সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। এখন প্রায় প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড তৈরি করা হচ্ছে এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে এতে করে শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। আপনাদের এই সুন্দর উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। যেহেতু মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই কাজটা দেখে আমি প্রথমে মনে করেছিলাম সহজে করতে পারব পরে বুঝলাম কতটা কঠিন কাজ
ছাত্র-ছাত্রীদের আইডি কার্ড বানানোর দায়িত্ব আপনার উপর পড়েছে। ঠিকমত আপনি সময় দিয়ে আইডি কার্ডগুলো বানিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ২০ তারিখের আগে আপনি কার্ডগুলো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০ তারিখের অনেকদিন আগেই আপনি কার্ডগুলো তৈরি করেছেন দেখে সত্যি ভালো লাগলো। কারণ আপনার কাজের প্রশংসা করতে হয়। তবে যত কাজ যতই সহজ করবেন ততটা ইজি নয়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই ধরনের কাজ নিজে যে সহজ মনে করবে সে প্রচুর পরিমাণে ভুল করবে