নতুন বই মানেই যেন অন্যরকমের এক অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , জানুয়ারি ৩/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আমার এই পোস্টটি দেখার পরে আপনাদের হয়তোবা অনেকেরই আপনাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাবে। আসলে বিষয়টি সত্যিই মনে পড়ে যাবার মত। জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ আসলেই জানো প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীর মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে। সেই ভালোলাগার প্রধান বিষয় থাকে হচ্ছে নতুন বই হাতে পাওয়া কে কেন্দ্র করে। আসলে এসে এক অন্য রকমের অনুভূতি। আমার মনে আছে নতুন বই যখন হাতে পেতাম সেটার গন্ধ শুকতাম খুবই ভালো লাগতো আমার কাছে নতুন বইয়ের গন্ধ।
আপনারা জানেন যে আমি একটা স্কুলের শিক্ষক। যেহেতু জানুয়ারি মাস চলে এসেছে তাই আমরাও চেষ্টা করেছি আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবার জন্য। যদিও এ বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বেসরকারি যে সকল বিদ্যালয়গুলো রয়েছে সেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুব একটা বেশি বই এখন পর্যন্ত আসে নি। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি যে কয়টা বই হাতে পেয়েছি সেগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তুলে দিতে। কারন আমরা জানি যে প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী এই নতুন বছরে বই পাওয়ার আনন্দটা উপভোগ করতে চাই।
এবছরের বই দেবার কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের মাঝে উপরের কয়েকটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছি। মূলত এই বই দেয়া অনুষ্ঠানের প্রধান ভূমিকা পালন করেছে আমাদের স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল আলম। তার নেতৃত্বেই আমাদের স্কুলে বই দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের সাথে সহযোগিতায় ছিল আমাদের স্কুলের দুটো ম্যাডাম। যদিও আমি সহযোগিতায় ছিলাম কিন্তু ফটোগ্রাফি করার কারণে আমাকে আর আমি ফটোর মধ্যে নিতে পারেনি। আসলে যারা ফটোগ্রাফি করে তারা কখনোই ছবির মধ্যে নিজেকে প্রবেশ করাতে পারেনা।
যখন ছাত্রছাত্রীদের হাতে বইগুলো তুলে দিয়েছিলাম তখন তাদের মনের মধ্য কার অনুভূতি আমি স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারছিলাম। তারা কিন্তু কোন সময় ভাবছিল না যে নতুন বই এত এত পড়া, কিভাবে ধরা পড়বে? তাদের মনের মধ্যে একটাই অনুভূতি কাজ করেছিল যে কে কতটা সুন্দর নতুন বই পায়। আসলে আমরাও ছোটবেলায় দেখতাম যে আমার বইটাতে কোন ধরনের ছেড়া অথবা দাগ লেগে রয়েছে কিনা। এ পেজ হতে ও পেজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতাম আমাদের সেই নতুন বইগুলোকে। ঠিক তেমনটি আমি দেখতে পেলাম আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। আসলে এ আনন্দ কোনোভাবেই মুখে প্রকাশ করার মতো নয়। আমি জানি যে আমার এই পোস্টটি যারা পড়ছেন তারা হয়তো ফিরে গেছেন আপনাদের সেই ছোটবেলার ছাত্র জীবনে। যে সময়ে আপনিও এভাবে স্কুলের শিক্ষকের হাত থেকে বই নেবার জন্য অপেক্ষা করতেন।
যাইহোক আমার এই পোস্ট পড়ে কার কেমন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল কমেন্ট করে জানাবেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় নতুন বই পেলে কতই না খুশি হতাম। বছরের শুরুতে অন্যরকম একটা অনুভূতি হতো এই নতুন বই নিয়ে। নতুন বই পাওয়ার আনন্দটা আসলে প্রকাশ করার মতো না। যাই হোক , বাচ্চারা নিশ্চয়ই খুব খুশি নতুন বই পেয়ে।
আসলে আপু এগুলো যে ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে পড়িয়ে দেবার মতই ঘটনা।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চরা আসলে নতুন বই পেলেই অনেক খুশি।বইয়ের ভিতর কি আছে অতো ভাবার সময় নেই। এটা ঠিক বলেছেন যে ছবি তোলে আসলে তার ফটো তুলা হয় না।তবে এই বই পাওয়ার আনন্দ আসলে ভাষার প্রকাশ করা যায় না।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই জন্যই তো বই দিবসের দিন সকলকে স্কুলে সকাল সকাল দেখতে পাওয়া যায়।
আসলে বছরে প্রথম দিনেই নতুন বই নেওয়ার আনন্দ অনেক। নতুন বই হাতে পেলে কি যে আনন্দ লাগত তা আসলে ভাই বলে বুঝানো সম্ভব নয়। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছেলে মেয়েদের বই পাওয়া ভালো লাগার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিষয়টি সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল।
সত্যি ভাইয়া সময় কত বদলে যায়। একটা সময় আমরা নিজেরা নতুন বই পেলে কতটা আনন্দ পেতাম আর এখন আপনি নিজে আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। আসলে সময় বদলে যায় বলে সবকিছুই বদলে যায়। তবে সেই মধুর অনুভূতিগুলো সারা জীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে। নিজের স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল।
এই পোস্টটি লেখার সময় আমারও স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গিয়েছে।
ভাইয়া সত্যি নতুন বই পাওয়ার অনুভূতি কখনো বুঝানো যায়না। আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন নতুন বই বাড়িতে এনে বই খুলে এর ঘ্রাণ নিতাম। আমার কাছে সেই ঘ্রাণ অনেক ভালো লাগতো। এছাড়া বই পড়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। আমি স্কুলে চাকরি করেছি কিন্তু বাবু হওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছিলাম। তখন বাচ্চাদের নতুন বই দিলে বাচ্চারা যেমন মজা পেতো আমরাও তেমনি মজা পেতাম। ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ যেন অন্য রকমের একটা ভালো লাগার অনুভূতি দেই।
আপনি ঠিক বলছেন নতুন বই পেলে গন্ধ শুকতে শুকতে বাড়িতে চলে যেতাম এবং সারারাত বইগুলো গেটে গেটে দেখতাম।যেদিন বই দিত সেই আগের দিন রাত ঘুম হত না।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের স্কুলের প্রতিনিয়ত আপডেট গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো প্রথমে বইয়ের ছবিগুলো দেখতে শুরু করে দিতাম।
সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।আসলে নতুন বছরের নতুন বই হাতে পাওয়া আমাদের মনে আলাদা একটি আনন্দের সৃষ্টি করতো।বিশেষ করে নতুন বইয়ের পাতার সুন্দর একটি গন্ধ পাওয়া যেত যেটা আমার খুবই ভালো লাগতো,ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার মতো দেখছি আপনারও একই ধরনের অবস্থা দিদি।
সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।আসলে নতুন বছরের নতুন বই হাতে পাওয়া আমাদের মনে আলাদা একটি আনন্দের সৃষ্টি করতো।বিশেষ করে নতুন বইয়ের পাতার সুন্দর একটি গন্ধ পাওয়া যেত যেটা আমার খুবই ভালো লাগতো,ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে মনে হয় নাকের সামনে সেই গন্ধটা আজও আমি অনুভব করি।
আসলেই ভাই ছোটবেলায় ফিরে গেছিলাম।সেই নতুন বইয়ের গন্ধ,বই পাওয়ার জন্য অপেক্ষা,বই পাওয়ার উন্মাদনা মনে পরে গেল।বই বাসায় নিয়ে এসেই মলাট করতাম।সেই স্মৃতি গুলো ভেসে উঠল মনের পর্দায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর আবেগঘন মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আপনাকে আমি ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি বলে নিজেকে সার্থক বলে মনে হচ্ছে।