জেনারেল রাইটিংঃ আমার পুকুরের তেলাপিয়া মাছের আপডেট
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত করেন তারা হয়তোবা জানেন আমি পেশাযতভাবে একজন শিক্ষক। একাগত ভাবে শিক্ষক হবার কারণে আমি এলাকাতেই থাকার সুযোগ পাই। আর এই কারণে আমি বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যেগুলো আমার অর্থনৈতিক বিষয়টাকে আরো সচেতন করবে বলে আমি মনে করি। যারা আমার পোস্ট আগে পড়েছেন তারা হয়তোবা দেখেছেন যে আমার একটা রঙিন মাছের খামার রয়েছে আমার একটা কঠিন পাখির খামার রয়েছে। এছাড়াও আমার দুইটা পুকুর রয়েছে যেখানে আমি তেলাপিয়া এবং পাঙ্গাস মাছ চাষ করি। এইতো মাস খানের আগের কথা আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম তেলাপিয়া মাছের পোনা দেবার কথা। যেহেতু আমরা মাছ চাষ করি তাই সবসময় চেষ্টা করি মাছের পোনা নিজেরাই উৎপাদন করতে। আমরা বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে ছোট ছোট পোলা ক্রয় করে আনি এবং সেগুলোই বড় করে চাষের উপরে দেই। মাসখানেক আগে আমি আমার এই পুকুরের জন্য দশ হাজার তেলাপিয়া মাছের পোনা হ্যাচারি থেকে কিনে এনেছিলাম।
যেহেতু আমার এই পুকুরটা মাঠের মাঝখানে অবস্থিত তাই এখানে বিভিন্ন ধরনের পাখির অত্যাচার হয়। আসলে এই মাঠের মাঝখানে বক পানকৌড়ি সহ অনেক ধরনের পাখি পুকুরে বসে মাছ খাবার জন্য। তাদের হাত থেকে আমার এই মাছগুলোকে রক্ষা করার জন্য উপরে নেট দিয়ে দিয়েছি যেন পাখিতে মাছ খেতে না পারে। যদিও কিছুটা খরচ হয়েছে এই কাজ করতে তার পরেও পাখির হাত থেকে অনেক মাছ খেয়ে রক্ষা করতে পেরেছি বলে আমার কাছে মনে হয়।
যেহেতু সকালের দিকে পুকুরে যাবার মত সময় পায় না তাই মাছের আকৃতি কেমন হয়েছে সেটা দেখতে পারিনা। আসলে প্রত্যেকদিন সকালেই মাছ ভাসতে থাকে কিন্তু সময়ের অভাবে আমি সেটা দেখতে পারিনা। আজকে যেহেতু শুক্রবার ছুটির দিন ছিল তাই উপরে যাবার মত সুযোগ পেয়েছিলাম। সকালে পুকুরে যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম বড় হয়ে গিয়েছে। আশা করি আর কিছুদিন যদি এই ভাবে এই নার্সারি পুকুরে মাছগুলো রাখা হয় তাহলে খুব সহজেই চাষের পুকুরে দেবার মত উপযোগী হয়ে যাবে।
আস্তে আস্তে যখন সূর্য উঠে শুরু করলো তখন মাছ আস্তে আস্তে ডুবে যেতে শুরু করলো। মাছ পানির মধ্যে ডুবে যাবার পরে আমি পুকুর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছিলাম পরবর্তী সময়ে আমার এই মাছের আপডেট পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
কষ্টের জিনিস বড় হলে ভালো লাগে। তবে শুনেছি আমাদের পুকুরের দীর্ঘদিন তেলাপিয়া মাছ মারা যাচ্ছে। তিনটা পুকুরে একই রোগ লেগে আছে। তাই পুকুর ছেকার জন্য চেষ্টা করছে সবাই।
এটা ঠিক কথা কষ্টের জিনিস বড় হলে খুবই ভালো লাগে।
তেলাপিয়া মাছগুলো এইতো কয়দিন আগেই দিয়েছিলেন। এত ছোট তেলাপিয়া গুলো বেশ কয়েকদিনের মধ্যে অনেক বড় হয়ে গেছে। আসলে বেশ ভালোভাবে যত্ন নিলে সবকিছুই সুন্দর হয়। এভাবে যত্ন সহকারে এদেরকে পরিচর্যা করলে খুব কম সময়ের মধ্যেই বিক্রয়ের উপযোগী হয়ে যাবে।
এইতো কিছুদিন আগে দিয়েছিলাম বড় হয়ে গেল।
গতকাল শুক্রবার গিয়ে মাছের দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। পুকুরের মধ্যে মাছগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। সূর্য উঠার সাথে সাথে মাছ গুলো আবার ডুবে যায় এই দৃশ্যটা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। যাইহোক মাছগুলোর যত্ন নিবেন তাহলে আরো বড় আর সুন্দর হবে। শুভকামনা রইল।
সকালে গিয়েছিলাম বলেই এমন সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পেরেছি।
আসলে নিজের কোন কিছু শেয়ার করার মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ আর আপনার পুকুরের এই তেলাপিয়া মাছের আপডেট শেয়ার করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে কিছুদিন আগেই আপনি এই মাছগুলো দিয়েছিলেন এবং এখন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে শুনে খুব ভালো লাগছে৷ এভাবেই চালিয়ে যান৷ শুভকামনা রইল আপনার জন্য৷
নিজের জিনিসগুলো বড় হচ্ছে দিন দিন এজন্য খুবই ভালো লাগছে।