এলাকার সড়কেও বিভ্রান্তি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করছি আমাদের উপজেলা শহরে যাবার পথে যে সড়কটি রয়েছে সেখানে নানা ধরনের বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। এই বিভ্রান্তির প্রধান কারণ হচ্ছে সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেনেজ সিস্টেম করা। যখন এই সড়কটি তৈরি করা হয়েছিল তখন পানি বের করার জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম করা হয়েছিল না। যেহেতু এখন রাস্তাটা মানুষ চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে গিয়েছে আর এখন এই কাজটি করতে যেয়ে সাধারণ মানুষেরা নানা ধরনের বিভ্রান্তির মুখে পড়ছে। আজকে আমি সামান্য কিছু কেনাকাটা করার জন্য আমাদের উপজেলা শহরে গিয়েছিলাম। সেখানে যাবার সময় তেমন কোন সমস্যা সম্মুখীন হয়েছিলাম না। কিন্তু সমস্যাটা লক্ষ্য করলাম সেখান থেকে ফিরে আসার সময়।
এমন একটা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যা দেখে মনে হচ্ছিল যেন আমি ঢাকা শহরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছি। অল্প কয়েক সেকেন্ডের রাস্তা পার করতে আমাকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। আপনাদের মাঝে আমি একটা ছবি শেয়ার করেছি সেখানে আপনারা ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছেন কি একটা অবস্থা হয়ে গিয়েছে। আসলে এখন ড্রেনেজ এর কাজ করার জন্য সকল উপকরণ রাস্তার উপরে রেখে দিয়েছে আর সেই কারণে রাস্তার আয়তন অনেক কমে গিয়েছে। আর এর কারণে শুধুমাত্র যে ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে তা কিন্তু নয় নানা ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই তো কিছুদিন আগের কথা, ড্রেন তৈরির এই সকল উপকরণ এর কারণে একজন মোটরসাইকেল চালক পিছলে রাস্তার উপর পড়ে গিয়েছিল আর ঠিক সেই মুহূর্তে একটা ট্রাক এসে মোটরসাইকেল চালকের মাথার উপর দিয়ে চলে গেল। নিমিষেই মারা গেল মোটরসাইকেল চালক। এই ড্রেন করার জন্য যে শুধুমাত্র এই একজনের এক্সিডেন্ট হয়েছে তা কিন্তু নয় আমরা এখন প্রত্যেক দিনে এখানে কোন না কোন এক্সিডেন্ট দেখতেই পাচ্ছি। মারা যাওয়ার বিষয়টা একটু বেশি হয়ে গিয়েছে ওই দিনে। যখন মানুষটা মারা যায় তার কিছুক্ষণ আগেই আমি ওই রাস্তা দিয়ে এসেছিলাম।
আমার দেশের সবথেকে বড় একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা পরিকল্পনা নিয়ে কোন কাজ করি না। যদি এই ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা আগে থেকেই করা হতো তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতে হতো না। একই সাথে আমরা এখন যে ধরনের ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে পড়ে গিয়েছি সেটাও আমাদেরকে পড়তে হত না।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আসলে ভাই এখন সব জায়গাতেই ভোগান্তির শেষ নেই।এলাকার মধ্যে বিভ্রান্তি মানে খুবই কষ্টকর একটা বিষয়।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
যদি কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিতে তাহলে এ ধরনের ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষেরা হতো না।