ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর এসে আমাদের স্কুল পরিদর্শন করে গেলেন

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

IMG20230114103228.jpg

আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , জানুয়ারি ১৪/২০২৩

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। শনিবার অর্থাৎ আমাদের দেশে সাপ্তাহিক ছুটি হওয়া সত্ত্বেও আজকে আমরা স্কুলে উপস্থিত হয়েছিলাম। স্কুলে উপস্থিত হবার প্রধান কারণ ছিল আমাদের স্কুলের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতি। প্রত্যেক মাসে আমরা চেষ্টা করি উপদেষ্টা মহলের সাথে অন্তত একদিন স্কুলের ভালো-মন্দ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনায় বসতে। সেই চিন্তাধারাকে কাজে লাগিয়েই এই জানুয়ারি মাসের মিটিং করা হলো আজকে। যথারীতি আজকেও নয়টার সময় মিটিং এর সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা সকলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে পৌছে গেলাম এবং মিটিং শুরু করলাম।

IMG20230114102931.jpg

কিছুক্ষণ পরে আমরা স্কুলের মধ্যে কিছু মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করলাম। তাদের উপস্থিতি দেখে আমরা একজনকে বাইরে দেখতে বললাম। তখন তিনি এসে আমাদেরকে বললেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে দুজন প্রফেসর এবং তাদের সাথে অনেকজন আমাদের স্কুল পরিদর্শন করতে এসেছে। বিষয়টি জানার পরে অনেক ভালো লাগলো কেননা ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুজন প্রফেসর আমাদের স্কুল পরিদর্শন করতে এসেছে। পরিদর্শন শেষে তারা আমাদেরকে স্কুল সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো মতামত প্রদান করলেন।

IMG20230114103214.jpg

তারা আমাদের স্কুলের এত সুন্দর ফুল বাগান দেখে খুবই খুশি হয়েছে। তারা আমাদেরকে জানালেন যেন স্কুলটাকে দেখে মনে হচ্ছে সুন্দর একটা পার্ক। আসলে বিষয়টা এখন বর্তমান সময়ে অনেকটাই সত্য হয়ে গিয়েছে। এ বছরে আমরা এত বেশি পরিমাণে ফুল গাছ লাগিয়েছি যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা একটা সৌন্দর্যের ভরা একটা স্কুল। স্কুলটি একদম রাস্তার সংলগ্ন হবার কারণে এই ফুল গাছগুলো আরো বেশি আকর্ষণ ছড়িয়েছে পথচারী মানুষদের মধ্যে। সত্য কথা যে যখন স্কুলটি শুরু করেছিলাম তখন স্কুলের পরিবেশটা এতটা সুন্দর ছিল না যার কারণে এখন পথচারী মানুষেরা স্কুলের দিকে তাকালেই তারা বিভিন্ন ধরনের প্রশংসার বাণী বলতে থাকে। সেদিন শুনতে পেলাম রাস্তা থেকে একজন ব্যক্তি চলাচল করার সময় বলছে যে স্কুলের পরিবেশটা এইবার সুন্দর হয়েছে।

শুধু তারা নয় আজকে যারা স্কুল পরিদর্শন করতে এসেছিল তারাও অনেক খুশি হয়েছে এই স্কুলের এই সুন্দর সাজানো গোছানো ফুলের বাগান দেখে। এটা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক বড় একটা পাওয়ার বিষয় চেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর আমাদের স্কুল পরিদর্শন করতে এসেছে। যদিও ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আমাদের স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর কারণে। তিনাদের মুখ থেকে জানতে পারলাম তারা ফেসবুকে স্কুল সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্ট দেখেই উৎসাহিত হয়েছে আমাদের স্কুল ভ্রমণ করার জন্য।

g6br9NKHvSo72r7xnHSpj1hkcv6csCddDyMEi1jUecgDw3N4Yfy6YpdUvdCyw6kiWy8pVjCrDNVML5aQoBLFZoYCEFX6JNcKgvs5UsgTeh...vc46UPdpEf1AVVuUWBn8RUMuwUdmFWuyrwZEyyuDTDyVbPcmkcnLzvaPhyPaKzykkdRpMiY3R5t15G2er9hQQRrN59nMWe2xMnGw1fVdX6StCUsD1ukGkadgPX.gif

5zGozCj1raAPxR2gxtAcC4PqrgwoJ7g4fhsaZBQiGiZqD8TG2URyGVeS9wfGC6bbv9GSFJJ7cs9hhhzg9bBWB2YWdJJwcvoKQM9J4d27PR...KPKF6zqAovEmYL1T3UophX8h4Vurjb89ULGf4rkgt5dtawbAQzfqC1a6RfjNVLwj8U29EuYyYkv5jrrkhKTV7iz4S2EEfCFWVMc9QFV9HDhKqYRqgectoFAwRP.gif

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7A...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

New_Benner_ABB-6.png

31d69a34-baa1-4541-99d9-2ad763f636c6.gif

20220219_134311.gif

IMG_20220219_131222.jpg

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

সম্মানিত একজন প্রফেসর আপনাদের স্কুলে বেড়াতে এসেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপনাদের স্কুলটা সত্যি অনেক সুন্দর। বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো। ফুলের গাছ থাকলে স্কুল দেখতে ভালো লাগে এবং বাচ্চাদের ভালো লাগে। ফুল গাছগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

এই কারণেই মূলত আমরা বেশি পরিমাণে ফুল গাছ লাগিয়েছি।

 2 years ago 

আপনারা ধীরে ধীরে স্কুলটার পরিবেশ অনেক সুন্দর করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের স্যার ঠিকই বলেছেন এটা আসলেই দেখতে কোনো পার্কের মতো লাগছে। ফুলের গাছগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমরা সেই সাথে রয়েছি প্রতিনিয়ত স্কুলের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করার জন্য।

 2 years ago 

আসলেই ফুলে গাছ গুলো জন্য স্কুলটি খুব সুন্দর দেখাচ্ছে ৷ বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ লাগিয়ে স্কুলটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন ৷ আমারও অনেক ভালো লাগলো আপনাদের স্কুলের সুন্দর পরিবেশ দেখে ৷ যাই হোক , ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর এসে আপনাদের স্কুল পরিদর্শন করলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

আসলেই ভাইয়া বিষয়টি আমাদের জন্য অনেক ভালো লাগার মত।

 2 years ago 

আপনাদের অনেক পরিশ্রমের কারণে স্কুলের সুন্দর পরিবেশ ফিরে পেয়েছেন।এমন সুন্দর ফুল বাগান সহ স্কুল খুব কম দেখা যায়।তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুইজন প্রফেসর এসে আপনাদের স্কুল পরিদর্শন করে প্রশংসার দাবিদার রেখেছেন আপনারা।অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে তবে আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

এটাই তো আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন অন্যান্য স্কুলের থেকে আমাদের স্কুলটাকে একটু আলাদা হয়।

 2 years ago 

আসলে বর্তমান সময়ে ফেসবুক অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাদের স্কুল সম্পর্কে জানতে পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুজন প্রফেসর আপনাদের স্কুল ভ্রমণ করতে এসেছে এটা জেনে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনাদের স্কুলটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ফুলের বাগান থাকার কারণে সেটা আরো বেশি সুন্দর দেখায় আর প্রফেসর দুজন এসে প্রশংসায় ভাসিয়েছে আপনাদেরকে যেটা আরও বেশি প্রশংসনীয় আপনাদের সকল শিক্ষকের জন্য। ভবিষ্যতে আপনাদের স্কুল অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়, শুভকামনা রইল আপনাদের সকল শিক্ষকদের জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন এই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে যেকোনো জিনিস এখন খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।

 2 years ago 

আপনাদের স্কুল টা বেশ উন্নত হচ্ছে দিনদিন যেটা সত্যি অনেক ভালো একটি বিষয়।অনেক সম্মানিত একজন ব্যক্তি আপনাদের স্কুল ভিজিট করতে এসেছেন।এভাবে আপনাদের স্কুল এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা করি।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত স্কুলটাকে আরও উন্নত করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62311.78
ETH 2418.00
USDT 1.00
SBD 2.67