শেখ রাসেলের জন্মদিন ২০২২ উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা শেষ পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার , অক্টোবর ১৯/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে গতকালকে আমরা আমাদের স্কুলে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। সেই বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব গতকালকেই শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। এই পর্বে আমি মূলত আপনাদের মাঝে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের অংকন করা কয়েকটি চিত্র প্রদর্শন করবো। আশা করি তাদের অংকন করা চিত্রগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক...
এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটা ছোট্ট শিশু অনেকগুলো চিত্র অঙ্কন করেছে। চিত্রের ছেলেটির নাম আল আরাফ সে প্লে শ্রেণীর ছাত্র। সে ঘর পতাকা সূর্য সহ অনেকগুলো চিত্র অংকন করার চেষ্টা করেছে। তার অংকন করা এই চিত্রটি দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি, কেননা তার বয়সের তুলনায় চিত্র অঙ্কন করার ক্ষমতা দারুন।
এ পর্যায়ে আপনারা যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা অংকন করেছে আমাদের স্কুলের প্রি-ওয়ান শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ফাহিম। সে একই সাথে অনেকগুলো জিনিস অংকন করার চেষ্টা করেছে।
এ পর্যায়ে আপনারা যে চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা অংকন করেছে আমাদের স্কুলের প্রি-ওয়ান শ্রেণীর ছাত্রী শোভা মনি।
এই চিত্রটি অঙ্কন করেছে আমাদের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রিফাত হোসেন। সে একটা প্রাকৃতিক দৃশ্য অঙ্কন করার চেষ্টা করেছে।
এই চিত্রটি অংকন করেছে আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফাবিয়া মনি। সে সুন্দর একটা প্রাকৃতিক দৃশ্য অঙ্কন করেছে। এত ছোট বয়সে এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য অঙ্কন করা যায় এটা সত্যিই ভাবা যায় না।
দেখতে পাচ্ছেন একটা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অঙ্কন করা হয়েছে। চিত্রটি অংকন করেছে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা খাতুন।
আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি স্কুল এবং একটা জাতীয় পতাকা অংকন করা হয়েছে। এটি অংকন করেছে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রাফিয়া খাতুন।
এই চিত্রটিতে আপনারা একটা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দেখতে পাচ্ছেন। এটি অংকন করেছে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সায়েম আহমেদ।
আমরা সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি। চিত্রটি অংকন করেছে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রুবাইয়া খাতুন।
আমরা একটা জাতীয় পতাকা এবং একটা বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চিত্র দেখতে পাচ্ছি। অংকন করেছে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আল আহনাফ সাহিল।
এই চিত্রটিতে আপনারা একটা প্রাকৃতিক দৃশ্যের চিত্র দেখতে পাচ্ছেন। এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটি অংকন করেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী কাইফা মনি।
সবশেষে আপনারা আরও একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটি অঙ্কন করেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী জারিন তাসনিম জুই।
আপনাদের মাঝে আমি আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংকন করা বেশ কিছু চিত্র শেয়ার করলাম। কার অংকন করা চিত্রটি আপনাদের কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মতো এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জারিন তাসনিম জুই আপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য চিত্রাংকনটি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে ।উনি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়েও এত সুন্দর চিত্রাংকন করতে পারেন ওয়াও বেশ দারুন। শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিযোগিতাটা বেশ দারুন ভাবেই করেছিলেন। প্রত্যেকটি ছেলে মেয়েই নিজের জায়গা থেকে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে , প্রতিযোগিতার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এই প্রতিযোগিতায় জুঁই প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
আপনার স্কুলের বাচ্চারা তো বেশ চমৎকার ড্রয়িং করেছে প্রতিযোগিতায়, সকলের আর্ট ভালো লেগেছে আমার কাছে তবে বাচ্চাদের মধ্যে ফাহিম, রিফাত এই বাচ্চা দুটোকে অনেক কিউট লাগছে। সেইসাথে জুই আপু বেশ চমৎকার ড্রয়িং করেছে খুবই ভালো লাগলো আপনার স্কুলের বাচ্চাদের ড্রইং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
আপনি যে ছবিগুলো পছন্দ করেছেন তাদেরকেই আমি বিজয়ী বলে ঘোষণা করে দিয়েছি।
কাইফা সবসময়ই ভালো চিত্র অঙ্কন করে ,পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী হিসেবে সকল বিষয়ে তার মেধা রয়েছে অনেক ভালো।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর শিক্ষকরাই হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আপনাদের স্কুলের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা খুবই চমৎকার হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দোয়া করবেন ভাইয়া যেন আরো ভালো কিছু করতে পারি
দারুন ব্যাপার তো। বাচ্চারা নিজেদের কল্পনাকে ড্রয়িং শিটে বাস্তবায়িত করে।সবাই নিজের কল্পনাকে খুব সুন্দর ভাবে জায়গা দিয়েছে ড্রয়িং পেপারে, তবে কাইফার ড্রয়িং সত্যিই বড়দের মত। ওর গার্ডিয়ান কে বলবেন যেন ওর ড্রয়িংটা কন্টিনিউ রাখে। না ছাড়ায়।
ওদের কল্পনা শক্তির ধারণা নেবার জন্যই মূলত এই ধরনের আয়োজন করা।