ট্রন জমানো ও ভোটপ্রদানের দশম সপ্তাহ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , মে ৩০/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি আমি যেদিনই আপনাদের মাঝে ট্রন এর পোস্ট শেয়ার করি সেদিন যেন গরমের পরিমাণটা একটু বেশি থাকে। গত সপ্তাহেতেও যেদিন আমি এই পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম সেদিনও গরমের পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল। আবার আজকে যখন আপনাদের মাঝে এই পোস্ট শেয়ার করছি তখনও গরমের পরিমাণটা অনেক বেশি। আর গরমের সাথে নিবিড় ভাবে সম্পর্কিত হয়ে রয়েছে যেন লোডশেডিং। দিনের বেশিরভাগ সময়ে আমাদের এলাকাতে এখন লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবন যাপন যেন অসহায় হয়ে পড়েছে এই গরম এবং লোডশেডিং এর কারণে। স্কুল থেকে ছুটির পরে গিয়েছিলাম জেলা শহরে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজ আনতে। কিন্তু সেখান থেকে যখন কাগজ না পেয়ে বাড়িতে আসলাম প্রচুর পরিমাণে ক্লান্ত ছিলাম। বাড়িতে যখন আসি তখন কারেন্ট ছিল কিন্তু আসার পরে যখনই ঘুমালাম তখনই হয়তো বা কারেন্ট চলে গিয়েছিল। ঘুম যখন ভাঙলো তখন নিজের অবস্থা দেখে নিজের কাছেই খারাপ লাগলো। এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে কিভাবে যে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম সেটাই আমি ভাবছিলাম। হয়তোবা প্রচুর পরিমাণে ক্লান্ত থাকার ফলেই এই গরমের মধ্যেও আমি ঘুমাতে পেরেছি কিছু সময়ের জন্য। আজকে যেমন পরিশ্রম হয়েছে এই ধরনের পরিশ্রম খুব কমই হয়ে থাকে।
এবারের সজাগ আজকের পোস্টের প্রসঙ্গে। আমি প্রত্যেক সপ্তাহ থেকে চেষ্টা করি কিছু পরিমাণে ট্রন জমিয়ে রাখার জন্য। যদিও এটার দাম বর্তমান সময়ে অনেক কম তারপরও আমি ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় নিয়ে এটাকে জমাতে শুরু করে দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে কোন একটা সময় এটা খুবই ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে যাবে। ভবিষ্যতের সেই দিনটা সুন্দর করার জন্যই মূলত এই উদ্যোক্তা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন কয়েন দেখেছি যেগুলোর দাম প্রথমের দিকে অনেক কম ছিল কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সাথে সাথে সেটার দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। প্রথমের দিকে যারা ঐ কয়েন গুলো জমিয়ে রেখেছিল ভবিষ্যতে তারাই লাভবান হয়েছে। এই জন্যই মূলত আমি এই উদ্যোগটা গ্রহণ করেছি।
ট্রন ডিপোজিট করার পূর্বে আমার ওয়ালেটের ব্যালান্স
ডিপোজিট করার পূর্বে আমার একাউন্টে ছিল ৯০ ট্রন ।
ট্রন ডিপোজিট সম্পন্ন হলো
ট্রন ডিপোজিটের পরে আমার ওয়ালেটের ব্যালান্স
এই সপ্তাহের ১০ ট্রন ডিপোজিট করার পরে আমার একাউন্টে হল ১০০ ট্রন।
ট্রন স্টেকিং সম্পন্ন করলাম
তারপরে আমি সেই ট্রন গুলোকে এনার্জিতে স্টেকিং করে দিলাম।
ভোট প্রদানের পর
এরপরে আমি ভোট প্রদান করে দিলাম। আমার গ্রহণ করা এই উদ্যোগটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ট্রন জমানো ও ভোটপ্রদানের মাধ্যমে আপনি প্রতিনিয়ত ট্রন রিওয়ার্ড হিসেবে পাবেন। অনেক দারুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আপনি। এভাবে প্রতিনিয়ত ট্রন জমানোর মাধ্যমে ভালো একটি অ্যামাউন্ট আর্ন করতে পারবেন।
এজন্যই মূলত এই ধরনের উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি।
ট্রন জমানোর দশ সপ্তাহ পার করে ফেললেন ভাইয়া। প্রতি সপ্তাহে আপনি কিছু না কিছু ট্রন জমিয়ে থাকেন। এভাবে প্রতিনিয়ত জমাতে থাকলে এক সময় ভালো একটিআর্ন করা যাবে।
আশা করি এটা ভবিষ্যতে আমাদেরকে খুবই লাভবান করবে।