জেনারেল রাইটিং: ঈদের খুশি বৃদ্ধি করার জন্য ঈদের আগেই পরীক্ষা শেষ করে দিচ্ছি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, জুন ২৩ /২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি মাঝে মাঝে এই আমাদের স্কুলের বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করে থাকি। আজকেও তেমন একই একটা বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গিয়েছি। আপনারা হয়তোবা অনেকেই অবগত রয়েছেন আর মাত্র কয়েকদিন পরেই চলে আসছে আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত ঈদ। আর ঈদ মানেই যে আনন্দ সেটা আমাদের সকলেরই জানা। তাই আমরা চিন্তা করেছি যে ঈদের আগেই এ মাসের পরীক্ষাটা সম্পূর্ণ করে ফেলব যেন ছাত্রছাত্রীরা আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে। এটাও চিন্তা করেছি যে ঈদের আগেই তাদের ফলাফল প্রকাশ করে দিব। অনেক সময় দেখা যায় ঈদের আগে এবং পরে পরীক্ষা থাকে তখন ছাত্র-ছাত্রীদের ঈদের আনন্দটা অনেকটাই কমে যায়। এমনটা যাতে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে না হয় সেজন্যই মূলত আমি নিজে উদ্যোগটা গ্রহণ করেছি। পূর্বে যে রুটিন ছিল সেই অনুযায়ী পরীক্ষা দিলে ছাত্রছাত্রীদের ঈদের আনন্দটা অনেকটাই কমে যেত তাই আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে রুটিন পরিবর্তন করে ঈদের আগেই তাদের পরীক্ষা শেষ করে দিয়েছি।
ছোটদের ক্লাস আমার খুব একটা বেশি নেওয়া হয় না তাই তাদের সাথে মেলামেশা আমার হতো একটু কম। তাদের সাথে আমার সম্পর্কটা আরও ভালো করার জন্যই মূলত আমি এ বছর নিজে ইচ্ছা করে প্রথম শ্রেণীর একটা ইংরেজি ক্লাস নিয়েছি। আমি ক্লাস নেবার পর থেকে তাদের মধ্যে এমনই পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে যা দেখে ওই শ্রেণীর সকল অভিভাবক অত্যন্ত খুশি। এখন তাদের ইচ্ছা এই ছাত্র-ছাত্রীগুলো যে ক্লাসেই যাবে না কেন আমাকে সেই ক্লাসেই ইংরেজি বিষয়টা পড়াতে হবে। আমাদের স্কুলের এই প্রথম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা বর্তমান সময়ে ইংরেজি রিডিং পড়াও শিখে গিয়েছে।
শুধুমাত্র যে রিডিং পড়া শিখে গিয়েছে তা কিন্তু নয়। তাদের বইয়ের যে সকল ইংরেজি শব্দ রয়েছে সবগুলোই তারা না দেখে লিখতে পারে এমনকি সেই শব্দগুলোর বাংলা অর্থ কি সেগুলোও তারা বলতে এবং লিখতে পারে। এরা যখন এত কিছু শিখে গিয়েছে তাই তাদের পরীক্ষার প্রশ্নগুলো আমি আরো কঠিন করে তুলি।
একই ওয়ার্ড আমি বাংলা অর্থ লিখতে দেই আবার বাংলা শব্দ লেখা থাকলে তার ইংরেজি লিখতে দেই। এখানেই শেষ নয় পরীক্ষাতে আমি কিছু ওয়ার্ড এলোমেলো করে লিখে দেই তাদের সাজিয়ে লেখার জন্য এবং মাঝে মাঝে ওয়ার্ড এর মাঝে ওয়ার্ড না দিয়ে শূন্যস্থান দিয়ে দেই। এত কঠিন পরীক্ষা করার পরেও আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এই শ্রেণীর বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় পুরো নাম্বার পেয়ে থাকে। আমি যে এত ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদেরকে এভাবে শিক্ষা দিতে পেরেছি এটার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই খুশি। আসলে শিক্ষা এমনই একটা জিনিস যা অন্যকে দিলে খুশি হতে হয়।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভালোই উদ্যোগ নিয়েছেন ঈদের আগে পরীক্ষা গুলো নিয়ে নিলেন ছাত্র-ছাত্রীগুলো ঈদে আনন্দ করতে পারবে। ঈদের আগে পরীক্ষা নেওয়াটাই ভালোই কাজ করলেন। এখনকার ছাত্র-ছাত্রীগুলো ছোটকাল থেকে পড়ালেখা করে। এবং গার্জিয়ান গুলো অনেক সচেতন। আমার হাজবেন্ডের মাদ্রাসা ও বন্দর আগে পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীগুলো আনন্দ করতে পারে।
তারা যেন ভালোভাবে ঈদের আনন্দ পায় সেজন্যই আগে থেকেই পরীক্ষা নিয়ে নিলাম
আপনাদের স্কুলের মত আমাদের মাদ্রাসা ও এই উদ্যোগটা নিয়েছে। ঈদের আগে পরীক্ষাগুলো নিয়ে নিয়েছে। যাতে করে ছোট বাচ্চারা ঈদের সময় আনন্দ করতে পারে। আজকে আমাদের মাদ্রাসার পরীক্ষার সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আসলে ছোট মনিরা ঈদের সময় অনেক মজাই করে। যাক ছোট বাচ্চাদের ভালো রেজাল্ট কামনা করি।
এটা খুবই ভালো উদ্যোগ ভাইয়া সকলেরই আনন্দের সাথে ঈদ করতে পারাটা দরকার।
উদ্যোগটা কিন্তু ভালো হয়েছে। তবে জানিনা ছোট্ট সোনামণিরা কতটুকু ভালো পরীক্ষা দিতে পারছে। দোয়া করব ওদের জন্য যেন ভালো রেজাল্ট করে এবং ভবিষ্যতে ওরা যেন ভালো কিছু শিখতে পারে।
আমার শ্রেণি ছাত্র-ছাত্রীরা ভালই শিখতে শুরু করে দিয়েছে
আসলে ঈদের আগে বাচ্চারা যদি পরীক্ষা শেষ করতে পারে তাহলে তাদের উপরে লেখাপড়ার চাপটা অনেকটাই কমে যায়। তাই তারা ঈদ উপলক্ষে প্রাণ ভরে আনন্দ উল্লাস করতে পারে। আর ঈদের আগে পরীক্ষা সম্পন্ন করার আইডিয়াটা নিঃসন্দেহে আপনাদের চমৎকার একটি আইডিয়া ছিল। আপনাদের এত সুন্দর কার্যকলাপের কারণে আপনাদের স্কুলের বাচ্চারা নিঃসন্দেহে লেখাপড়ার চাপমুক্ত থেকে ঈদের দিন অনেক আনন্দ করতে পারবে।
ঈদের মধ্যে তাদের লেখাপড়ার চাপ কমিয়ে দেবার জন্যই আগে থেকেই পরীক্ষা নিয়ে নিলাম।
বাহ্ ভাইয়া বেশ ভালো কাজ করেছেন ঈদের আগে বাচ্চাদের পরীক্ষা নিয়ে ফেলেছেন। ঈদের পর যদি কোনো পরীক্ষা থাকে তাহলে খুব টেনশন হয় ঠিক ভাবে সব কিছু উপভোগ করা যায় না।আসলে বাচ্চাদের ভালোবেসে শিক্ষা দিলে তারা আগ্রহ পায়। কিছু কিছু শিক্ষক আছে খুবই গরম দেখায় আর মারধর করে তাদের বাচ্চারা সামনে ভয়ে সম্মান করলে ও মন থেকে করেনা। আপনার ক্লাসের বাচ্চাদের এত উন্নতি হয়েছে আপনি তাদেরকে ভালোবেসে পড়ান তাই। পুরো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
তারা যেন টেনশনে না থেকে ভালোভাবে ঈদ করতে পারে তাই আগে থেকেই পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছি