আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার , অক্টোবর ১৯/২০২৩

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বিগত সময়ে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের গ্রামের ফুটবল খেলা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। সেই পোস্টগুলোর মধ্যে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে আমাদের গ্রামের ফুটবল দল খুবই ভালো ফুটবল খেলা করে। যেহেতু আমাদের গ্রামের ফুটবল দল খুবই ভালো ফুটবল খেলে তাই আমাদের গ্রামের আশেপাশের সকল এলাকাতেই আমাদের ফুটবল দলের আলাদা একটা সুনাম রয়েছে। আর এ কারণেই আমাদের গ্রামের ফুটবল দল আশেপাশে অনুষ্ঠিত হওয়া যে কোন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি প্রত্যেকবারই আমাদের গ্রামের ফুটবল দল সেই টুর্নামেন্ট গুলোতে খুবই ভালো ফলাফল করে।

তেমনি একটা টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেল জোরপুকুরিয়া ফুটবল মাঠে। জোড়পুকুরিয়ার এই ফুটবল মাঠ দেখতে কতটা সুন্দর তা অবশ্যই আপনারা উপরের ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পারছেন। বলা ভুল হবে না যে এটা আমাদের আশেপাশে এলাকার মধ্যে সবথেকে সুন্দর একটা খেলার মাঠ। এই খেলার মাঠ টি দেখতে যেন অনেকটাই স্টেডিয়ামের মত। এই খেলার মাঠের যে জিনিসটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে এই মাঠের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। খুবই চমৎকারভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় এই খেলার মাঠটি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের গ্রামের যে খেলার কথাটা শেয়ার করছি সেটা ছিল প্রথম রাউন্ডের খেলা। এই মাঠে ৩২ টি ফুটবল দল নিয়ে একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে আর সেই টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচ ছিল আমাদের গ্রামের। পঞ্চম ম্যাচের এই দুটি দলই খুবই ভালো ফুটবল খেলা আমাদেরকে উপহার দিয়েছিল।

দুটি দলই ভালো খেলা উপহার দিলেও কোন দল গোল করতে পেরেছিল না। যেহেতু এটা একটা নকআউট খেলা তাই যেকোনো ভাবেই খেলার ফলাফল নির্ধারণ করতে হবে। আর এই ফলাফল নির্ধারণ করার জন্যই খেলাটি পেনাল্টি কিক এ পৌঁছে গিয়েছিল।

আমাদের গ্রামের ফুটবল দলের গোলকিপার খুবই ভালো। যার কারনে পেনাল্টি হলেই আমরা যেন কিছুটা আশাবাদী থাকি যে আমরা জয়লাভ করতে পারব। আমাদের সেই বিশ্বাসের প্রমাণ এবারও আমাদের সেই গোলকিপার দিয়ে দিল। আর আমাদের সেই গোলকিপারের কারণেই প্রথম রাউন্ডের এই ম্যাচে আমরা জয়লাভ করতে পারলাম।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}