মনে পড়ে যায় পুরনো দিনের সেই স্মৃতি গুলো||১০% @shy-fox🦊
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, মে ১৩ /২০২২
এই ধরনের স্মৃতি গুলো ভুলে যাবার মত নয়। যখন আমরা ছোট ছিলাম এই ভাবেই হয়তোবা দাঁড়িয়ে থাকতাম স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে। হয়তোবা শিক্ষকের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জাতীয় সংগীতের বদলে অন্য গান গাইতাম। এই ধরনের দৃশ্য গুলো দেখলে এখন মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলার সোনালী দিনের কথাগুলো। কতইনা ভাল ছিলো সেই দিনগুলো।
উপরের ছবিতে আপনারা যে দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছেন এটি আমার স্কুলের একটি অ্যাসেম্বলির দৃশ্য। এখন আমি আর আগের মতো সবার সাথে লাইনে দাড়াতে পারি না এখন দাড়াই তাদের সামনে। কারন আমি আর এখন ছাত্র নেই আমি হয়ে গেছি এখন তাদের শিক্ষক। যখন আমি লাইন এর সামনে দাঁড়ায় তখন খুবই মনে পড়ে সেই পুরোনো দিনের কথা গুলো আর মনে হয় আবার যদি ফিরে পেতাম সেই ছোটবেলার দিনগুলো তাহলে হয়তবা এই ভাবেই দাঁড়াতাম অ্যাসেম্বলিতে।
প্রত্যেকটি মানুষ তার ছোটবেলাকে অনেক মিস করে কেননা ছোটবেলায় এমন কিছু মধুর স্মৃতি থাকে যা মনে করার মত। বড় হয়ে যাবার সাথে সাথে ছোটবেলার প্রত্যেকটি স্মৃতি হয়ে যায় স্মরণীয়। আর আমি মনে করি প্রত্যেকটি মানুষই চাই আবার তাদের পুরনো জীবনে ফিরে যেতে কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে সময় একবার চলে যায় সেই সময় আর কোনভাবেই ফিরে পাওয়া যায় না।
তাই আমি এখন অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই। মাঝে মাঝে আমি দাঁড়িয়ে পড়ি আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের লাইনে। যদিও তাদের থেকে আমাকে অনেকটাই ভিন্ন লাগে তারপরও মনের প্রশান্তির জন্য আমি সেই ভিন্নতাকে কোন পাত্তাই দিই না।
আমাদের উপজেলাতে অনেকগুলো স্কুল রয়েছে। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি সকল স্কুলের থেকে আমাদের স্কুল কে একটু আলাদাভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে। এইজন্য অন্যান্য স্কুল যে সকল নিয়ম কানুন অনুসরণ করে আমরা একটু তার ব্যতিক্রম নিয়ম কানুন অনুসরণ করে থাকি।অ্যাসেম্বলিতে আমরা প্রত্যেক দিন বাচ্চাদের একটি করে ইংরেজি শব্দ শেখায় যেন তারা এই শব্দগুলো আনন্দের সাথে শিখতে পারে। সকলকে একসাথে এই ধরনের শব্দ শেখানোর উদ্দেশ্য একটাই যেন তারা বুঝতে পারে আমরা সবাই সমান।
আমার কাছে এই দৃশ্যটি আরো ভালো লাগে যখন সবাই অ্যাসেম্বলি শেষে লাইন দিয়ে নিজ নিজ ক্লাসের দিকে চলে যাই।আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই ভাবে লাইন দিয়ে ক্লাসরুমে যাবার সময় অনেক দুষ্টুমি করতাম। এখন বড় হয়ে গিয়েছি তাই কোনভাবেই সম্ভব না ছোটবেলার সেই কাজগুলো পুনরায় করার কিন্তু আমি মাঝে মাঝেই চেষ্টা করি ছোট বাচ্চা দের মত করে ওদের সাথে মিশে যেতে। ব্যাপারগুলো সবাই কেমন চোখে দেখে তা আমি জানিনা কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার গুলো খুবই ভালো লাগে।
অ্যাসেম্বলির ধরনের স্মৃতি গুলো আপনারা প্রত্যেকে কেমন ভাবে চিন্তা করেন তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আগ্রহ ভরা মন নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম আপনাদের ছোট বেলার সৃতি জানার জন্য।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
আসলেই ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন এই সব স্মৃতি গুলো আসলেই ভুলার নয়। যখন ছোট ছিলাম এভাবে এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে থাকতাম খুবই ভালো লাগতো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া যখনই এই ধরনের জিনিস চোখের সামনে আসে আমরা থমকে দাঁড়িয়ে যায় আর মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলার হারানো স্মৃতি গুলো।
ছোটবেলা থেকে শুরু করে মানে প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে হাই স্কুল পর্যন্ত এই দৃশ্যটি চোখে ভাসছে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে। ধন্যবাদ আপনাকে ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
মূলত প্রাইমারি স্কুল থেকে হাই স্কুল পর্যন্ত এই দৃশ্যগুলো আমাদের চোখের ভাসে কেননা এই সময়টি ছিল আমাদের জীবনের স্বর্ণযুগ।
ঠিক বলেছেন ভাই সেই মুহূর্তগুলো কোনভাবেই চোখের আড়াল বা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায় না ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন ছোটবেলার স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে। পিটি করার সময় অনেক দুষ্টামি করতাম, দাঁড়ালে বসে পড়তাম, বসলে দাঁড়িয়ে পড়তাম। তবে আপনার স্কুলের পরিবেশ টা খুবই সুন্দর এবং নির্জন নিরিবিলি জায়গায়। দেখতে বেশ দারুন লাগছিল, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া এই স্মৃতি গুলো ভুলে থাকার মত নয়। আমাদের স্কুল টা একটু নির্জন এবং নিরিবিলি জায়গা তে হবার কারণে ছাত্রছাত্রীরা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে লেখাপড়া করে।
আহা! আপনার পোস্ট পড়ে পুরানো সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় শুধু ঠোঁট মিলাতাম, শপথ গ্রহণের সময় বন্ধুদের কাঁধে হাত তুলে দিতাম আরো নানান ধরনের কত দুষ্টুমি করতাম।
অ্যাসেম্বলিতে বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি শব্দ শেখানোর বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে আমরা সবসময় চেষ্টা করি অন্য সকল স্কুল থেকে আমাদের স্কুল কে একটু আলাদাভাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে। মূলত সেই কারণেই আমরা আমাদের স্কুলে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিন্তাধারা কাজে লাগিয়ে শিক্ষাদানের চেষ্টা করে চলেছি।
ভাই আপনার আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি ছোটবেলার অনেক দুষ্টুমির কথা মনে করিয়ে দিলেন। আসলে আমরাও ছোটবেলায় এরকম অ্যাসেম্বলিতে দিতে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ করতাম, জাতীয় সংগীত গাইতাম এছাড়াও আরো কত দুষ্টামি করতাম। তবে আপনাদের এখানে প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি শব্দ সেখানে বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
প্রত্যেকদিন একটি করে ইংরেজি শব্দ শেখানোর কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিনিয়ত আমাদের ছাত্র ছাত্রী গুলোর মধ্যে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিদ্যালয় পড়াকালীন এই দৃশ্যের কথা মনে পড়ে আসলে স্কুল টাইমে স্কুলে গিয়ে এরকম লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গানটা গাইতে আবার মনে পড়ে গেল স্মৃতিচারণ করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার এখন পর্যন্ত ইচ্ছা হয় যদি আবার ফিরে পেতাম সেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো তাহলে কতই না ভালো হতো
ঠিকই বলেছেন ভাই আসলেই সে ছোটবেলায় আর ফিরে যাওয়া সম্ভব না। আমি আপনার ছবিগুলো দেখে নিজেকে অনুভব করতে পারতেছিলাম। কারণ সেই ছোটবেলায় আমি সামনে দাঁড়িয়ে শপথ করতাম। সে দিনগুলোর কথা মনে হলে অনেক ভালো লাগে। খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার উপস্থাপনাটি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি শৈশবের স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শৈশবের সময়টা সত্যিই আমাদের অনেক মধুর ছিল ভাইয়া কতই না মজা করতাম এই সকল কাজের মধ্য দিয়ে।
সত্যি বলতে ভাইয়া আপনার প্রথম ছবিটা দেখেই আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। প্রথম ছবিটা দেখে শুধুমাত্র আমার নাম সকলেরই ছোটবেলার সেই জাতীয় সংগীত গাওয়ার মুহূর্তটা মনে পড়ে যাবে। কতইনা ভাল ছিলো সেই দিনগুলো কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সকলের কে অতীতের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আসলে আমাদের অতীত গুলো ছিল অনেক মধুর তাই আমরা কোনভাবেই সেই অতীত গুলো কে ভুলতে পারিনা।
সত্যি ভাই স্মৃতি গুলো খুবই মধুর ছিল। ছোটবেলার এই নিষ্পাপ মন সব সময় দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি করার স্মৃতি গুলো সত্যি খুবই মনে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলায় আমরা সবসময় দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি করতাম মনের মধ্যে একটি অন্যরকম অনুভূতি কাজ করত আমাদের।
অবশ্যই স্কুল লাইফের স্মৃতি গুলো কে স্মরণ করলে মনের ভিতরটা এমনটাই হয়ে যায়। বেদনার সুর চলতে থাকে, ঠিক যেন কলের গানে যেভাবে গান হত আগে। সেইভাবে বেদনাগুলো ঘুরতে থাকে মনের মধ্যে।
শুধুমাত্র কলেরগান বললে হবে না এটা কি এটা আমাদের প্রাণের সঙ্গীত যা আমাদের রক্তের সাথে মিশে আছে। ব্যাপারটাকে অনেক মিস করি আমি।