পুরো এলাকায় যেন লাল রঙে আবৃত হয়ে গিয়েছে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার , ফেব্রুয়ারি ৯/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে জিনিসটা শেয়ার করতে চলেছি হয়তোবা এই জিনিসটা আপনার অনেকেই চেনেন কিন্তু আমি যেভাবে আপনাদেরকে দেখাতে চাচ্ছি সেভাবে দেখার সুযোগ হয়নি। আমাদের সকলের অতি পরিচিত একটা শাকের নাম হচ্ছে লাল শাক। আমরা বেশিরভাগ সময়ই এটা বাজার থেকে কিনে এনে রান্না করে খেয়ে ফেলি কিন্তু এই লাল শাকের বীজ কোথা থেকে আসে তা কি আপনারা জানেন? আমি কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম এমনই একটা জায়গায় যেখানে দেখতে পেলাম সেখানে বড় একটা জায়গা জুড়ে লাল শাকের বীজ তৈরি করার কার্যক্রম চলছে।
আসলে আমি ওই দিক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মাঠের দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেলাম পুরো মাঠ যেন লাল হয়ে গিয়েছে। দেখা মাত্রই আমি মোটরসাইকেল থামিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লাম আর চিন্তা করতে লাগলাম আসলে জিনিসটা কি? এই চিন্তাটাকেই মাথায় নিয়ে আমি চলে গেলাম সেটা কি দেখার জন্য। এখানে যাবার পরে দেখতে পেলাম বড় বড় আকৃতির লাল শাকের গাছ। এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম এগুলো শুধুমাত্র বীজ তৈরি করার জন্যই করা হয়েছে।
সেগুলো আকৃতিতে কতটা বড় বড় হয়েছে সেটা আপনারা ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমরা সাধারণত সব সময় সবুজ রঙের ফসল দেখে থাকে কিন্তু এ ধরনের লাল রঙের ফসল একই সাথে এত বড় জায়গা জুড়ে দেখা সৌভাগ্য আমাদের হয় না। আমার কাছে মনে হয় যে জীবনে আমার এটাই প্রথম যে এত বড় জায়গা নিয়ে লাল শাকের জমি দেখতে পেলাম।
পুরো বিষয়টা ভালোভাবে অনুসন্ধান করার পরে জানতে পারলাম যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর উদ্যোগেই মূলত এখানের লাল শাক এর বীজ তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো হাইব্রিড প্রজাতির লাল শাকের বীজ। এখানে প্রায় ১২ বিঘা জমি নিয়ে লাল শাকের বীজ তৈরি করা হচ্ছে। আর এই বীজগুলো তৈরি করা হয়ে যাবার পরে পুরো বাংলাদেশের বীজ ভান্ডার গুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বিষয়টি জানার পরেও নিজের মনের মধ্যে একটা অন্য রকমের ভালো লাগা কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল আমাদের এলাকা থেকে তৈরি কৃত লাল শাকের বীজ পুরো বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে এটা সত্যিই আমাদের জন্য একটা গর্বের বিষয়।
এই জায়গাটিতে আমরা আরো অনেক কিছু দেখেছিলাম পর্যায়ক্রমে আপনাদের মাঝে সবগুলো শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শীতকাল আমার খুব পছন্দের। কারণ শীতকালে নানা রকমের শাক এবং সবজি উৎপাদন করা হয় । আমিও এবারে লাল শাক উৎপাদন করেছি যা কিছুদিনের মধ্যে পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারবো। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে লাল লাশের চাষাবাদ দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে শাক নিয়ে হৃদয়ের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । এত চমৎকার বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।
আসলেই ভাইয়া জিনিসটা দেখে সবারই ভালো লাগবে
১২ বিঘা জমিতে লাল শাক চাষ করেছে এটি শুনে আমি তো রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। আমি কখনো এত বড় চাষের জমি দেখি নাই। লাল শাকের যেন সমুদ্র। আপনি তো দেখে লাল শাকের সমুদ্রে ডুবে আছেন। আগামী শীতের মৌসুমী আপনাদের এলাকায় যেতে হবে দেখতেছি।
কি আর বলবো ভাইয়া বিষয়টা সত্যিই অবাক করার মত
সত্যি বলতে মামা লাল শাকের বীজ তৈরির উপকরণ আমি আগে জানতাম কিন্তু এত ভালোভাবে জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে গেল। আপনার পোস্টের মধ্যে এক জায়গায় লেখা আছে প্রায় ১২ বিঘা জমি নিয়ে লাল শাকের বীজ তৈরি করা হচ্ছে। আমি এই প্রথমবার শুনলাম যে আমাদের এলাকায় এত বড় জমিতে লাল শাকের বীজ তৈরি করা হয়। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমাদের এলাকাতে যে এইভাবে লাল শাকের বীজ তৈরি করা হয় বিষয়টা জানাই ছিল না।
এত বড় ১২ বিঘা জমিতে লাল শাক চাষ করেছে। এটা তো শুনে আমি একেবারে অবাকই হলাম। এরকম ভাবে বীজ নেওয়ার জন্য চাষ করা লাল শাক আগে কখনো দেখিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে একটু বেশি ভালো লাগলো আর কি। পুরো মাঠ লাল রঙে রঙিত হয়ে গিয়েছে। দেখতে বেশ অন্যরকম লাগছে এই জিনিসটি। এরকম বড় ক্ষেত আগে কখনো দেখা হয়নি। আমাদের এদিকে তো এরকম জায়গায় একেবারে দেখাই যায় না। বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের শস্য চাষ করা হয়। যেখানে মানুষ ঘুরতেও যায়। ভালোই লাগলো এরকম একটি বিষয় দেখে।
আমিও এবার প্রথম এত বড় লাল শাকের চাষ দেখতে পেলাম।