এ যেন ফুলের সমারোহ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , জানুয়ারি ২৭/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে স্কুলে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আপনাদের মনে হতে পারে শুক্রবারে আবার স্কুল কি? আসলে আজকে আমাদের স্কুলে একটা মিটিং ছিল যার কারণে আমরা সকলেই স্কুলে উপস্থিত হয়েছিলাম। যখন স্কুলে যাবার জন্য বের হলাম তখন আমার অর্ধাঙ্গিনী অর্থাৎ আপনাদের ভাবি আমাকে বলল যে স্কুল থেকে কয়েকটা ফুল নিয়ে আসার জন্য। আপনারা হয়তোবা সেই কাজগুলো দেখেছেন এবং সেই গাছের ফুল গুলো আপনারা আমার পোষ্টের মাধ্যমে পূর্বে দেখেছেন। এখন মেয়েরা ফুল পছন্দ করে এটা তো স্বাভাবিক। তাই আমি চিন্তা করলাম স্কুলের প্রত্যেকটি গাছ থেকে একটি করে ফুল নিয়ে যাই। অর্থাৎ আমি সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ফুল নিয়ে আসার জন্য। চলুন আপনাদেরকে দেখাই আমি কি কি ফুল নিয়ে এসেছি।
প্রথমে আপনারা যে ফুলের ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা গাঁদা ফুল। আমি মনে করি এই ফুলটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত কেননা এটা আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। এটা মূলত একটা রক্ত গাঁদা।
এরপরের ছবিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম আমার জানা নাই। বিভিন্ন রঙের এই ফুল গাছ আমাদের স্কুলে লাগানো হয়েছে। যদি আপনারা ফুলটির নাম জেনে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
এ পর্যায়ে আপনারা যে ফুলটিকে দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম ডান্থাস। এটাও বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এবং অনেক সুন্দর। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি ছোট ফুল গুলোর মধ্যেই সব থেকে বেশি সুন্দর্য লুকিয়ে থাকে।
এ পর্যায়ে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম এস্টার। বিভিন্ন রঙের এস্টার ফুল গাছ এবছর আমাদের স্কুলে লাগানো হয়েছে।
এই ছবিতে আপনারা যে ফুলটিকে দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম হচ্ছে ক্যালেন্ডুলা। ক্যালেন্ডুলা ফুল গাছগুলো দেখতে অনেকটা পালং শাক এর গাছের মতো হয়ে থাকে। কিন্তু এই ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর।
এ পর্যায়ে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম হচ্ছে কসমস। আমাদের প্রত্যেকের অতি পরিচিত একটি ফুল এটি। বর্তমানে আমাদের স্কুলে তিনটি রংয়ের কসমস ফুল গাছ রয়েছে।
এই ছবিটিতে আপনারা যে তিনটি ফুল দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোর নাম চন্দ্রমল্লিকা। আসলে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের সৌন্দর্য যেন মানুষকে খুব সহজেই মুগ্ধ করে দেয়।
এ পর্যায়ে আপনারা যে ফুলটিকে দেখতে পাচ্ছেন সেটির নাম হচ্ছে ইনকা। যদিও এটা গাঁদা ফুলের ফুলের একটি প্রজাতি। আসলে দেশীয় গাঁদা ফুলগুলো আকৃতিতে একটু ছোট হয়। কিন্তু এই ধরনের ইনকাগুলো আকৃতিতে অনেক বড় হয়ে থাকে।
তাহলে বুঝুন একজনকে যদি একই সাথে এত বেশি ফুল উপহার দেওয়া যায় তাহলে সে কতটা খুশি হয়। আসলে কোন সময় এভাবে তাকে ফুল এনে দেয়া হয়নি। ফুল পাওয়ার পরে তার চোখেমুখে যেয়ে খুশি দেখতে পেয়েছি তা সত্যি ভালো লাগার মত। ভাইয়ারদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা যারা আছেন তারা চেষ্টা করবেন ভাবিদের কে মাঝে মাঝে এভাবে দু একটা ফুল এনে দিতে। দেখবেন তারা অনেক খুশি হবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখেই বুঝতে পেরেছি এ যেন ফুলের সমরহ। আসলে শীতকাল আসলে চারদিকে ফুলে ছড়াছড়ি, যেদিকে তাকাই শুধু ফুল আর ফুল। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, উনি খুবই চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। এত সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ফুল ভালোবাসা নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না ।আজ আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে ।আপনার স্কুলে বেশ কিছু দারুন দারুন ফুল লাগানো হয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি।
আপনারা স্কুলে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো।সাথে কিছু ফলের গাছ লাগালেও বেশ ভাল হতো। তাতে ছাত্র-ছাত্রীরা গাছ সম্পর্কে জানতে পারত। আপনার তোলা ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
বাহ এতো দেখি অনেক রকম এর ফুল। ফুল শুধু মেয়েরা না ভাই সবাই কম বেশি ভালোবাসে। ফুল হচ্ছে ভালোবাসার প্রতিক। আমার কাছে ফুল খুবই ভালো লাগে। এতো রকম এর ফুল পেয়ে ভাবি নিশ্চই অনেক খুশি হয়েছেন।
ভাবির জন্য চমৎকার সব ফুল নিয়ে এসেছেন ৷ আপনার স্কুলে এমন সুন্দর সুন্দর ফুল আছে দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলেই মেয়েরা একটু বেশিই ফুল পছন্দ , তবে ছেলেরাও কিন্তু ৷ যাই হোক অসম্ভব সুন্দর এই ফুল গুলো পেয়ে নিশ্চয়ই ভাবি অনেক খুশি হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
ভাবির জন্য সুন্দর ফুল গুলো নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার স্কুলের ফুলের বাগান এর আগে আমরা অনেকবার দেখেছি। আপনার স্কুলের ফুলের বাগান একেবারে ফুলে ফুলে ভরে আছে। সেখান থেকে দারুন ফুলগুলো ভাবির জন্য নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে মেয়েরা ফুল অনেক পছন্দ করে।
খুব সুন্দর একটি আপনাকে আবদার করলো প্রতিটি গাছ থেকে একটা একটা করে ফুল আনার জন্য। আপনিও সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটি কাছ থেকে বেশ সুন্দর করে ফুল নিয়ে এসেছেন ভাবির জন্য।বিশেষ করে ফুল আমার চুলের খোপায় দিতে অনেক ভালো লাগে।তবে আপনার ফুলের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুলের নাম গুলো জেনে নিশ্চিত হয়েছি।প্রত্যেকটি ফুল অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্য।