নবীন বরণ অনুষ্ঠান
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , জানুয়ারি ২০/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা হয়তোবা জানেন আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে আমাদের স্কুলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কার্যক্রম গুলো শেয়ার করে থাকে। যদিও আমাদের স্কুলটি ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারপরও করোনা কালীন সময়ের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। যার কারনে এটাই আমাদের দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষ। প্রথম বছরে আমরা খুব একটা বেশি ছাত্রছাত্রী পেয়েছিলাম না। কিন্তু এ বছরে আমরা বেশ কিছু নতুন ছাত্র-ছাত্রী পেয়েছি। তাই আমরা সকল শিক্ষক এবং উপদেষ্টা মহলের সদস্যরা একত্রিতভাবে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমাদের স্কুলে একটা নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। যেন এই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
আমাদের স্কুলের নিয়ম অনুসারে প্রত্যেকদিন প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুল ড্রেস পরিধান করে আসতে হয়। যেহেতু নবীন বরণ অনুষ্ঠান তাই আমি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম যে নবীন বরণের দিনে যেন সবাই নিজেদের ইচ্ছামত ড্রেস পরিধান করে আসে। আমার এই কথাটি শোনার সাথে সাথে তো ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি হয়ে গেল। ঠিক সে জিনিসটাই দেখতে পেলাম নবীন বরণের দিনে তারা একেক জন একেক রকমের সাজে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত হয়েছে স্কুলে।
অনুষ্ঠানের আগের দিন আমি সকল প্রবীণ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলে দিয়েছিলাম যে সকলে যেন স্কুলে ফুল নিয়ে আসে। যেমন কথা তেমনি কাজ, নবীন বরণের দিনে দেখতে পেলাম সকল ছাত্র-ছাত্রী প্রচুর পরিমাণে ফুল নিয়ে এসেছে নবীনদেরকে বরণ করার জন্য। অনুষ্ঠানের প্রথমেই প্রবীণ ছাত্রছাত্রীরা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়ালো আর নবীন ছাত্রছাত্রীরা পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে আসতে শুরু করল। ঠিক সেই মুহূর্তেই তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করা হচ্ছিল। একই সাথে নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্সে নবীন বরণের গানটি বাজানো হচ্ছিল।
নবীদেরকে শুধুমাত্র যে আমরা ফুল দিয়ে বরণ করেছি তা কিন্তু নয়, একই সাথে আমরা আমাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য মিষ্টির ব্যবস্থা করেছিলাম। আর এরই মাধ্যমেই শুরু হয়ে গেল আমাদের স্কুলের প্রথম নবীন বরণ অনুষ্ঠান।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানের বাকি বিষয়গুলো আমি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রথম বছরের তুলনায় আপনারা এ বছর অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের মেধা এবং পরিশ্রমের ফলে সেটা সম্ভব হয়েছে। আপনারা শ্রম দিয়েছেন বলেই ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি সময়ের সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। তাদের নবীন বরণ দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
নতুন স্কুলে এত বেশি ছাত্র-ছাত্রী পেয়েছি এটা সত্যিই খুশি হবার মতোই একটা ব্যাপার।
স্কুলটা যেহেতু নতুন তাই আপনাদেরকে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে যাতে ছাত্রছাত্রী এবং গার্ডিয়ানের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।এরকম নতুন নতুন এবং সুন্দর উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুলের প্রতি সবার একটি আগ্রহ বেড়ে যাবে।বাচ্চারা তো স্কুল ড্রেস ছাড়া বিভিন্ন ড্রেস পরে আসতে বললে তো অনেক খুশি হয়।অনেক সুন্দর করে ফুল দিয়ে নবীদেরকে বরণ করে নিচ্ছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা অভিভাবকদের এমনভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা তে রয়েছে যেন তারা সবাই মনে করে যেন তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য এটাই সবথেকে উপযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
নবীন বরণ অনুষ্ঠান আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। জীবনে অনেকবারই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। নবীন বরণের দিন স্কুল ড্রেস ঠিক একটা মানায় না, সবাই যখন রংবেরঙের পোশাক পড়ে আসে সেটি বেশ সুন্দর লাগে দেখতে। আপনার কথামতোই সবাই যখন তাদের ইচ্ছামত রংবেরঙের পোশাক পরে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসেছিল সেটি বেশ ভালো একটি বিষয়। তাদের সবার খুশির কারণ আপনি হয়েছিলেন। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে বরণের পাশাপাশি মিষ্টি থাকবে না তা কি করে হয়! যাইহোক নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কি কি হয়েছিল আপনার পরবর্তী ব্লগের মাধ্যমে তা জানতে পারবো সেই অপেক্ষায় রইলাম।
সেই জন্যই তো আমরা সকলকে বলেছিলাম রংবেরঙের পোশাক পরিধান করতে।
খুব ভালো করেছিলেন ভাই।
সত্যি বলতে কি বড়ই দুঃখের ব্যাপার হয়েছে এই মুহূর্তটাই আমি উপস্থিত ছিলাম না। আর এর চেয়ে বড় দুঃখের বিষয় কারেন্ট খুব জ্বালিয়েছিল অনুষ্ঠান পরিচালনা করার মুহূর্তে। নবীন বরণের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তের কোন ফটোগ্রাফি করতে পারে নাই আমি যেহেতু অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিল। এদিকে সালেহা ম্যাডাম মেসেঞ্জারে আমার কাছে বিথীর ডান্স চেয়েছে। আমি এখন বিথির ডান্স কোথায় পাবো?
আমার কাছেও চেয়েছে কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই তাকে দেইনি।
প্রায় সময় আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনার স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মুহূর্তগুলো দেখতে পারি। এগুলো দেখে আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। আপনাদের এই নতুন নতুন উদ্যোগ গুলো শিক্ষার্থীদের ওপর পজিটিভ ইফেক্ট ফেলে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মুখে খুব সুন্দর হাসি রয়েছে। ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আমি সবসময়ই চেষ্টা করি আমাদের স্কুলের ভালো বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।