স্পোর্টস : হেরে যাওয়া থেকেই শিক্ষা নিতে হবে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , জুন ২/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যেখানে আমি বলেছিলাম যে ক্রিকেট খেলার সৃজন শেষ হয়ে গিয়েছে আর ফুটবল খেলার সৃজন শুরু হয়ে গিয়েছে আমাদের গ্রামে। ঐদিন আমাদের গ্রামের ফুটবল দলের প্রথম খেলা ছিল এবং সেই খেলাতে তারা জয় লাভ করেছিল। দেখতে দেখতে এই সিজনে আমাদের গ্রামের আজকের তিন নম্বর খেলা হয়ে গেল। প্রথম দুটো খেলাতেই আমাদের গ্রামের ফুটবল দল জয়লাভ করেছিল । কিন্তু আজকের খেলাতে আমাদের গ্রামের ফুটবল দল জয়লাভ করতে পারেনি। আজকের খেলাতে জয়লাভ করতে না পারো সব থেকে বড় কারণ আমার কাছে মনে হয় প্র্যাকটিসের অভাব। আমাদের গ্রামের ছেলেদের দিকে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি তারা প্র্যাকটিসে তেমন একটা মনোযোগী নয়। শুধুমাত্র যেদিন কোন ম্যাচ থাকে সেদিনই তারা খেলার জন্য মাঠে চলে আসে।
আজকে যাদের সাথে খেলা ছিল তারা অনেক ভালো খেলেছে তার সব থেকে বড় কারণ তাদের প্যাকটিস। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম তারা প্রায় একমাস যাবত প্যাকটিস করছে এবং বিভিন্ন গ্রামে ম্যাচ খেলে বেড়াচ্ছে। খেলাধুলা এমনই একটা জিনিস যেখানে প্র্যাকটিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যারা যত বেশি পরিমাণে প্র্যাকটিস করবে তারাই তত ভালো খেলবে।
আজকে খেলার শেষে আমি এবং আরো যারা বড় রয়েছি তারা ছেলেদেরকে প্র্যাকটিসের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আজকের খেলার ফলাফল দেখে তারা নিজেরাও বুঝতে পারল যে তাদের প্রচুর পরিমাণে প্র্যাকটিস করার প্রয়োজন রয়েছে। তাদেরকে বলা হলো এখন কয়েকদিন কোন গ্রামের সাথে খেলা না দিয়ে নিজেরা একটু বেশি পরিমাণে প্র্যাকটিস করতে। যেন তারা তাদের দুর্বলতার জায়গা গুলো খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে।
আজকের খেলাতে আমাদের গ্রাম ৬-১ গোলে হেরে গিয়েছে। আর হেরে যাবার ফলেই তারা তাদের দুর্বলতার জায়গা গুলো অনুসন্ধান করতে পেরেছে। এজন্যই হেরে যাওয়াটাকে কখনোই ব্যর্থতা মনে করা ঠিক নয়। এখান থেকে এই পরবর্তী সময়ের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। আজকে যদি আমাদের গ্রামের ছেলেরা খেলাতে জিতে যেত তাহলে তারা কোনোভাবেই তাদের দুর্বলতার জায়গাটা অনুসন্ধান করতেই পারত না। এজন্য আমি মনে করি সিজন এর প্রথমেই এই ধরনের একটা হার আমাদের গ্রামের ছেলেদের জন্য খুবই দরকার ছিল। আজকে হেরে যাবার ফলেই তারা এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং পরবর্তী ম্যাচগুলো কিভাবে খেলতে হবে সেই বিষয়ে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে পারবে।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না আজকের মত এ পর্যন্তই। আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনার টাইটেল পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আসলে হেরে যাওয়া মানে সবকিছু হারিয়ে ফেলা নয়। হেরে যাওয়া থেকে অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। বাস্তবতা হলো যে কখনো হারে না সে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। হেরে গেলে নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে জানা যায় পরবর্তীতে দুর্বলতা কে শক্তিতে রূপান্তর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে যাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হেরে যাওয়াটাকে যদি ভালো চোখে দেখা যায় তাহলেই ভবিষ্যতে উন্নতি করা সম্ভব।
হেরে যাওয়া থেকে মানুষ সুন্দরভাবে শিক্ষা নিতে পারে। হেরে যাওয়া মানে এই নয় সে আর জয়লাভ করতে পারবে না। তবে সব কিছুর একটি প্র্যাকটিস থাকা দরকার। যেমন আপনাদের দলের প্র্যাকটিস নেয় বিদায় তারা ভালো খেলতে পারে নাই। দেখবেন তারা তাদের ভুলগুলো সংশোধন করলে আরো ভালো খেলবে। আসলে হেরে যাওয়া থেকে শিক্ষা নিলে খুব ভালোই হয় নিজের ভুল নিজে সংশোধন করতে পারে।
তাদের ভুলগুলো সংশোধন করার জন্যই বেশি বেশি প্র্যাকটিস করার প্রয়োজন।