লাইফস্টাইলঃ কিবরিয়াকে সাথে করে ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে খাওয়া দাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট দিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। শীতকাল আসলেই গ্রাম অঞ্চলগুলোতে ওয়াজ মাহফিল লক্ষ্য করা যায়। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি এবং 15 ফেব্রুয়ারি আমাদের গ্রামে ওয়াজ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছিল আর সেই ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করেই বড় আকৃতির মেলা বসেছিল। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি অন্যান্য বছরে ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে যত বড় মেলা আমাদের এইখানে বসে থাকে এবার তার তুলনায় অনেক ছোট মেলা বসেছে। মেলা ছোট হোক কিংবা বড় হোক সেখানে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করার মত দোকান লক্ষ্য করা যায়। যেহেতু রাতের বেলাতে এই মেলা গুলো বসে থাকে তাই রাতের বেলায় এমন খাবার খেতেও অনেক বেশি ভালো লাগে।
যেহেতু শীতকাল চলছে তাই এই সময়টাতে লোকসমাগম ও অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে এই ধরনের ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেলাগুলোতে। আজকে সন্ধ্যার দিকে আমি এবং আপনাদের সকলের প্রিয় কিবরিয়া গিয়েছিলাম মেলায় ভ্রমণ করতে। আমরা সেখানে ওয়াজ মাহফিল শোনার জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু চিন্তা করলাম যে এখানে যখন এসেছি মেলা থেকে একটু ঘুরে যাই। সেখানে যাবার পরে আমরা দেখতে পেলাম অনেক ধরনের খাবার এর দোকান বসেছে। আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করার পরে প্রথমে ভাবলাম কি দিয়ে আমাদের খাওয়া-দাওয়া শুরু করা যায় পরে আমার সিদ্ধান্ত অনুসারে চিংড়ির বড়া দিয়ে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিলাম। যেহেতু শীতকাল চলছে তাই পূর্বে তৈরি করা বড়গুলো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। এজন্য আমরা দোকানিকে বললাম আমাদের জন্য আরো গরম বড়া বানিয়ে দিতে যেন সেগুলোকে খেয়ে আমরা মজা পাই। আমাদের কথা অনুসারে দোকানদার ঠিক সেই কাজটাই করল যেটা আমরা বললাম।
এরপরেই আমরা গিয়েছিলাম চটপটির দোকানে চটপটি খাবার জন্য। চটপটি নেবার পরে আমরা সকলেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। লক্ষ্য করলাম চটপটি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে তাই সেটা খেতে ভালো লাগছেনা। ওরে আমরা সেই ঠান্ডা ছটফটি রাগে রাগে না খেয়ে দোকানদারকে ফেরত দিয়ে টাকা দিয়ে চলে আসলাম। আর এরপরেই আমরা চলে গেলাম ১২ ভাজার দোকানে। যেহেতু অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে এই জিনিস তৈরি করা হয় এবং ধনিয়া পাতার সাথে একটু বেশি করে মরিচ ব্যবহার করা হয় তাই এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। সুস্বাদু যতটা হয় তার থেকে বেশি হয় মুখরোচক। এই জিনিস খাওয়ার শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা জিলাপির দোকানে গেলাম এবং সেখান থেকে এক কেজি জিলাপি কিনে বাড়িতে চলে আসলাম।
শীতকাল আসলে কি আপনাদের এলাকাতে ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে এমন মেলার আয়োজন করা হয় । যদি হয়ে থাকে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আসলেই ভাই শীতের সময় ওয়াজ মাহফিলের মাঠে বেশ ভালোই লোক হয়। কিবরিয়া ভাইকে সাথে করে মেলাতে ঘুরেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আমরা যখনই কোথাও যাই তখনই একই সাথে ভ্রমণ করা হয়ে যায়।
এই শীতের মৌসুমে ওয়াজ মাহফিলে গেলে এরকম ফাস্ট ফুড অনেক হওয়া হয়। দুজনের কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। উভয়ের জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের সময় ফাস্ট ফুড খুব খাওয়া হয় ওয়াজ মাহফিল থেকে।