লাইফস্টাইল: বন্ধু বান্ধবীরা ভালবেসে রাফিয়ার জন্মদিন পালন করলো
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, জুন ১৩/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকের এই পোস্টটি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আমাদের স্কুলের একটি ছাত্রের জন্মদিনের উদযাপন উপলক্ষে। দেখতে দেখতে আরো একটা বছর কেটে গেল ঠিক এক বছর আগের কথা। আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আমার জন্মদিনের আগের দিন রাফিয়ার জন্মদিন পালন করেছিল। আর রাফিয়ার জন্মদিন পালন করার পরে তোর জোর করে শুরু করে দিয়েছিল আমার জন্মদিন পালন করার জন্য। আজকে যেহেতু ১৩ই জানুয়ারি ছিল তাই রাফিয়ার জন্মদিন। আজকে স্কুলে জেই আমি দেখতে পেলাম ছাত্রছাত্রীরা রাফিয়ার জন্মদিন পালন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আগের বছর প্রথমবারের মতো রাফিয়ার জন্মদিন উদযাপন করেছিল যার ফলে তারা পাঁচ টাকা দামের কেক কিনে এনেছিল। যেহেতু তারা এবার দ্বিতীয় বছরের মতো রাফিয়ার জন্মদিন পালন করছে তাই তারা আগে থেকেই একটু ভালো কেক কিনে এনে রেখেছিল। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই ধরনের ভালোবাসা সম্পর্ক খুব একটা বেশি লক্ষ্য করা যায় না। আসলে তারা তো মনেই রাখতে পারেনা কবে কার জন্মদিন থাকে।
কেক নিয়ে আসার পরে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীরা সেটাকে সাজাতে শুরু করে দিয়েছিল। কেকের উপরে বিভিন্ন ধরনের চকলেট এবং চকো চকো ব্যবহার করে সেটাকে তারা সাজানোর চেষ্টা করেছিল।
যেহেতু আমি সবসময়ই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খুব কাছাকাছি থাকি তাই তারা আমাকে আগে থেকেই সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। আমি সেখানে ছিলাম যেহেতু তাই আগে থেকেই কয়েকটা ফটোগ্রাফি ধারণ করতে শুরু করে দিয়েছিলাম। কেক সাজানোর কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি এই ফটোগ্রাফিটা ধারণ করেছিলাম।
আর কেক সাজানোর কাজ শেষ হয়ে যাবার পরেই রাফিয়াকে সারপ্রাইজ দিয়ে ডেকে নিয়ে আসা হলো শ্রেণীকক্ষের ভিতর। আর তারপরেই শুরু হয়ে গেল কেক কাটার পর্ব। যেহেতু আমি একটু ব্যস্ত থাকার কারণে শহরের দিকে যাব তাই আগে থেকেই তারা কেক কাটার পর্ব টা শেষ করে ফেলল। কারন আমি উপস্থিত না থাকলে তো তারা আবার মজা পাবে না তাই আমি থাকতে থাকতেই সকল কাজ শেষ করে ফেলল। রাফিয়ার জন্মদিনের পরের তিনি আমার জন্মদিন অর্থাৎ ১৪ জন আমার জন্মদিন। ছাত্র ছাত্রীরা এর আগের বছর আমার জন্মদিন পালন করেছিল কিন্তু আমি এবার তাদেরকে নিষেধ করেছি আমার জন্মদিন পালন করার জন্য। কারণ আমি পাচ্ছি না তারা বাড়ি থেকে যে কয়েক টাকা মিষ্টি খাবার জন্য নিয়ে আসে সেটা আমার জন্মদিন পালন করতে যে খরচ করে ফেলুক। যাইহোক স্কুলে রাফিয়ার জন্মদিন পালন করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অন্য রকমের একটা খুশি লক্ষ্য করতে পেরেছি। রাফিয়ার জন্মদিনে যে শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা কেক কেটে তাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে তা কিন্তু নয় প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রী রাফিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের গিফট নিয়ে এসেছিল।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Good
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার আগামী দিন গুলো ভালো কাটুক এই কামনাই করি। দ্বিতীয় বারের মতো রাফিয়ার জন্মদিন পালন করছে সবাই এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে জন্মদিনে এরকম সারপ্রাইজগুলো পেতে সবারই ভালো লাগে। বাচ্চারা তো দেখছি কেকের মধ্যে যখন খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। " R " লেখাটা সত্যি চমৎকার হয়েছে। রাফিয়ার জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাচ্চাদের এমন উদ্যোগ দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল
জন্মদিন গুলো যদি স্কুলের সব বান্ধবীদের সাথে পালন করা হয় তাহলে দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং সবাই বেশ আনন্দ উপভোগ করেন। রাফিয়ার জন্মদিনে তো কেক কেটে সবাই জন্মদিন পালন করলো সাথে আপনার জন্মদিন ও হল অসাধারণ একটি সময় পার করলেন। শুভকামনা রইল আপনাদের সকলের জন্য।
এর আগের বছরও তারা এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এ বিষয়গুলো।
প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। জন্মদিন গুলো বন্ধু-বান্ধব বা স্কুলে পালন করলে মনে হয় ভালো হয়। কারণ সবাই একসাথে আনন্দ করতে পারে। গত বছর রাফিয়ার জন্মদিন পালন করলো। এবছর আরেকটু বড় করে ভিন্ন রকম ভাবে করল। ভালই লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ছোটদের এই ধরনের জন্মদিন পালন করা দেখে খুবই ভালো লেগেছিল।