রমজানের প্রথম ইফতারিতে অংশগ্রহণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, মার্চ ১২/২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আবার হবে রমজান মাস আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। আর ইতিমধ্যেই আমরা সকলেই রমজান মাসের একটি রোজা সম্পন্ন করে ফেললাম। রমজান মাসের সব থেকে ভালোলাগার বিষয়টি হচ্ছে ইফতারি। আর সেই ভালোলাগাটা আরও বৃদ্ধি পেয়ে যায় যখন সকলে মিলে একত্রিত ভাবে ইফতারিতে অংশগ্রহণ করা যায়। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই সবসময়ই গ্রামের মানুষদের সাথে ইফতারিতে অংশগ্রহণ করার মত সুযোগ হয়। ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য করে আসছি আমাদের গ্রামের মসজিদ গুলোতে রমজান মাসের প্রত্যেক দিনই ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। আসলে আমাদের গ্রামের মানুষের সকলেরই অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা ভালো তাই সবাই চেষ্টা করে ইফতারের দেবার জন্য। যেহেতু মাসের মধ্যে শুধুমাত্র ৩০ দিন ইফতারের দেওয়ার সুযোগ থাকে তাই চাইলেও সকলে এই ইফতারিতে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
একটি বছর পরে আবারো সকলের সাথে মসজিদে যেয়ে ইফতার করতে পেরেছি তার জন্য অনেক ভালো লাগছে। যখনই আমি মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করলাম এবার দেখতে পেলাম সকলেই ইফতারি নিয়ে বসে আছে বিষয়টা দেখে খুবই ভালো লাগছিল। রমজানের সবথেকে সৌন্দর্যের বিষয়টি হচ্ছে ইফতারি সামনে বসে থাকা। যদিও হাতের সামনে লোভনীয় খাবার থাকে কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ না থাকার কারণে কেউ সেই খাদ্য গ্রহণ করে না। যখনই মসজিদের মোয়াজ্জিন মাইকে আযান দেয় ঠিক সেই মুহূর্তেই সকলেই ইফতারি গ্রহণ করতে শুরু করে।
আজকে আমাদের গ্রামের মসজিদে ইফতারি দিয়েছিল একজন প্রবাসী। সে চেষ্টা করেছিল তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ দিয়ে ইফতারিতে অংশগ্রহণ করতে। যদিও সে সুন্দর ইফতারি দিয়েছে এবং হয়তোবা গ্রামের সকলেই ইফতারিতে খুশি কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ইফতারিতে এমন বিরিয়ানি দেওয়া, না দেওয়াই ভালো। কেননা সারাদিন রোজা রাখার পরে মানুষের শরীরে এমনিতেই গ্যাসের প্রভাব বেশি থাকে আর যখনই তেলের খাদ্য গ্রহণ করা হয় ঠিক সেই মুহূর্তেই মানুষের পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সমস্যাটা ছাড়া মোটামুটি সব কিছুই ঠিক আছে। বিরিয়ানি টা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক সকলের সাথে রমজানের প্রথম ইফতারি গ্রহণ করতে পারলাম এর জন্য মহান সৃষ্টি করে তার কাছে অশেষ শুকরিয়া।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
এটা ঠিক রমজান মাসের সবচেয়ে সৌন্দর্য হচ্ছে ইফতারি সামনে নিয়ে বসে থাকার বিষয়টি আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনাদের গ্রামের যে প্রবাসী ভাই সবাইকে ইফতারি করানোর ব্যবস্থা করেছে তিনি তার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কারণেই হয়তো বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। এরকম সবার সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা ।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পবিত্র মাহে রমজানের একটি দিন শেষ হয়ে গেল। দিনটি অনেক ভালই কেটেছে। আপনিও দেখছি গ্রামের মানুষের সাথে মসজিদে গিয়ে ইফতার করেছেন। সবাই সম্মিলিতভাবে ইফতার করার মজাই আলাদা । ভালো লাগলো প্রথম ইফতার সম্মিলিতভাবে করতে পেরেছেন। আমাদের সাথে খুব তাড়াতাড়ি সেই মুহূর্তে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
দেখতে দেখতে রমজানের একটি দিন পার করে ফেললাম। তবে প্রথম রোজা কিছু মনেই যেন হলো না হুট করে দিন চলে গেল ব্যস্ততার মাঝে। যাইহোক দিনশেষে একত্রে ইফতারি করতে পারলাম বেশ ভালো লাগলো।
বারোটা মাসের মধ্যে একটি মাস হল রমজান মাস। এই মাসে মুসলমানেরা রোজা থাকে। সারাদিন রোজা থাকার পরে সন্ধ্যায় তারা ইফতারি করে। সবাই মিলে একসাথে ইফতারি করার মজাটা অন্যরকম। আজকে প্রথম রোজাযর ইফতারি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন সারাদিন রোজায় থেকে পেটে এমনিতেই গ্যাসের প্রভাব পড়ে। তার মধ্যে আবার বিরিয়ানি খেলে অনেকেরই অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। তবে আজকে আপনাদের মসজিদে একজন প্রবাসী ইফতার দিয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। দোয়া করি আপনি যেন প্রতিটি রোজা সুস্থতার সঙ্গে পালন করতে পারেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
প্রথম রমজান বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে মসজিদের সবার সাথে ইফতার করার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। মসজিদের ইফতার আয়োজন করা হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে সবাই
সাথে ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখার মাস। সবার সাথে সুন্দর ভাবে ইফতার করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এটা তো খুবই ভালো কথা । যাইহোক ভাই, তবে আমার কাছেও ওটাই মনে হয় যে, ইফতারিতে বিরিয়ানি দেওয়াটা ঠিক না। কারণ এতে করে পেটে গ্যাস হতে পারে, যেহেতু সবাই সারাদিন না খেয়ে থাকে। তবে যে প্রবাসী ভাই টা ইফতারি দিয়েছে তার মানসিকতা অনেক বড়, এটা তো বোঝা ই যাচ্ছে।