হঠাৎ করে বিয়ে বাড়িতে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , ফেব্রুয়ারি ১১/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। ঘটনাটা আগামীকালকের। বিকেলের দিকে হঠাৎ করে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন আসলো যে আমার বড় শ্বশুরের মেয়ের বিয়ে। আমার নাই তো পড়লো বিয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্ষেত্রে, আমি যেন সন্ধ্যার দিকে কাজী নিয়ে পৌঁছে যাই। কি আর করার ফোন দিয়ে দিলাম কাজীর কাছে। আসলে আমাদের এলাকাতে যে কাজই রয়েছে তার ছেলে আমার খুবই কাছের মানুষ যার ফলে এই দায়িত্বটা আমার উপর পড়েছে। ছেলেপক্ষ বিয়ে বাড়িতে আসতে আসতে প্রায় রাত আটটা বেজে গেল। আটটার পরে আমি সেখানে কাজে নিয়ে পৌঁছে গেলাম।
সেখানে আসার পরে দেখতে পেলাম বিয়েটা খুবই ঘরোয়া ভাবে হচ্ছে। ছেলেপক্ষরা মাত্র তিনজন এসেছে বিয়ে করার জন্য। মানে ছেলে এবং ছেলের সাক্ষী হিসেবে দুজন ব্যক্তি এসেছে দুটো মোটরসাইকেলে করে। ঘরোয়া ভাবে রাতেই বিয়ে হবার কারণে তেমন কোন আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল না।
রাতের বেলায় বিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে হলে কি হবে ছোটদের তো বিয়ে মানেই আনন্দ। দেখতে পেলাম শতকরা বিয়েকে উপলক্ষ করে সাজগোজ করতে শুরু করে দিয়েছে। তাদেরকে আরও একটু উৎসাহ দেবার জন্য আমি তাদের কয়েকটা ছবি তুললাম। বিষয়টা তাদেরকে আরো বেশি খুশি করে দিল।
এর কিছু সময় পরে শুরু হয়ে গেল বিয়ের কার্যক্রম। বাড়িতে কোন ছেলে না থাকার কারণে সকল দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে। মানে আমার শ্বশুর বাড়িতে কোন ছেলে নেই আমি তাদের ছেলের মত সকল কিছু করে দেই। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য আমি সেই ছবিগুলো ক্যামেরা বন্দি করতে পারিনি।
ওই যে আপনাদেরকে বললাম বিয়ে করতে শুধুমাত্র তিনজন এসেছে আর তারা দুটো মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে। বিয়ে শেষে তারা কনে কে মোটরসাইকেলে করেই বাড়িতে নিয়ে গেল।
এই ধরনের বিয়ে গুলো অতীতে আমাদের দেশে লক্ষ্য করা যেত না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে এই ধরনের বিয়ের সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সব থেকে বড় কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে সকল জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে ছেলে মেয়ের সরকার নির্ধারিত বিয়ের বয়স না হওয়া।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কিরে ভাই তুই বললি যে তুই শ্বশুর বাড়িতে যাবি কিন্তু তোর শালীর বিয়ে এটা তো কিছু বললি না। যাহোক খুব তাড়াতাড়ি শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলে এবং কাজে নিয়ে গিয়েছিলি। যেহেতু তুই তো শ্বশুরে বড় জামাই সে তো তোর কাজের দায়িত্বটাও বেশি। যাক শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করেছি জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে এটা তোর সাথে আমি একমত এই ধরনের বিয়ে গুলো এখন বর্তমানে বেশি দেখা যাচ্ছে।
আসলে বিয়েটা হঠাৎ করে হয়ে গিয়েছে।
ভাই এতটা ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হচ্ছে এটা আনএক্সপেক্টেড ছিল পোস্টটা পড়ার আগে। মাত্র তিনজন এসে বিয়ে করে নিচ্ছে এটা প্রথমে ভেবে আমার অবাক লাগছিল। যাইহোক মাঝে মাঝে গ্রামে এই ব্যাপার গুলো দেখা যায়। আপনার বড় শ্বশুরের অন্য কোন ছেলে না থাকায় আপনি সব দায়িত্ব গুলো পালন করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আর যত ছোট করেই বিয়ে হোক না কেন বিয়েতে ছোট বাচ্চারা সাজগোজ করবে এটাই স্বাভাবিক। যেকোনো বিয়েতে ছোট বাচ্চারাই সব থেকে বেশি আনন্দ করে থাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিয়েতে এসব থেকে বেশি বাচ্চারাই আনন্দ করে থাকে।