লাইফস্টাইলঃ নতুন শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ভাইবা গ্রহণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা যারা আমার পোস্ট গুলো নিয়মিত পড়েন তারা হয়তোবা জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আমি মাঝে মাঝেই আমাদের স্কুলের বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করি। যেহেতু নতুন বছর চলে আসছে আর এ বছরে আমাদের টার্গেট হয়েছে আমাদের স্কুলে অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবে। যেহেতু অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবার সম্ভাবনা রয়েছে তাই হয়তোবা এই বছর আমাদেরকে প্রত্যেকটা ক্লাসেই সেকশন তৈরি করতে হবে। আর সেকশন তৈরি হলেই তো বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে শিক্ষকদের উপর। এইসব মোকাবেলা করার জন্য আমরা কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের স্কুলে কিছু নতুন শিক্ষকের প্রয়োজন। প্রয়োজন অনুসারে আমরা শিক্ষক নিয়োগের একটা বিজ্ঞাপন প্রদান করেছিলাম। আর এই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই স্কুলে চাকরি করার আশায় স্কুলের অফিসে সিভি প্রদান করেছিলেন।
যেহেতু নতুন বছর চলে আসছে আর বেশ কিছু সিভি জমা হয়ে গিয়েছিল তাই আজকে শনিবার ছুটির দিন হবার কারণে তাদেরকে ভাইবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আপনারা হয়তোবা অনেকেই আমার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন আমাদের স্কুলে নিয়ম-নীতি একটু অন্যান্য স্কুলের থেকে কঠিন। কিন্তু আমি লক্ষ্য করে দেখলাম আজকে যাদের ভাইবা দেবার কথা রয়েছে সকাল আটটার সময় তারা ঠিকমতো সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেনি। বিষয়টা দেখে প্রথমেই আমার কাছে খারাপ লেগেছিল যে তাদের আজকে ভাইবা আর তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে পারল না।
আজকে ৯ জন শিক্ষকের ভাইবা দেবার কথা ছিল কিন্তু লক্ষ্য করলাম ৭ জন উপস্থিত হয়েছে। যেহেতু তারা উপস্থিত হয়েছেন তাই আর দেরি না করে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করে দিলাম। আমরা শিক্ষক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে তাদের পাঠদান করানোর কৌশলটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখেছি যে কোন ব্যক্তি অল্প পরিমাণে শিক্ষিত কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান দেবার কৌশল খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় লক্ষ্য করেছি লেখাপড়া শেষ হয়ে গিয়েছে কিন্তু পার দান করার সক্ষমতা তাদের খুবই কম। যেমনটা আজকে লক্ষ্য করলাম আজকে যারা শিক্ষক নিয়োগ এর জন্য ভাইবা দিতে এসেছিল তারা সকলেই লেখাপড়া শেষ করেছেন। কিন্তু তাদের ভাইবা নিতে যেয়ে দেখলাম সাধারণ বিষয় গুলো সম্পর্কেই তাদের তেমন কোন ধারণা নেই। যদিও ভাইবা দেয়া কাজটা অনেক কঠিন এবং ভয় করার কারণে অনেকেই এখানে ভালো করতে পারে না। কিন্তু আজকে যাদেরকে ভাইবা নেয়া হলো তারা সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারল না তাহলে তাদেরকে শিক্ষক হিসেবে কিভাবে নিয়োগ করা যাবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনাদের এলাকায় থাকলে চেষ্টা করতাম ভাই আপনার স্কুলে। তবে শিক্ষক সিলেকশনে বেশ ভাল পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। আসলে শিক্ষাদানের পদ্ধতিটাই আসল, কারন শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য এটাই আসল। ডিগ্রীর থেকে পদ্ধতিটা বড়। কে কে টিকল জানার ইচ্ছা থাকল।
এজন্যই তো মূলত আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
ভাই আমিও আপনার ভাবীর বদৌলতে কিছু কিছু ট্রেনিং দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। আর এই ট্রেনিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাবলীলভাবে পাঠদান, এবং শিখন শেখানো কার্যাবলীকে গুরুত্ব দেয়া। আর সেক্ষেত্রে আপনারাও শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে পাঠদানের কলাকৌশল কে গুরুত্ব দিয়ে বেশ ভালই করেছেন। যাইহোক ভাই সাতজনের মধ্যে কাউকে শিক্ষক হিসেবে নির্বাচন করতে পেরেছেন কিনা তা অবশ্যই জানাবেন।
যত ভালোই শিক্ষিত হোক না কেন পাঠদান ভালোভাবে না করাতে পারলে তার কোন দাম নেই।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাদের স্কুলে নতুন শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ভাইবা গ্রহণ। আপনি ভাবে অংশগ্রহণ করে নতুন শিক্ষককে ভাইভা কিছু প্রশ্ন করেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে ভাইবা দিতে হলে সত্যি নিজের প্রতি অনেক কনফিডেন্স লাগে। আমাদের দেশে শিক্ষকতার পেশাটাকে অনেক বড় মর্যাদা দেওয়া হয়। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইবা দেয়া যেন পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ
এটা অনেক বড় একটা পেশা বলে আমি মনে করি, নিজের উপর একটা বড় দায়িত্ব থাকে পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করার, স্কুল জীবনে যে স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তাম তিনি একটা স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন তার স্কুল থেকে আমার অফার এসেছিল, আমার ডিপ্লোমা কলেজ থেকে আমার অফার এসেছিল। কিন্তু আমি একসেপ্ট করিনি, আমার কাছে এই পেশাটা অনেক বড় দায়িত্ব বলে মনে হয়, আর এই পেশায় আপনি নিয়োজিত মাঝে মাঝেই আপনার স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার খুব ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন এটা খুবই দায়িত্বের একটা পেশা।
ভাইয়া প্রথমে জানতে ইচ্ছে করছে আপনাদের স্কুলটা কি বেসরকারি স্কুল কিনা? আমি এতদিন ভেবেছিলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু যারা পরীক্ষা দিতে এসেছেন তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে বেসরকারি স্কুলই হবে ।যাইহোক আপনারা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের ডিগ্রীর থেকে পাঠদানের ক্ষমতা এই বিষয়টি বেশি পর্যবেক্ষণ করেন বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো। আসলে সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া দরকার। যা বাচ্চাদের কাজে আসবে। ধন্যবাদ।
আমাদের স্কুলটা বেসরকারি স্কুল আপু।
দেখতে দেখতে আপনাদের ছোট্ট ইস্কুলের ছাত্রছাত্রী অনেক বেড়ে গেল জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আশা করছি এ বছর অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবে। যাইহোক নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আশা করি পরবর্তী বছরে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।