প্রচন্ড শীতের মধ্যেও পিটি প্যারেড
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন যাবত হয়তোবা আপনারা অনেকে লক্ষ্য করেছেন যে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে শীত পড়তে শুরু করেছে। যদিও শীত ঋতু শুরু হবার প্রথমদিকে এতটা শীত পড়েছিল না কিন্তু যখনই শীতের সময় আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তেই শীতের পরিমাণটা যেন বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের দেশে বিশেষ করে জানুয়ারি মাসের দিকে অন্যান্য মাসের তুলনায় একটু বেশি পরিমাণে শীত পড়তে থাকে। যেহেতু আমাদের জানুয়ারি মাস আসার সাথে সাথেই স্কুল চালু হয়ে গিয়েছে তাই আমরা আমাদের স্কুলের যে কোন কার্যক্রম তো বন্ধ রাখতে পারি না। তাই এই শীতের মধ্যেও আমাদের স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ একটা কার্যক্রম পিটি প্যারেড প্রতিনিয়ত চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
আপনারা যদি উপরে ছবিগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন কুয়াশার কারণে প্রায় জায়গাগুলো অন্ধকার হয়ে রয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের স্কুলের এই কার্যক্রম বন্ধ রাখছি না কেননা এই জিনিসটা অন্যান্য স্কুল থেকে আমাদের স্কুলটাকে খুব সহজেই আলাদা করে দেয়। অন্যান্য স্কুলের থেকে আমাদের স্কুল কেন আলাদা সেটা এই পিটি প্যারেড এর মাধ্যমেই খুব সহজেই বুঝতে পারা যায়। যেখানে অন্যান্য স্কুলগুলোতে এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে সেখানে আমরা শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব কিছু অপেক্ষা করে আমাদের স্কুলের সকল কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছি।
আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমাদের স্কুলের কার্যক্রম গুলো চালিয়ে যায় এই জন্যই মূলত আমাদের এলাকার মানুষের অন্যান্য স্কুলের তুলনায় আমাদের স্কুলটাকে একটু বেশি পরিমাণে পছন্দ করে থাকে। আর এই কারনেই প্রতিনিয়ত আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।
যখন পিটি প্যারেড প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই আবহাওয়া যেন আস্তে আস্তে কিছুটা পরিষ্কার হতে শুরু করল। যাইহোক আমরা একটা জিনিস সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয় সেটা হচ্ছে পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আমাদের স্কুলের সকল কার্যক্রম ঠিকমতো চালিয়ে যাব। আশা করি আমাদের স্কুলের সকল কার্যক্রম যদি আমরা সঠিকভাবে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের এই স্কুলটা আমাদের এলাকার মধ্যে থেকে একটা মডেল স্কুলে রূপান্তরিত হতে পারবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনাদের এলাকায় অন্যান্য স্কুলগুলোর তুলনায় আপনাদের স্কুল মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক সকালবেলা নিয়ম করে বাচ্চাদের পিটি প্যারেড করানো অনেক ভালো। বাচ্চাদের মানসিক এবং শারীরিক দুটি স্বাস্থ্যের উপর ওই আপনাদের দেখাশোনা করতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
নতুন স্কুল হওয়া সত্বেও খুব কম সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষের পছন্দের তালিকায় আসতে পেরেছি বলে আমরা অনেক খুশি।
বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য এই ধরনের কাজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনারা প্রতিনিয়ত স্কুলের নিয়ম কানুন গুলো ভালোভাবে পালন করেন এবং স্কুলের কার্যক্রম গুলো যে কোন পরিস্থিতিতেই প্রতিনিয়ত চালু রয়েছে। প্রতিনিয়ত যদি সঠিকভাবে কার্যক্রম গুলো চালু রাখা যায় তাহলে ভবিষ্যতে স্কুল টা ভালো স্কুলে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।
ঠিক কথা বলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য এই ধরনের কার্যক্রম গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুরনো দিনগুলো যেন ফিরে পাই এই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখার মধ্য দিয়ে। আশা করি ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ ভালোভাবে অ্যাসেম্বলি ক্লাস করছে ঠান্ডার মধ্যে তবে তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে যেন অসুস্থ না হয়ে যায়।
আসলেই এই ধরনের জিনিস গুলো দেখলেই পুরনো সময়ের কথা মনে পড়ে যায়।