হঠাৎ শিক্ষকদের সাথে করে হালকা খাওয়া-দাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনার হয়তোবা অনেকেই জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। ইতিপূর্বে আমি আমাদের স্কুলের অনেক বিষয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করেছি। দেখতে দেখতে আমাদের স্কুলের আরো একটা শিক্ষাবর্ষ শেষ করে ফেললাম। যেহেতু বছরের শেষের দিক চলে এসেছে আর প্রত্যেকটি স্কুলই তাদের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু আমাদের স্কুল একটা প্রাইভেট স্কুল তাই অন্যান্য স্কুল আগে পরীক্ষা শেষ করলেও আমাদের পরীক্ষা একটু দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৩০ শে নভেম্বর থেকে আমাদের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু আর একমাত্র একটা দিন পরেই আমাদের স্কুলের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তাই আজকেই শেষ ক্লাস অনুষ্ঠিত হলো। যেহেতু শেষ ক্লাস তাই আজকে একটু আগেই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দেয়া হয়ে গিয়েছিল। কারণ তাদের পরীক্ষার জন্য রুম তৈরি করতে হবে এবং তাদের বসার জন্য সিট প্লান করতে হবে।
সকল কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে অন্যদিনের তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি আমাদের সকল কাজ কম শেষ হয়ে গিয়েছিল।এজন্য আমরা সকলে চিন্তা করছিলাম কিভাবে বাকি সময়টা অতিবাহিত করা যায়। তারপরে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল আলম প্রস্তাব দিলেন কিছু খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে। পরে সকলের সম্মতিক্রমে মুড়ি খাবার সিদ্ধান্তে উপনীত হয় আমরা।
এর আগে আমি কোনদিন আমাদের স্কুলের শিক্ষকদের সাথে করে এভাবে মুড়ি খাইনি তাই আমার কাছে বিষয়টা ভালোই লাগছিল। মুড়ি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে কিন্তু ততটা সুস্বাদু হয়েছিল না তাই খুব একটা বেশি খাইনি। কিন্তু এর মধ্যেও কয়েকটা বড় আকৃতির খাদক ছিল যারা প্রচুর পরিমাণে মুড়ি খেয়েছিল। আপনারা হয়তোবা উপরে ছবি লক্ষ্য করে দেখতে পারছেন একজন খাদক গামলা নিয়ে বসে গিয়েছে মুড়ি খাওয়ার জন্য। তার গামলা নিয়ে মুড়ি খাওয়ার বিষয়টা নিয়ে আমরা অনেক মজা করেছিলাম।
হঠাৎ করে শিক্ষকদের সাথে মুড়ি খেতে ভালোই লাগছিল। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
পুরনো দিনের সেই দারুণ মুহুর্তের কথা মনে পড়ে গেল আজকের এই পোস্ট দেখার মধ্য দিয়ে। তবে বেশ ভালো লাগলো সুন্দর সেই আয়োজন দেখার সুযোগ হলো পোষ্টের মাঝে। যাই হোক টুম্পা আপাকে অনেকদিন পর বেশ ভালোই লাগছে।
আসলে আমরা যখন সকলে একত্রিত ছিলাম অনেক মজা করতাম।
শিক্ষকদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শিক্ষকদের সাথে মুড়ি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সকল বেশ মজা করে মুড়ি খেয়েছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে আমরা এই ধরনের সুযোগ কোন সময় পাইনা হঠাৎ পেয়ে গেলাম।
আসলেই পরীক্ষার আগের দিন ক্লাস না করাই ভালো। আমাদের এখানে তো পরীক্ষার আগের দিন বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ রাখে। তো আপনারাও আগে আগে ছুটি দিয়ে দিলেন বেশ ভালোই হলো। যেহেতু পরীক্ষার আগের দিন অনেক কাজ থাকে। রুমের মধ্যে সিট নাম্বার বসানো আরো অনেক কিছু। বেশ মজাদার খাবার খেলেন মুড়ি মাখা খেতে বেশ ভালোই লাগে। অনেক ধন্যবাদ মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
এজন্যই তো পরীক্ষার আগের দিনে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দিয়ে দিয়েছিলাম।